শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

সঙ্গীত

তাল, লয়, সুর ও সুসংবদ্ধ ধ্বনির সমন্বয়ে সৃষ্ট শ্রবণযোগ্য কলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

সঙ্গীত
Remove ads

সঙ্গীত দ্বারা গীত, বাদ্য, নৃত্য এই তিনটি বিষয়ের সমাবেশকে উল্লেখ করা হয়।[] গীত এক ধরনের শ্রবণযোগ্য কলা যা সুসংবদ্ধ শব্দ ও নৈশব্দের সমন্বয়ে মানব চিত্তে বিনোদন সৃষ্টি করতে সক্ষম। স্বর ও ধ্বনির সমন্বয়ে গীতের সৃষ্টি। এই ধ্বনি হতে পারে মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃত ধ্বনি, হতে পারে যন্ত্রোৎপাদিত শব্দ অথবা উভয়ের সংমিশ্রণ। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে সুর ধ্বনির প্রধান বাহন। সুর ছাড়াও অন্য যে অনুষঙ্গ সঙ্গীতের নিয়ামক তা হলো তাল

Thumb
১৭৪০ এ ফ্রান্সোইস বাউচারের সংগীতের পরিবেশন কল্পনা চিত্র

অর্থযুক্ত কথা, সুর ও তালের সমন্বয়ে গীত প্রকাশিত হয়।[] সুর ও তালের মিলিত ভাব এ বাদ্য প্রকাশিত হয়।[] ছন্দের সাথে দেহ ভঙ্গিমার সাহায্যে নৃত্য গঠিত ।[]

Remove ads

ইতিহাস

Thumb
তিন সঙ্গীতজ্ঞ, নাখতের সমাধি, থিবস, মিশর

পাথরযুগের মানুষও সঙ্গীত গাইতো। সম্ভবত প্রথম সঙ্গীত তৈরির চেষ্টা হয়েছিল শব্দ ও ছন্দ দ্বারা প্রকৃতির সাহায্যে।

সঙ্গীতের প্রকারভেদ

  • প্রাচ্য সঙ্গীতপাশ্চাত্য সঙ্গীত
  • যন্ত্র সঙ্গীতকণ্ঠসঙ্গীত
  • শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, লোক সঙ্গীতআধুনিক সঙ্গীত

ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুংরী, টপ্পা, গজল, কাওয়ালী, কালোয়াতী

বাংলা সঙ্গীতের উল্লেখযোগ্য ধারাগুলি হলো - বাউল সঙ্গীত , শ্যামা সংগীত, ব্রহ্মসংগীত, পরমার্থ সঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, দ্বিজেন্দ্রগীতি, অতুলপ্রসাদী ইত্যাদি।

সঙ্গীতের স্বরলিপি

সঙ্গীত বা সুর বা স্বর এর প্রকাশ পদ্ধতিতে সাত (৭) টি চিহ্ন ( সংকেত ) ব্যবহৃত হয়, যথা :

সা রে গা মা পা ধা নি

এই সাতটি চিহ্ন দ্বারা সাতটি কম্পাংক নির্দেশ করা হয় । এছাড়াও আরও ৫টি স্বর রয়েছে ; যাদেরকে বিকৃত স্বর বলা হয় । যথা :

ঋ জ্ঞ হ্ম দ ণ

সঙ্গীতের তাল

সঙ্গীত সর্বাঙ্গীণ সুন্দর হয় তখনই, যখন তাল, মাত্রা, লয় সহকারে নির্দিষ্ট প্রণালীতে সম্পন্ন হয়। বলা হয়ে থাকে বেসুরো সঙ্গীত তবুও শ্রবনযোগ্য, তবে তাল-হীন গান সহ্য করা সম্ভব নয়। তাল হল সঙ্গীতের কঙ্কাল স্বরুপ। বিভিন্ন রকম তাল এর নাম ও মাত্রাঃ

Remove ads

যন্ত্র সঙ্গীত

বিভিন্ন প্রকার যান্ত্রীয় সঙ্গীত:

সঙ্গীত শিল্পের বাণিজ্যিক প্রসার

প্রাচীনকাল থেকে এ বঙ্গঅঞ্চলে কীর্তন বা ঈশ্বরের নামে গান করার প্রচলন চলে আসছে। চর্যাগীতির পরে বাংলা সঙ্গীতে উল্লেখযোগ্য হয়ে আছে নাথগীতি। যদিও সঙ্গীতকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট হয়েছে এক ধরনের ব্যবসার। এতে সঙ্গীত রচনা করে গ্রাহক কিংবা প্রচার মাধ্যমে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এর সাথে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন রেকর্ড কোম্পানী, ব্রান্ড এবং ট্রেডমার্ক সহযোগে লেবেল এবং বিক্রেতা। ২০০০ সালের পর থেকে গানের শ্রোতার সংখ্যা অসম্ভব আকারে বৃদ্ধি পেয়েছ। শ্রোতারা ডিজিটাল মিউজিক ফাইলগুলোকে এমপি-থ্রী প্লেয়ার, আইপড, কম্পিউটার এবং অন্যান্য বহনযোগ্য আধুনিক যন্ত্রে সংরক্ষণ করছেন। গানগুলো ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে কিংবা ক্রয় করে সংগ্রহ করা যায়। ডিজিটাল মাধ্যমে গান সংগ্রহ ও দেয়া-নেয়ার মাধ্যমে বর্তমান সঙ্গীত শিল্প প্রসারিত হয়েছে।

তবে ইন্টারনেট থেকে অবাধে বিনামূল্যে গান ডাউনলোড করার ফলে গানের সিডি বিক্রয়ের ব্যবসায় এক ধরনের হুমকির মুখে রয়েছে। এর ফলে বাণিজ্যিক শিল্পীরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারছেন না।

Remove ads

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads