শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
খাজুরাহো স্মারকসমূহ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
খাজুরাহো স্মারকসমূহ (ইংরেজি: Khajuraho group of Monuments) হল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ছত্রপুর জেলার খাজুরাহো শহরের নিকটে অবস্থিত প্রাচীন হিন্দু ও জৈন মন্দিরের একটি সমষ্টিক্ষেত্র। এই মন্দিরগুলো হিন্দু নাগররীতির স্থাপত্যের প্রতীক এবং কামোদ্দীপক ভাস্কর্যের জন্য প্রসিদ্ধ।[১]
খাজুরাহো (খর্জুরবাহক) স্মারকসমূহ রাজপুত বংশোদ্ভুত চন্দেল রাজবংশের অধীনে ৯৫০ ও ১০৫০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে নির্মিত।[২] এই সময়টি ছিল উক্ত রাজবংশের শাসনের স্বর্ণযুগ। বর্তমানে এই স্মারকসমূহের যেগুলো অক্ষত অবস্থায় আছে সেগুলো যৌথভাবে হিন্দু ধর্ম এবং জৈন ধর্ম-এর স্থাপত্য।[৩] এগুলোর স্থাপত্যশৈলীতে নানান স্থাপত্যশৈলীর বিস্ময়কর মিশ্রণ দেখা যায়। এই স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন কন্দারিয়া মন্দির। ৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট মন্দিরপ্রাঙ্গণে নির্মিত ৮৫টি মন্দিরের মধ্যে মাত্র ২২টি মন্দির এখনো বিদ্যমান। মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলটি ১৯৮২ সালের ১৫ অক্টোবর ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকার[৪] অন্তর্ভুক্ত হয় দ্বাদশ শতাব্দীর মুসলমান-আক্রমণের পূর্বে চন্দেলসংস্কৃতির অনন্য এবং মৌলিক শিল্পকৌশলের নিদর্শন ও প্রমাণ এবং একটি সাংস্কৃতিক সম্পত্তি হিসাবে।[৫][৬]

Remove ads
ইতিহাস
খাজুরাহো মন্দিরসমূহ দশম শতাব্দীতে চন্দেল রাজত্বকালে নির্মিত হয়। ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মধ্য ভারতে (বুন্দেলখণ্ড) বিভিন্ন মুসলিম রাজবংশের শাসনামলে এই মন্দিরসমূহ দুর্গমতার জন্য অবহেলায় লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যায়।[৩] ১৮৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার টি. এস. বার্ট স্থানীয় হিন্দু ব্যক্তিবর্গের পথনির্দেশনায় জঙ্গলাকীর্ণ জায়গাটি গোটা বিশ্বের কাছে পুনরাবিষ্কার করেন।[৮] এর কয়েক বছর পর, আলেকজান্ডার কানিংহাম মন্দিরসমূহ-সংক্রান্ত তথ্যাদি সুবিন্যস্ত করেন।[৯]
১৩৩৫ - ১৩৪২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে মরক্কোর পর্যটক ইবন বতুতার ভারতভ্রমণের স্মৃতিকথায় তার খাজুরাহো স্মারকসমূহ পরিদর্শনের বৃত্তান্ত উল্লিখিত হয়েছে।[১০][১১]


Remove ads
চিত্রসম্ভার
- মূর্তিসমূহ
- নগ্ন মূর্তিসমূহ
তথ্যসূত্র
আরও পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads