শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এটি কুমিল্লা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ের নজরুল অ্যাভিনিউতে অবস্থিত। এটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত।



Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
১৯৬১ সালের ১ লা জুলাই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ একুশে পদক প্রাপ্ত পি.টি.আই সুপারেনটেন্ডেন্ট মরহুম এম.এ কুদ্দুস 'চিল্ডরেন'স হোম' নামে একটি প্রাইমারী স্কুল স্থাপন করেন। ১৯৬২ সালে স্কুলটির নাম পরিবর্তন করে 'মডার্ণ স্কুল' নামকরন করা হয়। মরহুম এম.এ কুদ্দুস ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সালের মধ্যে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের থেকে তিন দফায় ২.৪৯ একর (দুই একর ঊনপঞ্চাশ শতক) সরকারী সম্পত্তি ৬৪,০০০/- (চৌষট্টি হাজার) টাকার বিনিময়ে অধিগ্রহন করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মরহুম এম.এ কুদ্দুসের পরিচালনায় মডার্ণ স্কুলটি সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে একটি আদর্শ প্রাইমারী স্কুল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করে। তিনি ১৯৭০ সালের মে মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে পরিচালনার দায়িত্বে থেকে তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি আদর্শ বিদ্যালয় গড়ার চেষ্টায় ব্রতী ছিলেন। ১৯৭০ সালের ২৫শে মে থেকে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন করেন ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যাপক ও সাবেক এমপি খোরশেদ আলম। এভাবে নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে ১৯৯২ সালে কুমিল্লার বরেণ্য রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু আইন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আফজল খান অ্যাডভোকেট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে ১.০০২৫ একর (এক একর পঁচিশ সেন্ট) জমির উপর মডার্ণ হাই স্কুল চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই উদ্যোগের প্রেক্ষিতে ০১/০১/১৯৯৩ সালে ০.৪৯৭৫ একর (উনপঞ্চাশ শতক পঁচাত্তর সেন্ট) জায়গার উপর মডার্ণ হাই স্কুলটি চালু হয়। মডার্ণ হাই স্কুলটি চালু হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে এর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে মডার্ণ হাই স্কুলটি শ্রেষ্ঠ বালক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফলের। ভিত্তিতে এটি কুমিল্লা বোর্ডে ২০০৮ সালে ৩য় ও ২০০৯ সালে ৪র্থ স্থান অর্জন করে। বিগত বছরগুলোতে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষায় A+ (এ প্লাস) প্রাপ্তির দিক থেকে এটি কুমিল্লা বোর্ডে শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রভাতী শাখায় ২৭৯৫ জন ছাত্রী এবং দিবা শাখায় ৩০৮১ জন ছাত্র সহ মোট ৫৮৭৬ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।[২]
Remove ads
অবকাঠামো
স্কুলে তিনটি একাডেমিক ভবন ও একটি প্রশাসনিক ভবন রয়েছে। স্কুলের সম্মুখে একটি মাঠ ও ফুলের বাগান আছে। কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলে আরো রয়েছে মিলনায়তন, গ্রন্থাগার, ক্যান্টিন ও দুইটি ল্যাবরেটরি।
বর্তমান অবস্থা
প্রাথমিকভাবে স্কুলটিতে একটি শিফট ছিল কিন্তু ১৯৯৭ সাল থেকে স্কুলে দুইটি শিফটে বিভক্ত হয়ঃ প্রভাতি ও দিবা। বর্তমানে প্রভাতি শাখায় মেয়েরা ও দিবা শাখায় ছেলেরা অধ্যায়ন করে, স্কুলটিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ৭০০০ শিক্ষার্থী এবং ১৪৮জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। প্রভাতি শাখায় ৭২জন ও দিবা শাখায় ৭৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।
ইউনিফরম
ছেলেদের জন্য স্কুলের নির্দিষ্ট ইউনিফরম হল সাদা শার্ট, নেভি ব্লু প্যান্ট ও সাদা জুতো। শার্ট ফুল হাতা বা হাফ হাতা দুটোই গ্রহণযোগ্য। মেয়েদের জন্য স্কুলের নির্দিষ্ট ইউনিফরম হল সাদা সেলোয়ার, নেভি ব্লু কামিজ ও সাদা জুতো। এছাড়া শীতকালে নেভি ব্লু রঙের সোয়েটারও ইউনিফরমের অন্তর্ভুক্ত। শার্টের পকেটে স্কুলের মনোগ্রামযুক্ত ব্যাজ থাকা আবশ্যক।
ভর্তি
সাধারণত শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে। এছাড়াও সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা অন্যান্য শ্রেণীতেও ভর্তি হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সংঘটিত হয়।
ফলাফল
সারাংশ
প্রসঙ্গ
মাধ্যমিক পর্যায়ে বাংলাদেশে শিক্ষাবোর্ডের অধীনে জে এস সি ও এস এস সি নামে দুইটি পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টম শ্রেণী শেষে জে এস সি এবং দশম শ্রেণী শেষে এস এস সি পরীক্ষা হয়। উভয় পরীক্ষার ফলাফল জিপিএ-র ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড প্রতিবছরই উভয় পরীক্ষায় ফলাফল (পাশের হার ও জিপিএ-৫ ধারীর সংখ্যা) ভিত্তিতে সেরা বিদ্যালয় বাছাই করে। কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুল ২০০৪ সালে এস এস সি-র ফলাফলের জন্য "চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়" ও ২০১০ সালে জে এস সি-র ফলাফলের জন্য "শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়" নির্বাচিত হয়।[৩]
জে এস সি
২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলের জে এস সি-র ফলাফল নিচে দেয়া হলঃ
এস এস সি
২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলের এস এস সি-র ফলাফল নিচে দেয়া হলঃ
Remove ads
সহশিক্ষা কর্মসূচী
- বি এন সি সি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর)
- স্কাউটিং
- খেলাধুলা (অ্যাথলেটিক্স, ক্রিকেট ও ফুটবল)
- বিতর্ক
- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
- বার্ষিক সাময়িকী
- গণিত ও ভাষা প্রতিযোগিতা
- বিজ্ঞান মেলা
- শিক্ষা সফর ইত্যাদি
চিত্রশালা
- প্রধান ফটক
- শোভাবর্ধনকারী নামফলক, জুন ২০১৩
- অভ্যন্তরীণ দৃশ্য
আরও দেখুন
- বাংলাদেশের স্কুলের তালিকা
- আফজল খান জালুয়াপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads