শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ওয়াহাবি আন্দোলন
ধর্মীয় আন্দোলন বা ইসলামের একটি শাখাগোষ্ঠী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ওয়াহাবি আন্দোলন (আরবীঃ وهابية ওয়াহাবিয়াহ) হচ্ছে ধর্মীয় আন্দোলন বা ইসলামের একটি শাখাগোষ্ঠী[১][২] যা অর্থোডক্স, ধর্মের দিক থেকে অতিচরমপন্থী,"[৩] বিশুদ্ধবাদী,"[৪][৫] একেশ্বরবাদীর উপাসনার জন্য ইসলামী পূনর্জাগরণ,[৬] চরমপন্থী আন্দোলন[৭] ইত্যাদি নামে পরিচিত। ইবনে তাইমিয়া এবং আহমাদ ইবনে হান্বাল এর শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে[৮] এই মতবাদে বিশ্বাসীরা ইসলামের মূলধারা থেকে বিচ্যুতদেরকে কোরআন ও হাদিসের বর্ণিত পথে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
বিশ্বের ওয়াহাবী মতবাদে বিশ্বাসীদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরবে[৯] বাস করে। সৌদি আরবের ২২.৯%, কাতারের ৪৬.৮৭%,[৯] আমিরাতের[৯] ৪৪.৮%, বাহরাইনের ৫.৭%, কুয়েতের[৯] ২.১৭% জনগণ ওয়াহাবী পন্থী। সৌদি আরবের ওয়াহাবী পন্থী লোকের বেশীর ভাগ নজদ (রিয়াদ) অঞ্চলে বাস করে।[৯] সৌদি আরব, কাতার,[১০] শারজাহ এবং রাস আল খাইমাহ তে ইসলামের অফিশিয়াল সংস্করণ হচ্ছে ওয়াহাবী মতবাদ।
Remove ads
নামকরণ
Muhammad ibn ʿAbd al-Wahhab (আরবি: محمد بن عبد الوهاب;বাংলায়: মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব) (জন্ম ১৭০৩ খ্রিস্টাব্দে, মৃত্যু ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে) একজন ইসলামিক সালাফি পণ্ডিত এবং ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।তাঁর জন্ম নজদ প্রদেশে (বর্তমান রিয়াদ)।মূলত তাঁর নামানুসারে এই আন্দোলনের নাম হয়েছে।
ভারতীয় উপমহাদেশে বিস্তার
কেউ কেউ মনে করেন ভারতে উত্তর প্রদেশের সৈয়দ আহমদ বেরলভি ১৮২২সালে মক্কায় হজ করতে গিয়ে আবদুল ওয়াহাবের সংস্পর্শে এসে প্রভাবিত হন এবং তিনি ভারতে ফিরে এসে ওয়াহাবি অন্দোলনের অনুকরণে ভারতে ধর্মসংষ্কার কার্যক্রম শুরু করেন। যদি ও এই বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, কেননা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব ১৭৯২ সালে মৃত্যু বরণ করেন , তাদের মাঝে লেক্বা তথা সাক্ষাতের সম্ভাবনা নেই।তবে তিনি ফকির ও মুহাদ্দিস আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভীর মাধ্যমে বেশি প্রভাবিত হন,আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী ভারতবর্ষকে দারুল হারব ঘোষণা করেছিলেন, এতে মুসলমানরা প্রভাবিত হন। অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে, সৈয়দ আহমেদ ব্রেলবী শিখদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন এবং শিখদের সাথে ইংরেজদের সুসম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে ইংরেজরা শিখদের সাথে সমন্বয় করে তাঁকে ওহাবী মতবাদ প্রচারের সাথে যুক্ত হওয়ার ভুয়া ইতিহাস তৈরি করে। বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের মতে, ভারতে ওহাবী মতবাদের প্রচার করেছিল মাজহাব বিরোধী আহলে হাদিস আকিদার অনুসারীরা।
Remove ads
সমালোচনা
২০১৮ সালের ২২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে সফরে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া সৌদি প্রিন্স ডিনাইস কুশনার ইজ ইন হিজ পকেট শীর্ষক ৭৫ মিনিটের এক সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ বিন সালমান বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিমা দেশগুলোর অনুরোধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবেলায় সৌদি আরব মুসলিম দেশগুলোতে ওয়াহাবি মতবাদ বিস্তারে অর্থায়ন করে।এর লক্ষ্য ছিল, মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে পশ্চিমাদের জয়লাভ করা। [১১][১২][১৩][১৪] রাশিয়াভিত্তিক স্পুটনিক নিউজ, আরটিসহ বিশ্বের আরো কয়েকটি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। [১৫][১৬][১৭]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বিস্তারিত পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads