শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
জে. টি. হার্ন
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
জন টমাস হার্ন (ইংরেজি: J. T. Hearne; জন্ম: ৩ মে, ১৮৬৭ - মৃত্যু: ১৭ এপ্রিল, ১৯৪৪) কেলফন্ট সেন্ট জাইলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৮৯২ থেকে ১৮৯৯ সময়কালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ঘরোয়া ক্রিকেটে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলেন জ্যাক হার্ন নামে পরিচিত জে. টি. হার্ন। দলে তিনি মূলতঃ মিডিয়াম-ফাস্ট বোলাররূপে অংশ নিতেন। পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।
Remove ads
কাউন্টি ক্রিকেট
বাকিংহামশায়ারের চালফন্ট সেন্ট জাইলস এলাকায় তার জন্ম। বিখ্যাত ক্রিকেটার জে. ডব্লিউ. হার্ন সম্পর্কে তার দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়।[২] ১৮৮৮ সালে মিডলসেক্সের সদস্যরূপে অস্ট্রেলীয়দের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন। ১৮৯০ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তাকে দলে নেয়া হয়নি। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে তার প্রথম খেলায় অংশগ্রহণের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জানতেন না যে তাকে খেলার সুযোগ দেয়া হবে। খেলায় তিনি ৬/৬২ পান। ১৮৯১ সালে হার্ন উইকেট প্রতি মাত্র ১০.৩৩ রান দিয়ে ১১৮ উইকেট পান। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ৯/৩২ ও ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৮/২২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। হার্নের এ সাফল্যের প্রেক্ষিতে ১৮৯২ সালে তাকে উইজডেন কর্তৃপক্ষ বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে ঘোষিত করে।[৩] ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য আমন্ত্রিত হন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ইনিংসে দশ উইকেট লাভকারী বোলারদের অন্যতম তিনি। এ তালিকায় উইলফ্রেড রোডস, টিচ ফ্রিম্যান ও চার্লি পার্কারের পরই তিনি অবস্থান করছেন। এছাড়াও এ তালিকায় টম গডার্ড, ডব্লিউ. জি. গ্রেস ও অ্যালেক কেনেডি অবস্থান করছেন।
Remove ads
খেলোয়াড়ী জীবন
ডব্লিউ.ডব্লিউ রিডের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ৪০ রান সংগ্রহ করলেও তাকে বোলিং করতে দেয়া হয়নি।
১৮৯৯ সালে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে হ্যাট্রিক করেন জ্যাক হার্ন। ৩০ জুন, ১৮৯৯ তারিখে লিডসের হেডিংলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার ক্লেম হিল, সিড গ্রিগরি, মন্টি নোবেলকে আউট করে এ সাফল্য পান।[৪]
১৮৯২ সাল থেকে সংরক্ষিত বোলার হিসেবে মিডলসেক্স ও এমসিসির পক্ষে খেলেন। ১৮৯৩ সালের গ্রীষ্মে ২০০-এর বেশি উইকেট নিয়ে পূর্বেকার সাফল্যকে ম্লান করে দেন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন ও দক্ষতা প্রদর্শন করেন। তন্মধ্যে, নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে দুইটি খেলা উল্লেখযোগ্য ছিল।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩,০৬১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছেন যা তাকে সর্বকালের মিডিয়াম পেস বা এর উপরের স্তরের যে-কোন বোলারের চেয়ে সেরা ছিল। ১৮৯৬ সালে ২৫৭ উইকেট পেয়ে মোট উইকেটপ্রাপ্তিতে দশম স্থান অধিকার করে আছেন। ১৮৯১, ১৮৯৮, ১৯০৪ ও ১৯১০ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের বোলিং গড়ে তিনি সর্বাগ্রে ছিলেন।
Remove ads
খেলার ধরন
একসময় ফিল্ডিংয়ের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত ক্যাচের জন্য তিনি উইকেটের কাছাকাছি অবস্থায় নির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দিতেন এবং মাঝে-মধ্যেই দলের আপদকালীন সময়ে দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
অবসর
১৯২০ সালে প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে হার্ন মিডলসেক্সের পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত হন। এ পদে তিনি এক দশককাল ছিলেন। এ সময়েই ভারতে কয়েকবার সফর করেন। ১৯৩০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কোচিং করান। এরপরই তিনি অবসর নেন। ১৭ এপ্রিল, ১৯৪৪ তারিখে নিজ জন্মস্থান কেলফন্ট সেন্ট জাইলস এলাকায় তার দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads