শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

আফতাব আহমেদ (আলোকচিত্রী)

একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আফতাব আহমেদ (আলোকচিত্রী)
Remove ads

আফতাব আহমেদ (১৯৩৫ - ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩) বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রশিল্পী ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে তার তোলা ছবি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ২০০৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।[]

দ্রুত তথ্য আফতাব আহমেদ, জন্ম ...
Remove ads

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আফতাব আহমেদ ১৯৩৫ সালে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানার মহিপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা জহির উদ্দিন ও মা মমতাজ বেগম। মাইনর স্কুলের পর ১৯৪৮ সালে রংপুর জেলা স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং সে বছরই আইএ শ্রেণিতে ভর্তি হন। পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করেন।

কর্মজীবন

বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকরি করার পর, ১৯৬২ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে ফটোসাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন এবং ২০০৬ সালে তিনি অবসরে যান। তিনি ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব ও জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ছিলেন।[]

উল্লেখযোগ্য কাজ

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ছাড়াও ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ড, ৭ নভেম্বরে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বহু ছবি তোলেন আফতাব আহমেদ। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে তোলা 'জাল পড়া বাসন্তি'র ছবি তুলে।[] ঐতিহাসিক ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান এবং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঘটনাগুলোর অসংখ্য ছবি তোলেন।

প্রকাশিত পুস্তকসমূহ

  • স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি
  • বাংলার মুক্তির সংগ্রাম- সিরাজুদৌল্লা থেকে শেখ মুজিব
  • আমরা তোমাদের ভুলবো না[]

পুরস্কার ও সম্মাননা

মৃত্যু

২৪ ডিসেম্বর ২০১৩ সালে, ঢাকার পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডের নিজ বাড়িতে খুন হন আফতাব আহমেদ।[] পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ও জানায় যে, লাশের হাত ও পা বাঁধা ছিল এবং মুখে একটি গ্যাগ লাগানো ছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ কর্তৃক ময়না-তদন্তের প্রতিবেদনে জানানো হয় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ২৭ মার্চ ২০১৭ সালে তাকে হত্যার দায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।[]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads