শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
গণেশ আচার্য
ভারতীয় নৃত্য পরিকল্পক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
গণেশ আচার্য একজন ভারতীয় নৃত্য পরিকল্পক, পরিচালক এবং অভিনেতা, যিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি ভাগ মিলখা ভাগ (২০১৩) চলচ্চিত্রের "হাওয়াঁ কুন্ড" এবং টয়লেট: এক প্রেম কথা (২০১৭) চলচ্চিত্রের "গোরি তু লাথ মার" গানের নৃত্য পরিকল্পনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন।[৪]
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
গণেশ ভারতের মাদ্রাজের একটি তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার বাবা ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিকল্পক। তার বাবা যখন মারা যান, তখন গণেশের বয়স ছিল ১১ বছর। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের আর্থিক অনটনের কারণে গণেশকে তার পড়াশোনা বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। পরে তিনি ওড়িশার কটকে চলে যান। তারপর বোনের সাহায্যে নাচ শেখা শুরু করেন।
কর্মজীবন
গণেশ একজন সহকারী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১২ বছর বয়সে তার নিজস্ব নৃত্য কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর তিনি একজন নৃত্য পরিকল্পক হয়ে ওঠেন এবং প্রথমবার ১৯৯২ সালে অনাম চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিকল্পক হিসেবে কাজ করেন।[৬]
তিনি ২০০২ সালে লজ্জা (২০০১) চলচ্চিত্রের "বড়ি মুশকিল" গানের জন্য সেরা নৃত্য পরিকল্পনা বিভাগে স্ক্রিন উইকলি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি খাকী (২০০৪) চলচ্চিত্রের "অ্যায়সা জাদু ডালা রে" গানের জন্য সেরা নৃত্য পরিকল্পক হিসেবে জি সিনে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। ওমকারা (২০০৬) চলচ্চিত্রের "বিড়ি" গানের জন্য তিনি ২০০৭ সালে সেরা নৃত্য পরিকল্পনার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন।
গণেশ ২০০৬ সালে রং দে বাসন্তী, ফির হেরা ফেরি, গোলমাল, ওমকারা এবং লাগে রাহো মুন্না ভাই চলচ্চিত্রের নৃত্য পরিকল্পনা করেছিলেন।
এরপর তিনি চলচ্চিত্র পরিচালনায় ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি প্রথমবার ২০০৭ সালে স্বামী চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন মনোজ বাজপেয়ী ও জুহি চাওলা। তিনি ২০০৮ সালে মানি হ্যায় তো হানি হ্যায় নামের একটি হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন। ২০১১ সালে তিনি তামিল চলচ্চিত্র রৌথিরাম-এ খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে তিনি অগ্নিপথ চলচ্চিত্রের "চিকনি চামেলি" গানের নৃত্য পরিকল্পনা করেন।
Remove ads
ব্যক্তিগত জীবন
২০০০ সালের নভেম্বরে গণেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক বিধি আচার্যকে বিয়ে করেন।[৭] তাদের সৌন্দর্য আচার্য নামে একজন কন্যা সন্তান রয়েছেন।[৮]
চলচ্চিত্রের তালিকা
নৃত্য পরিকল্পক হিসেবে
- অনাম (১৯৯২)
- ময়দান-এ-জং (১৯৯৫)
- তাকাত (১৯৯৫)
- কুলি নম্বর ১ (১৯৯৫)
- সাজন চলে সসুরাল (১৯৯৬)
- ছোটে সরকার (১৯৯৬)
- ঔজার (১৯৯৭)
- জিদ্দি (১৯৯৭)
- মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খিলাড়ি (১৯৯৭)
- ভাই (১৯৯৭)
- গোলাম-এ-মুস্তফা (১৯৯৭)
- জুড়ওয়া (১৯৯৭)
- বদমাশ (১৯৯৮)
- ঘরওয়ালি বাহারওয়ালি (১৯৯৮)
- আচানক (১৯৯৮)
- তিরছি টোপিওয়ালে (১৯৯৮)
- বন্ধন (১৯৯৮)
- বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ (১৯৯৮)
- সোলজার (১৯৯৮)
- ওয়াজুদ (১৯৯৮)
- লাল বাদশাহ (১৯৯৯)
- কালা সাম্রাজ্য (১৯৯৯)
- আন্তর্জাতিক খিলাড়ি (১৯৯৯)
- সিলসিলা হ্যায় প্যায়ার কা (১৯৯৯)
- জানম সমঝা করো (১৯৯৯)
- আনাড়ি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৯)
- সির্ফ তুম (১৯৯৯)
- হাসিনা মান জায়েগি (১৯৯৯)
- হোতে হোতে প্যায়ার হো গয়া (১৯৯৯)
- মন (১৯৯৯)
- অর্জুন পণ্ডিত (১৯৯৯)
- বাদশাহ (১৯৯৯)
- হ্যালো ব্রাদার (১৯৯৯)
- বাস্তব: দ্য রিয়্যালিটি (১৯৯৯)
- তক্ষক (১৯৯৯)
- এন সখিয়ে (২০০০)
- বাগি (২০০০)
- চল মেরে ভাই (২০০০)
- জোরু কা গুলাম (২০০০)
- বেটি নাম্বার ওয়ান (২০০০)
- তেরা জাদু চল গয়া (২০০০)
- জং (২০০০)
- কুঁওয়ারা (২০০০)
- হাদ কার দি আপনে (২০০০)
- হামারা দিল আপকে পাস হ্যায় (২০০০)
- শিকারি (২০০০)
- আগাজ (২০০০)
- জিস দেশ মে গঙ্গা রেহতা হ্যায় (২০০০)
- খিলাড়ি ৪২০ (২০০০)
- ফর্জ (২০০১)
- জোড়ি নাম্বার ওয়ান (২০০১)
- বাস ইতনা সা খোয়াব হ্যায় (২০০১)
- ইয়ে রাস্তে হ্যায় প্যায়ার কে (২০০১)
- লজ্জা (২০০১)
- ইত্তেফাক (২০০১)
- কিউঁ কি... ম্যায় ঝুঠ নহি বোলতা (২০০১)
- অজনবি (২০০১)
- রেহনা হ্যায় তেরে দিল মেঁ (২০০১)
- ইন্ডিয়ান (২০০১)
- দিওয়ানাপন (২০০১)
- রাজ (২০০২)
- ক্রান্তি (২০০২)
- আপ মুঝে আচ্ছে লাগনে লাগে (২০০২)
- প্যায়ার কি ধুন (২০০২)
- প্যায়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায় (২০০২)
অভিনেতা হিসেবে
- দেহাতি ডিস্কো (২০২২)
- গোবিন্দা নাম মেরা (২০২২)
- জিরো (২০১৮)
- মৌসম ইকরার কে দো পল প্যায়ার কে (২০১৮)
- অপারেশন মেকং (চীনা চলচ্চিত্র, ২০১৬)
- ওয়েলকাম ব্যাক (২০১৫)
পরিচালক হিসেবে
- স্বামী (২০০৭)
- মানি হ্যায় তো হানি হ্যায় (২০০৮)
- অ্যাঞ্জেল (২০১১)
- ভিখারি (২০১৭)
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads