শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
চার্লি স্টেয়ার্স
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
সেন কনরাড চার্লি স্টেয়ার্স (ইংরেজি: Charlie Stayers; জন্ম: ৯ জুন, ১৯৩৭ - মৃত্যু: ৬ জানুয়ারি, ২০০৫) ব্রিটিশ গায়ানার জর্জটাউনে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ব্রিটিশ গায়ানা এবং ভারতীয় ক্রিকেটে পশ্চিম অঞ্চল ও বোম্বে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।[১] দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন ‘চার্লি’ ডাকনামে পরিচিত চার্লি স্টেয়ার্স।
Remove ads
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৬২-৬৩ মৌসুম পর্যন্ত চার্লি স্টেয়ার্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে বার্বাডোসের বিপক্ষে মনোরম সেঞ্চুরি করেছিলেন। পরের মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দ্বাদশ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। তবে, সম্ভবতঃ তার বোলিং ভঙ্গীমার কারণে খেলানো হয়নি। পূর্বেকার ঘরোয়া মৌসুমে ঢিলাকৃতি বোলিং এর প্রধান কারণ ছিল।
১৯৬১ সালে বার্বাডোসের বিপক্ষে ৬/৭০ পান। কনরাড হান্ট, এভারটন উইকস ও সেম্যুর নার্স তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। জর্জটাউনে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় কম্বাইন্ড আইল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬/৬৩ লাভ করেন। ঐ প্রতিযোগিতায় ১৮.২৩ গড়ে ২২ উইকেট দখল করেন। অংশগ্রহণকৃত সতেরোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় একমাত্র শতকটি ১৯৫৯ সালে ব্রিজটাউনে বার্বাডোসের বিপক্ষে করেন। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এ সাফল্য পান।
১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড স্থানীয় ব্যাটসম্যানদেরকে উচ্চগতিসম্পন্ন পেস বোলারদের মোকাবেলার লক্ষ্যে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে চারজন ফাস্ট বোলারকে খেলার অনুমতি দিলে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে এ সুযোগ পান। স্টেয়ার্স বোম্বের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। জয়পুরে রঞ্জি ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেন। এটিই তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলা ছিল। রাজস্থানের বিপক্ষে ৬/৩৬ নিয়ে ইনিংস বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।
Remove ads
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন চার্লি স্টেয়ার্স। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।[২] ৪ এপ্রিল, ১৯৬২ তারিখে একই মাঠে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
১৯৬১-৬২ মৌসুমে ভারত দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। ঐ সফরের চার টেস্টে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। ৪০.৪৪ গড়ে নয় উইকেট পেয়েছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ওয়েস হলের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল প্রথমবারের মতো ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে। স্টেয়ার্স মাঝারিমানের সফলতা পান। চার ইনিংসের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন অপরাজিত ৩৫ রান। কিন্তু, ১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড গমন করে ব্যর্থ হন।
Remove ads
অবসর
১৯৬২-৬৩ মৌসুমে ভারতীয় ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর তিনি আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে ফিরে যাননি। ১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্য তাকে দলে রাখা হয়। কিন্তু, পেশাদারী চুক্তির ফলে এনফিল্ডের সাথে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশ নেন। এ সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করতে থাকেন। পড়াশোনার লক্ষ্যে ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। এরপর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নাইজেরিয়া, উগান্ডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। এরপর তিনি আর প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেননি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে খেলা থেকে অবসর নেন।
দীর্ঘদেহী চার্লি স্টেয়ার্স ফাস্ট বোলার হিসেবে খেললেও নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটিংয়েও প্রয়োজনীয় ভূমিকা রেখেছেন। তীক্ষ্ন, ধারালো গতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে পরিচিতি পান। বৈশ্বিকভাবে ‘চার্লি’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তার নাতি জেমস বারের জন্মের দুই বছর পর ৬ জানুয়ারি, ২০০৫ তারিখে ৬৭ বছর বয়সে লন্ডনে চার্লি স্টেয়ার্সের দেহাবসান ঘটে। তার মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে ৪ জানুয়ারি, ২০০৫ তারিখে আরেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটার রবার্ট ক্রিস্টিয়ানি কানাডার টরন্টোয় ৮৫ বছর বয়সে ঘটেছিল।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads