শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

আব্দুল মোতালেব মালিক

পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আব্দুল মোতালেব মালিক
Remove ads

আবদুল মুতালিব মালেক যিনি এ এম মালিক নামেও পরিচিত ছিলেন। (১৯০৫-১৯৭৭) চক্ষু চিকিৎসক, রাজনৈতিককূটনীতিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ছিলেন।[][][]

দ্রুত তথ্য ডাক্তারআবদুল মুতালিব মালেক, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ...
Remove ads

প্রাথমিক জীবন

মালেক ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির চুয়াডাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন।[]

তিনি বগুড়া, বাঁকুড়া ও কলকাতায় পড়াশোনা করেন। তিনি শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৯৩১ সালে চক্ষু চিকিৎসার ওপর ভিয়েনা থেকে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।[]

কর্মজীবন

এ এম মালিক কলকাতায় চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে তিনি একাধিক মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩৬ সালে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে লেবার কনফেডারেশনের নির্বাহি কমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগে তিনি কলকাতার কোয়ার্টারমাস্টার ইউনিয়ন ও ভারতীয় সেইলর্স ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি প্রেস এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন, ডকার্স ইউনিয়ন, পোর্ট কমিশনার্স ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।[]

তিনি সর্বভারতীয় সি-ফেয়ারার্স ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি এবং বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।[]

তিনি সর্বভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস নির্বাহি কমিটির সদস্য ছিলেন।[]

দেশ বিভাগের পর তিনি নিখিল পাকিস্তান ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের প্রথম প্রেসিডেন্ট ও লেবার কনফেডারেশনের নির্বাহি কমিটির সদস্য ছিলেন।[]

Remove ads

কূটনীতিক জীবন

এ এম মালিক ১৯৫৫ সালের আগস্ট মাসে তাঁকে সুইজারল্যান্ডে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করা হয়। একই সাথে তাঁকে অস্ট্রিয়া ও যুগোস্লাভিয়ায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত করা হয়। তিনি ১৯৫৮-৬১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং ১৯৬১-৬৫ সালে ফিলিপাইনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তিনি ১৯৬৫-৬৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ.এম মালিক ১৯৬৭ সালে কূটনৈতিক চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[]

রাজনৈতিক জীবন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

এ এম মালিক ১৯৪০ এবং ১৯৪৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বঙ্গীয় আইন পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের অতিরিক্ত চীফ হুইপ ছিলেন। ১৯৪৭ সালে তিনি পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক সরকারের কৃষি ও মৎস্য মন্ত্রী নিযুক্ত হন।[]

১৯৪৯ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় প্রথমে সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং পরে স্বাস্থ্য, শ্রম ও পূর্তমন্ত্রী নিযুক্ত হন।[]

তিনি সংবিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন। শ্রমমন্ত্রী হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় (আই.এল.ও) একাধিকবার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তিনি ১৯৫৩-৫৪ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ছিলেন। এই সংস্থার উদ্যোগে এশিয়া ও ইউরোপে অনুষ্ঠিত একাধিক সম্মেলনের তিনি উদ্বোধন করেন।[]

তিনি ২৪ অক্টোবর ১৯৫১ থেকে ২৪ অক্টোবর ১৯৫৪ পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শ্রম, স্বাস্থ্য ও কর্ম মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

২৪ অক্টোবর ১৯৫৪ থেকে ১১ আগস্ট ১৯৫৫ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় শ্রম, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[]

১৯৬৯ সালের আগস্ট মাসে স্বাস্থ্য, শ্রম, পূর্ত ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।[][]

১৪ জুলাই ১৯৭১ সালে তাকে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মর্যাদায় পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়ার ত্রাণ বিষয়ক বিশেষ সহকারী নিয়োগ করা হয়। এ সময় তিনি উদ্ভাস্তুদের জন্য ত্রাণ তত্ত্বাবধান, সমন্বয় ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব পালন করেন।[][]

৩১ আগস্ট ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন এবং ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে শপথ গ্রহণ করে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে মিত্রবাহিনীর বিমান হামলায় গভর্নর হাউজ (বর্তমান বঙ্গভবন) আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঐ দিন তিনি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যগণ পদত্যাগ করেন এবং আন্তর্জাতিক রেডক্রস কর্তৃক ঘোষিত ‘নো ওয়ার জোন’ হিসেবে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা) আশ্রয় গ্রহণ করেন।[][][][][১০]

স্বাধীনতার পর তাকে গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করা হয়।[]

Remove ads

মৃত্যু

আব্দুল মোতালেব মালিক ১৯৭৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads