শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
চূর্ণী নদী
ভারতের নদী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
চূর্ণী নদী ভারতের নদীয়া জেলার মাজদিয়াতে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এর পর নদীটি ৫৬ কিমি প্রবাহিত হয়ে পায়রাডাঙ্গার কাছে শিবপুরে হুগলী নদীতে মিশেছে।
Remove ads
প্রবাহ
কুষ্টিয়া জেলায় পদ্মা নদী থেকে মাথাভাঙ্গা নদী উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার মাজদিয়াতে (পাবাখালি) দুটি প্রবাহে ভাগ হয় — ইছামতি ও চূর্ণী নদী। উৎস থেকে পাবাখালি পর্যন্ত পর্যন্ত মাথাভাঙ্গার দৈর্ঘ্য ১৯৬.৪০ কিলোমিটার। মাজদিয়া থেকে ইছামতি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে, এবং চূর্নী দক্ষিণ-পশ্চিমে বাহিত হয়েছে।[১] চূর্নী নদীটি মাজদিয়া, শিবনিবাস, হাঁসখালি, বীরনগর, আরংঘাটা ও রানাঘাটের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে হুগলি নদীতে পতিত হয়েছে। মাজদিয়ায় (পাবাখালিতে) উৎসস্থল থেকে শিবপুরে হুগলী নদীতে সঙ্গমস্থল পর্যন্ত চূর্ণী নদীর দৈর্ঘ্য ~৫৩ কিলোমিটার (৩৩ মাইল)[২], যদিও মতান্তরে ~৫৬ কিলোমিটার (৩৫ মাইল)।[৩] নদীটির প্রবাহ পথে কিছু নদী চর বা দ্বীপ দেখা যায়, এবং বর্তমানে নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে অতীতের তুলনায়।[৪]
Remove ads
ইতিহাস
জনশ্রুতি অনুযায়ী, চূর্ণী নদী হল একটি কৃত্রিম খাল। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র শিবনিবাসে রাজধানী স্থানান্তর করার পর চূর্ণী নদী খনন করান[৫]। এই জনশ্রুতি নির্ভরযোগ্য তথ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।[২]। 'নদীয়াকাহিনী'[৬], 'ক্ষিতীশবংশাবলীচরিত'[৭] ও শ্রীমহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিতং[৮] মত প্রাচীন রচনাগুলিতে কোথাও নিশ্চিত করে বলা হয় নি যে, চূর্ণী নদী হল কৃত্রিম খাল;[৯] বরং চূর্নী যে বার বার মজে যাওয়া একটি প্রাকৃতিক নদী, সে বিষয়ে তথ্য নির্ভর আলোকপাত রয়েছে সাম্প্রতিক কিছু রচনায়।[১০][১১]
১৯৩০ সালে নদীটি এই অঞ্চলের প্রধান বাণিজ্য পথ হিসাবে ব্যবহৃত হত।
Remove ads
বাংলা সাহিত্যে
রবীন্দ্রনাথের ১৩০৪ বঙ্গাব্দে রচিত, দেবতার গ্রাস, কবিতায় চূর্ণী নদীর কথা আছে। 'হেমন্তের প্রভাতশিশিরে ছলছল করে গ্রাম চূর্ণীনদীতীরে'। এছাড়া বাংলা জীবনমুখী গায়ক শিলাজিৎ মজুমদারের গানে চূর্নী নদীর কথা এসেছে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা "আদর্শ হিন্দু হোটেল" বইয়েও চূর্ণী নদীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
পাদটীকা
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads