শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ইস্কান্দার মির্জা
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
সাহেবজাদা সৈয়দ ইস্কান্দার আলি মির্জা CIE, OBE English IPA: ɪskɑndæɾ əɪiː mi(ə)ɹzə ( উর্দু: اسکندر مرزا; ১৩ নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি।[২] তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্বপালন করেন। এর পূর্বে ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[৩] তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নেন।
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুকাল অবস্থান করার পর ইস্কান্দার মির্জা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান তাকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিরতা দেখা দিলে খাজা নাজিমুদ্দিন তাকে প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১৯৫৫ সালে মালিক গোলাম মুহাম্মদের পর তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন।[৪] তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি সংবিধান স্থগিত করে সামরিক আইন জারি করেন। সেনাপ্রধানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব তার সময়ে শুরু হয়। সামরিক আইন জারির বিশ দিন পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আইয়ুব খান তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। ইস্কান্দার মির্জা লন্ডনে নির্বাসিত হন।
Remove ads
উৎপত্তি
সারাংশ
প্রসঙ্গ
পৈতৃক শিকড় এবং পারিবারিক পটভূমি
ইস্কন্দার আলী মির্জা ১৮৯৯ সালের ১৩ নভেম্বর ভারতের বাংলার মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তিনি মীর জাফরের বংশধর ছিলেন। তার পরিবার ১৭৫৭ সাল থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনাধীন বাংলার নবাব এবং ১৮৮০ সালের পর থেকে মুর্শিদাবাদের নবাব উপাধিতে ভূষিত ছিল।[৬] ইস্কন্দার মির্জা ছিলেন সাহেবজাদা সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ফতেহ আলী মির্জা (জন্ম ১৮৬৯-মৃত্যু. ১৯২৪) ও তার প্রথম স্ত্রী দিলশাদ বেগমের (জন্ম. ১৮৬৪-মৃত্যু. ১৯৪৯) জ্যেষ্ঠ সন্তান।[৭]
উপাধি, মির্জা, রাজকীয় প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তার পরিবারকে দেওয়া একটি সম্মানজনক পদবি, যা মধ্যযুগীয় ভারতে ব্যক্তিদের দেওয়ার প্রচলিত ছিল। তার পিতামহের পৈতৃক শিকড় থেকে তিনি ইরাকি আরব বংশোদ্ভূত ছিলেন।[৮]
মির্জা পরিবার ছিল বাংলার একটি প্রভাবশালী এবং ধনী সামন্ত পরিবার, ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তার পিতা ফতেহ আলী মির্জা প্রথম নবাব মনসুর আলী খানের নাতি মুর্শিদাবাদের ক্ষমতাসীন বাড়ির সদস্য ছিলেন।
ভারতে শিক্ষা ও সামরিক সেবা (১৯২০-৪৭)
মির্জা বড় হয়ে বোম্বেতে তার স্কুল শেষ করেন, বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলফিনস্টোন কলেজে পড়াশোনা করেন, কিন্তু স্যান্ডহার্স্টের রয়্যাল মিলিটারি কলেজে পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন যখন তিনি কিংস কমিশনের জন্য ব্রিটিশ গভর্নর-জেনারেল দ্বারা নির্বাচিত হন।[৯]:২০–২১[১০] মির্জা সামরিক কলেজের প্রথম ভারতীয় স্নাতক ছিলেন, এবং ১৯২০ সালের ১৬ জুলাই ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসাবে তার কমিশন অর্জন করেন।[২][১১][১২]
Remove ads
তথ্যসূত্র
আরো পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads