শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
আমন
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
আমন হচ্ছে ধান উৎপাদনের একটি মৌসুম। বাংলা অঞ্চলে ধান উৎপাদনের তিনটি মৌসুমের ভেতর এটি একটি।[১] আমন ধান কে হেমন্তকালীন ধান বলা হয়। আমন শব্দটি সংস্কৃত 'হৈমন' বা 'হৈমন্তিক' শব্দের অপভ্রংশ। এর অপর নাম আগুনী বা আঘুনি বা হৈমন্তিক ধান। এটা রোপণের সময় হচ্ছে জুন - জুলাই মাস এবং কাটার সময় হচ্ছে অক্টোবর-নভেম্বর মাস।

প্রকারভেদ
আমন ধান তিন প্রকার। যথা—
রোপা আমন
চারা প্রস্তুত করে, সেই চারা রোপণ করে এই ধান উৎপন্ন হয় বলে এর এরূপ নাম। রোপা আমন জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে বীজ তলায় বীজ বোনা হয়, শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মূল জমিতে রোপণ করা হয় এবং অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে ধান কাটা হয়।
বোনা আমন
এই আমন ছিটিয়ে বোনা হয়। বোনা আমন চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাঠে বীজ বপন করা হয় এবং অগ্রহায়ণ মাসে পাকা ধান কাটা হয়। একে আছড়া আমনও বলে।
বাওয়া আমন
বিল অঞ্চলে এই আমন উৎপন্ন করা হয়। একে এই কারণে গভীর পানির বিলে আমনও বলা হয়ে থাকে।
Remove ads
জাতসমূহ
বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে এবং প্রতিটি প্রজাতির ধানের স্থানীয় নাম রয়েছে। যেমন— তুলশীমালা, কাটারিভোগ, ইন্দ্রশাইল, কাতিবাগদার, ক্ষীরাইজালি, গদালাকি, গাবুরা, চিংড়িখুশি, চিটবাজ, জেশোবালাম, ঝিঙ্গাশাইল, ঢেপি, তিলককাচারী, দাউদিন, দাদখানি, দুদলাকি, দুধসর, ধলা আমন, নাগরা, নাজিরশাইল, পাটনাই, বাঁশফুল, বাইশ বিশ, বাদশাভোগ, ভাসা মানিক, মালিয়াডাক্র, রাজাশাইল, রূপশাইল, লাটশাইল, হাতিশাইল ইত্যাদি।
Remove ads
বিভিন্ন দেশে আমন ধানের আবাদ
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ধানের প্রজাতির মধ্যে আমন, অঞ্চল ও উৎপাদনের পরিমাণ নির্বিশেষে শীর্ষে অবস্থান করছে। এই ধান বোনা এবং রোপা হয় ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে। বাংলাদেশে নিম্নাঞ্চলে ফলানো বেশিরভাগ আমন ধানই ভাসমান জাতের, যার স্থানীয় নাম জলিধান বা অগ্রহায়ণী ধান । বাংলাদেশে এর প্রায় ২,০০০ কালটিভার (cultivar) বা জাত রয়েছে, এবং এশিয়া জুড়ে আছে ৬,০০০-এরও বেশি জাত। সবগুলোই অত্যন্ত আলোককাল-সংবেদী।[১]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads