শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ (১২ এপ্রিল ১৮৬৩ — ৪ জুলাই ১৯২৭) হলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার। তার পিতার নাম গুরুচরণ ভট্টাচার্য।[১]
ক্ষীরোদপ্রসাদ মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে রসায়নে বিএ পাস করে প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এমএ পাস করেন। ১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইনস্টিটিউশনে অধ্যাপনা করেন।[১]
Remove ads
সাহিত্যকীর্তি
ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা করতেন। ১৮৮৫ সালে তার রাজনৈতিক সন্ন্যাসী (দুই খণ্ড) প্রকাশিত হয়েছিল। ১৮৯৪ সালে তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দে ফুলশয্যা নাটকটি রচনা করেন। এটি উচ্চকবিত্বপূর্ণ বাংলা নাটক হিসাবে প্রশংসা পেয়েছিল। ক্ষীরোদপ্রসাদের সবথেকে জনপ্রিয় নাটক আলিবাবা (১৮৯৭)। আরব্য উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে তিনি এই গীতিনাট্যটি লিখেছিলেন।[১]
তার ঐতিহাসিক নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রঘুবীর, বঙ্গের প্রতাপাদিত্য, আলমগীর, ও নন্দকুমার। এই নাটকগুলি দেশাত্মবোধক চেতনা জাগাতে সাহায্য করেছিল। তার রচিত ৬টি পৌরাণিক নাটকের মধ্যে ভীষ্ম ও নরনারায়ন রঙ্গমঞ্চে বহুদিন অভিনীত হয়েছিল। তিনি মোট ৫৮টি বই লিখেছিলেন। এগুলির মধ্যে কয়েকটি উপন্যাস এবং গল্পের বইও আছে। তিনি ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীমদ্ভগবদগীতা অনুবাদ করেন। তিনি ১৩১৬ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩২২ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত অলৌকিক রহস্য নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।[১]
গিরিশচন্দ্রকে অনুসরণ করেও তিনি পৌরাণিক নাটককে গিরিশচন্দ্রের প্রভাব থেকে কিছুটা মুক্ত করতে পেরেছিলেন। তার নাটক গিরিশচন্দ্রের নাটকের মত অতটা ভক্তি-রসাসিক্ত ছিল না। তিনি পৌরাণিক চরিত্রগুলিকে বুদ্ধির দিক দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের নাট্যকাব্যের প্রভাব তার কয়েকটি নাটকে সুষ্পষ্ট ভাবে পড়েছিল।[২]
Remove ads
উল্লেখযোগ্য নাটক[৩]
ক্ষীরোদপ্রসাদের নাটক গুলিকে মূলত নিম্নলিখিত শ্রেণীতে তুলে ধরা যায়ঃ
- নাটিকা
|
- রঙ্গনাট্য ও গীতিনাট্য
|
- পৌরাণিক নাটক
|
ইতিহাসাশ্রয়ী নাটক
|
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads