শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
জেজু দ্বীপ
দক্ষিণ কোরিয়ার ব-দ্বীপ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
জেজু দ্বীপ (কোরীয়: 제주도; হাঞ্জা: 濟州島; কোরীয় উচ্চারণ: [t͡ɕed͡ʑudo]) দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম দ্বীপ, যা দেশটির জেজু প্রদেশে অবস্থিত৷ এই দ্বীপটি মূলত কোরিয়া প্রণালীতে অবস্থিত, কোরিয়ান উপদ্বীপ থেকে নিম্নে এবং দক্ষিণ জেলো প্রদেশের দক্ষিণে অবস্থিত৷ দ্বীপটির মধ্যে অবস্থিত জেজু আগ্নেয়গিরি ও লাভা নির্গমন নল একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিত।[২] জেজুতে সবসময় মাঝারি ধরনের জলবায়ু বিরাজ করে৷ এমনকি শীতকালেও এর তাপমাত্রা ০°সে (৩২° ফারেনহাইট) এর নিচে যায় না৷ দ্বীপটি অবসরে ছুটি কাটানোর জন্য খুবই জনপ্রিয়৷ দ্বীপটির অর্থনৈতিক অবস্থার একটি বৃহৎ অংশ পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল।
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
তামনা রাজ্য প্রথম এই দ্বীপে রাজত্ব শুরু করে৷[৩] দ্বাদশ শতাব্দিতে কোরিয়া আক্রমণের পর, মোঙ্গলরা জেজু দ্বীপে তাদের ঘাটি স্থাপন করে৷[৪] মঙ্গোল সেনাবাহিনী পশুখাদ্যের জন্য এই দ্বীপকে চারণভূমি হিসেবে ব্যবহার শুরু করে৷ ১৫'শ সালের শুরুতে, দ্বীপটি জোসন সাম্রাজ্য দখল করে৷ এরপর প্রায় ২০০ বছর এখানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল এবং দ্বীপে স্থানীয় বহু গণজাগরণকে দমন করা হয়৷[৫]
জেজু গণজাগরণ

১৮৪৮ সালের ৩রা এপ্রিল থেকে ১৯৪৯ সালের মে মাস পর্যন্ত দ্বীপে সংঘটিত গণজাগরণ থামাতে দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার কমিউনিস্ট বিরোধী ক্যাম্পেইন শুরু করে৷[৬][৭] ১৯৪৮ সালে কোরিয়ায় জাতিসংঘের অস্থায়ী কমিশন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় নির্বাচনই সরকার বিরোধী এই সশস্ত্র গণজাগরণের মূল কারণ ছিল ৷ জেজু দ্বীপের স্থানীয় ওয়ার্কারস দলের সদস্যারা মূলত কোরিয়া বিভক্তিকরণের বিপক্ষে ছিল ৷ যেহেতু দক্ষিণ কোরিয়াতে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন হচ্ছে যা বিভক্তিকরণকে পুনরায় বলবৎ করতে পারে, সেই ভয় থেকে ওয়ার্কারস দলের গেরিলা যোদ্ধারা স্থানীয় পুলিশ এবং ডানপন্থী দলের সদস্যদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়৷[৭][৮] অতঃপর এই সশস্ত্র হামলার পরে, দক্ষিণ কোরিয়ান সরকার জেজু দ্বীপে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় যার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে৷[৭][৮][৯] মার্কিন সেনাবাহিনী প্রায় ৯৭ জন ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল যারা সরকারী বাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছিল৷[৭] জেজুতে সংঘটিত বিদ্রোহে প্রায় ৩০,০০০ থেকে ৪০,০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করে যা এই দ্বীপের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ শতাংশ ছিল৷[৭][৮][৯][১০][১১] প্রায় ৪০,০০০ মানুষ জাপানে পালিয়ে যায়৷ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি বহুদিন ধরে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার৷[৯] ২০০৬ সালে কোরিয়ান সরকার এরজন্য জনগণের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে৷ ২০০৮ সালে জেজু আন্ত:জাতিক বিমান বন্দরের নিকটে জেজু হত্যাকাণ্ডে নিহতদের একটি গণকবর উদ্ধার করা হয়৷[১২]
Remove ads
ভূগোল
- হ্যালোসানে ব্যাঙ্গনকডাম
- জেজু দ্বীপের পাহাড়
- জেজুর হলা পাহাড়
- জেজু দ্বীপের মানচিত্র
জেজু আগ্নেয়গিরিসম্পন্ন একটি দ্বীপ যার বৃহৎ অংশ হলো হলোসান৷ দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এখানে অবস্থিত। আগ্নেয়গিরির উচ্চতা প্রায় ১,৯৫০ মিটার (৬,৪০০ ফুট)৷ দ্বীপটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ৭৩ কিলোমিটার (৪৫ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ৪১ কিলোমিটার (২৫ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত৷[১৩]
সিনোজেনিক যুগে প্রায় ২ মিলিয়ন বছর আগে দ্বীপটিতে আগ্নেয়গিরি থেকে আগ্নুৎপাত ঘটেছিল ৷ দ্বীপটি লাভা ও ব্যাসাল্ট দ্বারা তৈরী।[১৪]
Remove ads
অর্থনীতি
পর্যটন শিল্প এই দ্বীপটির স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ এই দ্বীপটিকে অনেকসময় দক্ষিণ কোরিয়ার হাওয়াই বলা হয়৷ সমগ্র দক্ষিণ কোরিয়ার মত এখানেও চীনা পর্যটকদের জন্য ভিসা প্রদান করা হয় না৷
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads