শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

আবদুল খালেক (পীর)

শিক্ষাবিদ ও ইসলামি পণ্ডিত উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

Remove ads

মওলানা আবদুল খালেক ছিলেন একজন ইসলাম প্রচারক, শিক্ষাবিদ, সুফিতত্ত্ববিদ, রাজনীতিবিদ ও লেখক। তিনি ১৮৯২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ত্রিপুরা জেলার ছতুরা গ্রামে (বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় অবস্থিত) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা ভাষায় সাইয়েদুল মুরসালীন নামে জনপ্রিয় সীরাতগ্রন্থ লিখেছেন। অধ্যাপক আবদুল খালেকের মুরিদ (শিষ্য) কবি ফররুখ আহমদ সিরাজাম মুনীরা কাব্যগ্রন্থটি তার প্রতি উৎসর্গ করেছেন।[]

দ্রুত তথ্য মওলানাআবদুল খালেকছতুরাভী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া দক্ষিণ-পূর্ব মুসলিম আসনের পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ...
Remove ads

শিক্ষা জীবন

অধ্যাপক মওলানা আব্দুল খালেক ১৯১৩ সালে কুমিল্লার হোচ্ছামিয়া মাদ্রাসা থেকে জামায়াতে উলা (ফাযিল) পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাসে উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯১৪ সালে কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালায় ভর্তি হয়ে ১৯১৮ সালে এনট্রান্স (এস.এস.সি) এবং ১৯২০ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এফ.এ (এইচ.এস.সি) পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাসে পাশ করেন। ১৯২২ সালে বি.এ ডিগ্রিও ফার্স্ট ক্লাসে সম্পন্ন করেন।

১৯২৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফারসি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে গোল্ড মেডেল লাভ করেন। পরে, তিনি ১৯২৬ সালে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ ডিগ্রিও ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে অর্জন করেন।

Remove ads

কর্মজীবন

তিনি ফেনী কলেজের ফারসি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ, লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ এবং ঢাকা ইডেন গার্লস কলেজের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করেন। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পূর্বে তিনি কলকাতার টেইলর হোস্টেলের সুপার ছিলেন।[]

তিনি ভারতের ফুরফুরা শরীফের পীর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকীর প্রধান খলিফা ছিলেন। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিনি ইসলাম প্রচার করতেন।

তিনি নূর মুহাম্মদ নিজামপুরীর খলিফা ছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর দেশটির সংবিধানে ইসলামি আইন অভিযোজনের জন্য তা’লীমাতে ইসলামিয়া বোর্ড গঠিত হয়েছিল। তিনি এর সদস্য ছিলেন।[]

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন খ্যাত পূর্ববঙ্গ প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যুক্তফ্রন্ট ও মুসলিম লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন।[]

Remove ads

লেখনী

মাওলানা আব্দুল খালেক বহু গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন। তাঁর রচিত বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর মধ্যে "সিরাজুস সালিকীন" এবং "সাইয়্যেদুল মুরসালীন" অন্যতম। এছাড়াও তিনি "মুনাব্বেহাত"-এর বাংলা অনুবাদ করেন এবং "গুনচা-ই ফারসি" ও "দুররাতুল আদাব" রচনা করেন যা একসময় কলকাতা শিক্ষাবোর্ডের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবন

তার দুই পুত্র সন্তান। বড় সন্তান মরহুম আবদুল কুদ্দুছ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। আরেক সন্তান মরহুম মোশাব্বের হোসেন কাউছার।[] তার নাতি জাহিদ কুদ্দুস বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন।[]

মৃত্যু ও কিংবদন্তি

তিনি ২ এপ্রিল ১৯৫৫ সালে ঢাকার বখশী বাজারে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর পর ছতুরায় তার মাজার শরীফ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে ছতুরা দরবার শরীফ কমপ্লেক্স নামে পরিচিত। জনশ্রুতি ও অনুসারীদের বিশ্বাস অনুযায়ী ছতুরা শরীফে অবস্থিত পুকুরে আবদুল খালেকের মৃত্যুর পর তার বাড়িতে থাকা পানি মেশানোর পর থেকে সেই পুকুরের পানি পান করলে রোগমুক্তি ঘটে থাকে।[]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads