শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
জেমস প্রিন্সেপ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
জেমস প্রিন্সেপ ( ২০ আগস্ট ১৭৯৯ - ২২ এপ্রিল ১৮৪০ ) ছিলেন একজন ইংরেজ পণ্ডিত, প্রাচ্যবিদ, পুরাতাত্ত্বিক ও বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ। এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গলের জার্নালের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক জেমস প্রিন্সেপ ভারতের খরোষ্টী ও ব্রাহ্মী লিপি পাঠোদ্ধারের জন্য সমধিক প্রসিদ্ধ ছিলেন। ভারতের টাঁকশালে মুদ্রা-ধাতুপরীক্ষকের কর্মজীবন শুরু করে মুদ্রাশাস্ত্র, ধাতুবিদ্যা ও আবহাওয়া বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক অবদান রেখে গেছেন।
Remove ads
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ

জেমস প্রিন্সেপের জন্ম ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে আগস্ট ইংল্যান্ডে। পিতা জন প্রিন্সেপ (১৭৪৬ - ১৮৩০) ও মাতা সোফিয়া এলিজাবেথ অরিয়ানের (১৭৬০ - ১৮৫০) দশটি সন্তানের মধ্যে সপ্তম সন্তান জেমস প্রিন্সেপ ছিলেন সবচেয়ে কীর্তিমান। কপর্দকহীন অবস্থায় ১৭৭১ খ্রিস্টাব্দে জন প্রিন্সেপ ভারতে আসেন এবং অন্যতম নীলকর হিসাবে বিশেষ প্রতিষ্ঠা পান। চল্লিশ হাজার পাউন্ডের ধনসম্পত্তি অধিকারী ইস্ট ইন্ডিয়ান বণিক হয়ে ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে ফিরে যান এবং ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে ক্লিফটনে বসবাস করতে থাকেন। কিন্তু ভারতের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সেহেতু তিনি তার সমস্ত পুত্রকে ও প্রিন্সেপ পরিবারের সদস্যদের ভারতে বিভিন্ন উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত করান। নিজেও পার্লামেন্টের একজন সদস্য হন। জেমস প্রিন্সেপের প্রাথমিক পড়াশোনা মি. বুলক পরিচালিত ক্লিফটনের এক স্কুলে শুরু হয় এর পর জেমস নিজের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাদের কাছে শিক্ষা লাভ করেন। তবে জেমস ড্রয়িং ও বিভিন্ন যান্ত্রিক আবিষ্কারের প্রতি মেধার কারণে অগাস্ট পুগিন কাছে স্থাপত্যবিদ্যায় শিক্ষা নেন। কিন্তু যখন তার পিতা জানতে পারলেন ভারতের টাঁকশালে ধাতুপরীক্ষণের জন্য বিভাগ চালু হবে, তিনি জেমসকে রসায়নবিদ্যায় শিক্ষা দিয়ে লন্ডনের রয়াল টাঁকশালের ধাতু পরীক্ষক রবার্ট বিংলে'র সহকারী হিসাবে দুই বৎসরের (১৮১৮ -১৮১৯) প্রশিক্ষণ নিতে পাঠান। [১]
Remove ads
ভারতে কর্মজীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৮১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই সেপ্টেম্বর জেমস প্রিন্সেপ তার এক ভাই হেনরি থোবির সাথে কলকাতা আসেন এবং টাঁকশালে উপ-ধাতু পরীক্ষকের কাজে যোগ দেন। কলকাতার টাঁকশালের তার ঊর্ধতন ধাতু-পরীক্ষক বিশিষ্ট প্রাচ্যবিদ হোরেস হ্যামেন উইলসনের নির্দেশে জেমস বারাণসী টাঁকশালে যান। সেখানে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে টাঁকশাল বন্ধ হওয়া পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন। পরে তিনি আবার কলকাতায় চলে আসেন এবং ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে উইলসন পদত্যাগ করলে (সেই পদে উইলসনের মনোনীত প্রার্থী, জেমস অ্যাটকিনসনের স্থানে) জেমস ধাতু পরীক্ষক হন।
তিনি ধাতু পরীক্ষক হিসাবে কাজ করার সময় বহু বৈজ্ঞানিক পড়াশোনা করেছেন। তিনি চুল্লীগুলির তাপমাত্রা সঠিকভাবে পরিমাপ করার উপায় বের করেছিলেন। এর কৌশল সম্পর্কে তার লেখা ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনের 'ফিলোজফিক্যাল ট্রানজাকশন অব দ্য রয়াল সোসাইটি'তে প্রকাশের পর তিনি রয়াল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি প্ল্যাটিনামের তাপীয় প্রসারণের পাশাপাশি মাইকা প্লেটগুলির ক্রমাঙ্কিত সিরিজ ব্যবহার করে ভিজ্যুয়াল পাইরোমিট্রিক পরিমাপের সম্ভাবনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তিনি ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য প্লাটিনাম, স্বর্ণ ও রৌপ্য মিশ্রণের মিশ্রণগুলিকে একটি কাপ বা ক্রূশিবলের মধ্যে রেখে তাদের গলন পর্যবেক্ষণ করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি এমন একটি পাইরোমিটারও উদ্ভাবনা করেছিলেন যা স্বর্ণের বাল্বের মধ্যে রাখা স্বল্প পরিমাণ বায়ুর প্রসারণ পরিমাপ করে। [২] ১৮৩৩ সালে তিনি ভারতীয় ওজন ও পরিমাপের সংস্কারের প্রস্তাব রেখেছিলেন। তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নতুন রুপোর টাকার উপর ভিত্তি করে একটি অভিন্ন মুদ্রা জারির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি এক সূক্ষ্ম ও সংবেদনশীল ওজন পরিমাপক যন্ত্র তৈরি করেছিলেন। [৩]
স্থাপত্যশিল্প

জেমস প্রিন্সেপের স্থাপত্য বিষয়ে প্রচুর আগ্রহ ছিল এবং বারাণসীতে বহু নিদর্শন রেখেছেন। বারাণসীতে নতুন পুদিনা ভবনের পাশাপাশি সেন্ট মেরি গির্জার স্থপতি তিনি। তিনি বেনারসের বিভিন্ন স্মৃতিসৌধ ছাড়াও তিনি আওরঙ্গজেবের মসজিদে্র উদ্ধারকর্তা ছিলেন। কলকাতা থেকে জলপথে বারাণসী যাওয়ার সময় তিনি গঙ্গার দু-পারের যে ছবি আঁকতে আঁকতে যান তা নিয়ে ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে বই প্রকাশ করেছেন - 'ভিউজ অ্যান্ড ইলাস্ট্রেশন অফ বেনারস'। বারাণসীর উৎসবগুলির জলরঙের একটি চিত্রও এঁকেছিলেন। সেটি ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনে প্রেরণ করা হয়েছিল এবং ১৮৩০ থেকে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বেনারস ইলাস্ট্রেটেড নামে একটি সিরিজের অঙ্কন প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি বারাণসীর ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলির স্যানিটেশন উন্নত করার জন্য নিশ্চল হ্রদগুলি নিষ্কাশন করতে এবং একটি খিলানযুক্ত সুড়ঙ্গপথ ডিজাইন করতে সহায়তা করেছিলেন এবং কর্মনাশা নদীর উপর একটি পাথরের সেতু নির্মাণ করেছিলেন। তিনি যখন কলকাতায় চলে আসেন, তার ভাই বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ার্সদের ক্যাপ্তেন টমাস প্রিন্সেপ হুগলি নদীকে সুন্দরবনের সাথে যুক্ত করতে একটি খাল কাটতে শুরু করেন, কিন্তু ভাইয়ের আকস্মিক প্রয়াণে জেমস প্রিন্সেপ সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেন।
এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল

১৮২৯ খ্রিষ্টাব্দে ক্যাপ্টেন জেমস ডি হারবার্ট নামের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী "গ্লানিংস ইন সায়েন্স" নামের এক ধারাবাহিক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেছিলেন। ক্যাপ্টেন হারবার্ট ১৮৩০ খ্রিষ্টাবদে অবধের রাজার দরবারে জ্যোতির্বিজ্ঞানী হিসাবে যোগ দেন তখন জার্নালটির জেমস প্রিন্সেসের সম্পাদনায় ছিল এবং জেমস নিজে এর প্রধান লেখক ছিলেন। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল-এর সেক্রেটারি হিসাবেহোরেস হ্যামেন উইলসনের স্থলাভিষিক্ত হলে প্রিন্সেপ এই জার্নালের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হয়ে ওঠেন এবং রসায়ন, খনিজ বিজ্ঞান, সংখ্যাতত্ত্ব এবং ভারতীয় পুরাতত্ত্বের উপর বহু নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তিনি আবহাওয়া নিরীক্ষণ এবং পর্যবেক্ষণের সারণী তৈরি এবং সারা দেশ থেকে প্রাপ্ত আবহাওয়া তথ্যের বিশ্লেষণে খুব আগ্রহী ছিলেন। আর্দ্রতা এবং বায়ুমণ্ডলের চাপ পরিমাপ করতে তিনি ব্যারোমিটার নিয়ে কাজ করেছিলেন। [৪] ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে অসুস্থ হওয়া পর্যন্ত তিনি জার্নালটির সম্পাদনা করেন। পরে ভারত ত্যাগ করে ইংল্যান্ড ফিরে যান এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়। তথ্য সম্বন্ধীয় বহু চিত্রসহ বিবরণ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল [৫]
মুদ্রাশাস্ত্র

মুদ্রা সম্পর্কে জেমস প্রিন্সেপের আগ্রহ ছল সর্বাধিক। তিনি গুপ্ত আমলের "পাঞ্চ চিহ্নিত" বা ছপাঙ্কিত মুদ্রাসহ ভারতীয় প্রচলিত মুদ্রার পাশাপাশি বাক্টরিয়া এবং কুশাণ আমলের মুদ্রার পাঠোদ্ধার ও বিশ্লেষণ করেন। প্রিন্সেপ মুদ্রা প্রচলনের পর্যায়ে ছাপাঙ্কিত, নকশা খচিত ও ছাঁচে ঢালাইকৃত তিনটি স্তরের মুদ্রা জারির প্রস্তাব রাখেন। [৬][৭] প্রিন্সেপ দেশীয় পাঞ্চ চিহ্নিত মুদ্রা সম্পর্কেও জানিয়েছিলেন,[৮] উল্লেখ করে যে তারা পূর্ব ভারতে বেশি পরিচিত ছিল। [৯]
ব্রাহ্মী লিপির পাঠোদ্ধার


এশিয়াটিক সোসাইটির জার্নালের সম্পাদক হিসাবে প্রিন্সেপের কাজের পরিপেক্ষিতে, সারা ভারত থেকে তার কাছে মুদ্রা এবং শিলালিপিগুলির অনুলিপি পাঠানো হত সেগুলির পাঠ উদ্ধার করে, অনুবাদের শেষে প্রকাশ করার জন্য। [১৪]
ব্রাহ্মী লিপি র পাঠোদ্ধারের প্রথম সফল প্রচেষ্টা ১৮৩৬ সালে নরওয়ের পণ্ডিত খ্রিস্টান লাসসেন করেছিলেন , তিনি ইন্দো-গ্রীক রাজা আগাথোক্লেস এবং প্যান্টালিয়নের দ্বিভাষিক গ্রীক-ব্রাহ্মী মুদ্রাকে বেশ কয়েকটি ব্রাহ্মী বর্ণকে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। [১৫] কিন্তু ব্রাহ্মী লিপির পাঠোদ্ধার এবং প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের বহু রহস্য উন্মোচন ছিল জেমস প্রিন্সেপের এক দশকের শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব
জেমস প্রিন্সেপ হোরেস হ্যামেন উইলসনের প্রভাবে অনুপ্রাণিত হন ভারতবিদ্যাচর্চায়। তার বড়ো অবদান অশোক লিপির পাঠোদ্ধার। ১৮৩৬–-৩৮-এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থান হতে পাওয়া শিলালিপি অন্তর্ভুক্ত। এই লিপিগুলি মূখ্যত দিল্লি এবং এলাহাবাদ স্তম্ভগুলিতে এবং ভারতের উত্তর-পশ্চিমের মুদ্রা এবং শিলালিপিতে খরোষ্ঠী লিপিতে পাওয়া যায়। গুজরাটে পাওয়া যে গিরনার অশোক লিপির তিনি পাঠোদ্ধার করেন, সেটিতে ছিল গ্রিক রাজা অ্যান্টিওকাস আর ইজিপ্টের টলেমির উল্লেখ। অশোকের আমলে ভারতবর্ষের মানবিক ভূগোল যে কত বিস্তৃত ছিল এ লিপিই তার প্রমাণ। ভারতীয় লিপিগ্রন্থের সংকলন - "করপাস ইনসিলিঙ্কাম ইন্ডিকারামের " ধারণাটি জেমস প্রিন্সেপের। পরে ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজ শুরু করেছিলেন। [১৬] প্রিন্সেস্পের গবেষণা এবং রচনা কেবল ভারতে সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রিন্সেপ আফগানিস্তানের প্রারম্ভিক ইতিহাসেরও অনুসন্ধান করেছিলেন এবং সেগুলির বেশ কয়েকটি রচনা সে দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সঠিক খোঁজ দিয়েছিল। সেগুলির বহু সংগ্রহ আলেকজান্ডার বার্নেস হতে প্রাপ্ত। [১৭] জেমস প্রিন্সেস্পের মৃত্যুর পরে, তার ভাই হেনরি থোবি প্রিন্সেপ ১৮৪৪ খ্রিষ্টাব্দে আফগানিস্তান থেকে তৈরি সংকলন সম্পর্কিত সংখ্যাতাত্ত্বিকের কাজ অনুসন্ধান করে একটি খণ্ড প্রকাশ করেছিলেন। [১৮]
অন্যান্য সাধনা
একজন প্রতিভাবান শিল্পী ও ড্রাফটসম্যান হিসাবে জেমস, প্রিন্সেপ বহু প্রাচীন স্মৃতিসৌধ, জ্যোতির্বিজ্ঞান, যন্ত্র, জীবাশ্ম এবং অন্যান্য বিষয়ের সূক্ষ্ম স্কেচ তৈরি করেছিলেন। তিনি আবহাওয়া সম্প্রকে সঠিক ধারণার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। তিনি একটি ব্যারোমিটার ডিজাইন করেছিলেন। [১৯] তিনি স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যারোমিটার সরবরাহ করা এবং অন্যের ছকের সাথে তৈরি করা বিবরণ ছাড়াও আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়ের বিবরণী রাখতেন।
Remove ads
ব্যক্তিগত জীবন
জেমস প্রিন্সেপ বেঙ্গল সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট-কর্নেল জেরেমিয়েন অবার্টের ও তার স্ত্রী হান্নার ( আলেকজান্ডার অবার্টের নাতি) জ্যেষ্ঠ কন্যা ক্যারীয় সোফিয়া অবার্টকে ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে এপ্রিল কলকাতার ক্যাথেড্রালে বিবাহ করেন। ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে তাদের এক কন্যা এলিজা জন্ম গ্রহণ করে। [১]
তিনি ১৮৩৯ খ্রিস্তাব্দে আমেরিকান ফিলজফিক্যাল সোসাইটির সদস্য নির্বাচিত হন [২০]
মৃত্যু এবং উত্তরাধিকার

জেমস প্রিন্সেপ মাত্র ৪১ বৎসর বয়সে ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ শে এপ্রিল ইংল্যানডে প্রয়াত হন। জেমস প্রিন্সেপের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তৎকালীন বড়লাট লর্ড এদেনবরা ১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রিন্সেপের নামে গঙ্গার তীরে স্মৃতি সৌধ ও ঘাট যা প্রিন্সেপ ঘাট নামে পরিচিত তৈরি করেন।

আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
অন্যান্য উৎস
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads