শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
জেরাল্ড ফোর্ড
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম রাষ্ট্রপতি এবং ৪০থম উপ-রাষ্ট্রপতি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
জেরাল্ড ফোর্ড (জন্মনাম: লেসলি লিঞ্চ কিং জুনিয়র; ১৪ জুলাই ১৯১৩ - ২৬ ডিসেম্বর ২০০৬) ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮তম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। রিপাবলিকান দলের সদস্য ফোর্ড রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগের পর ক্ষমতায় বসেন। এর আগে, ভাইস প্রেসিডেন্ট স্পাইরো অ্যাগনিউর পদত্যাগের পর ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি নিক্সনের অধীনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তারও আগে, ১৯৪৯ সাল থেকে টানা ২৪ বছর তিনি মিশিগানের প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেস সদস্য ছিলেন।
ফোর্ড নেব্রাস্কার ওমাহায় জন্ম নিলেও মিশিগানের গ্র্যান্ড র্যাপিডসে বেড়ে ওঠেন। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের হয়ে খেলেন। পরে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পড়েন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯৪২-১৯৪৬) তিনি নৌ রিজার্ভে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৯ সালে মিশিগানের ৫ম আসন থেকে কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। শেষ নয় বছর তিনি কংগ্রেসে তার দলের নেতা (হাউস মাইনরিটি লিডার) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরে, ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাগনিউর পদত্যাগের পর ২৫তম সংবিধান সংশোধনীর আওতায় ফোর্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। মাত্র আট মাস পর, আগস্ট ১৯৭৪-এ নিক্সনের পদত্যাগের পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পান।
তার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র মহামন্দার পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হয়। মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দা একসাথে চেপে বসে। তার সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত রিচার্ড নিক্সনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমা করে দেওয়া। এই সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
তার শাসনামলে কংগ্রেসের প্রভাব বেড়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কিছুটা খর্ব হয়। স্নায়ুযুদ্ধের তীব্রতা কমাতে তিনি হেলসিঙ্কি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তার রাষ্ট্রপতিত্ব শুরুর মাত্র নয় মাসের মাথায় দক্ষিণ ভিয়েতনামের পতনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসান ঘটে।
১৯৭৬-র নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রাথমিক নির্বাচনে রোনাল্ড রেগানকে হারিয়ে তিনি মনোনয়ন পেলেও, মূল নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জিমি কার্টারের কাছে অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন।
ফোর্ডই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র রাষ্ট্রপতি যিনি কখনো রাষ্ট্রপতি বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হননি। রাষ্ট্রপতি পদ ছাড়ার পরও তিনি রিপাবলিকান দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু ৯০ ও ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে দলের রক্ষণশীল সদস্যদের সঙ্গে তার মধ্যপন্থী সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধ তৈরি হয়। ১৯৭৬ সালের তিক্ত নির্বাচনের পর তিনি জিমি কার্টারের প্রতি বিদ্বেষ ভুলে যান এবং দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। বার্ধক্যজনিত নানা স্বাস্থ্য সমস্যার পর ২০০৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার রাঞ্চো মিরাজে তিনি মারা যান।
ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মূল্যায়নে তিনি গড়পড়তা বা তার চেয়ে কিছুটা নিম্নমানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্থান পেয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অপেক্ষাকৃত ইতিবাচক ছিল।
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads