শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
গ্রন্থি
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
গ্রন্থি হলো প্রাণীদেহের একটি কোষ বা অঙ্গ যা দেহের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পদার্থ উৎপন্ন ও নিঃসরণ করে, হয় রক্তপ্রবাহে অথবা দেহগহ্বর বা বাহ্যিক পৃষ্ঠে।[১] গ্রন্থি দেহ থেকে মূত্র-এর মতো অবাঞ্ছিত পদার্থও অপসারণ করতে পারে।[২]
গ্রন্থি প্রধানত দুই প্রকার, প্রতিটির নিঃসরণ পদ্ধতি ভিন্ন: - **অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি**: নালিবিহীন, এগুলি সরাসরি আন্তঃকোষীয় স্থানে হরমোন নিঃসরণ করে যা রক্তপ্রবাহে শোষিত হয়। - **বহিঃস্রাবী গ্রন্থি**: নালির মাধ্যমে দেহগহ্বর বা বাহ্যিক পৃষ্ঠে নিঃসরণ ঘটায়।[২]
গ্রন্থিগুলো প্রধানত এপিথেলিয়াল টিস্যু দ্বারা গঠিত এবং সাধারণত যোজক টিস্যুর সমর্থনকারী কাঠামো ও একটি ক্যাপসুল থাকে।[২]
Remove ads
গঠন
বিকাশ


প্রতিটি গ্রন্থি এপিথেলিয়াল পৃষ্ঠ থেকে অন্তর্ভেদনের মাধ্যমে গঠিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে নলাকার গঠন থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে গ্রন্থি কোষের একটি কঠিন স্তম্ভ হিসাবে শুরু হয় যা পরে নলাকারে রূপান্তরিত হয়।[৩]
বৃদ্ধির সাথে সাথে কোষস্তম্ভ বিভক্ত হয়ে শাখা তৈরি করতে পারে, ফলে যৌগিক গ্রন্থি গঠিত হয়। অনেক গ্রন্থিতে শাখার সংখ্যা সীমিত, আবার লালাগ্রন্থি বা অগ্ন্যাশয়ের মতো অঙ্গে পুনরাবৃত্ত বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক কাঠামো গঠিত হয়। যকৃত ব্যতীত সাধারণত শাখাগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত হয় না।[৩]
গ্রন্থির আকার অনুযায়ী শ্রেণিবিভাগ:
- নলাকার গ্রন্থি: নলাকার আকৃতি বজায় রাখে।
- অ্যালভিওলার/স্যাকুলার গ্রন্থি: নিঃসরণকারী অংশ প্রসারিত ও গহ্বর আকারে বৃদ্ধি পায়।[৩]
Remove ads
গ্রন্থির প্রকারভেদ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
গ্রন্থিকে তাদের কার্যকারিতার ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ করা হয়:

অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি
অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি রক্তপ্রবাহে পদার্থ নিঃসরণ করে। এগুলি বেসাল ল্যামিনা ভেদ করে রক্তে পদার্থ সরবরাহ করে। বেসাল ল্যামিনা গ্রন্থিগুলিকে ঘিরে থাকা লক্ষাধিক রক্তনালিকার স্তর হিসাবে দেখা যায়। এই গ্রন্থিগুলি প্রায়শই হরমোন নিঃসরণ করে যা সাম্যপ্রবণতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিনিয়াল গ্রন্থি, থাইমাস গ্রন্থি, পিটুইটারি গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি এবং দুটি অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি অন্তঃস্রাবী গ্রন্থির উদাহরণ।
বহিঃস্রাবী গ্রন্থি
বহিঃস্রাবী গ্রন্থি নালির মাধ্যমে ত্বক বা পরিপাকতন্ত্রের মতো পৃষ্ঠে পদার্থ নিঃসরণ করে। নিঃসরণ সরাসরি শীর্ষ পৃষ্ঠে ঘটে। এই গ্রন্থিগুলিকে তিনটি উপবিভাগে ভাগ করা যায়:
- মেরোক্রাইন গ্রন্থি – কোষগুলি এক্সোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় পদার্থ নিঃসরণ করে (যেমন: শ্লেষ্মা ও সেরাস গ্রন্থি; মানবদেহের প্রধান ঘর্মগ্রন্থি, গবলেট কোষ, লালাগ্রন্থি, অশ্রুগ্রন্থি ও অন্ত্রীয় গ্রন্থি)।
- অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি – নিঃসরণকালে কোষের অংশবিশেষ ক্ষয়প্রাপ্ত হয় (যেমন: স্তনগ্রন্থি, বগলের ঘর্মগ্রন্থি, যৌনাঙ্গের চারপাশের ত্বক, পায়ুপথের চারপাশের ত্বক, ঠোঁট ও বোটকা)।
- হলোক্রাইন গ্রন্থি – সমগ্র কোষ বিয়োজিত হয়ে পদার্থ নিঃসরণ করে (যেমন: সেবাসিয়াস গ্রন্থি: মেইবোমিয়ান গ্রন্থি ও জেইস গ্রন্থি)।
নিঃসরণের প্রকৃতি অনুযায়ী বহিঃস্রাবী গ্রন্থির শ্রেণিবিভাগ:
Remove ads
ক্লিনিক্যাল তাৎপর্য

![]() | এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (April 2014) |
অ্যাডিনোসিস হলো গ্রন্থির যেকোনো রোগ যেখানে গ্রন্থি টিস্যুর অস্বাভাবিক গঠন বা বিকাশ ঘটে, যা কখনও কখনও অর্বুদে পরিণত হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads