শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

দৈনিক প্রথম আলো

বাংলা ভাষার সংবাদপত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

দৈনিক প্রথম আলো
Remove ads

দৈনিক প্রথম আলো বাংলাদেশ থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি দৈনিক সংবাদপত্র। ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র।[]

দ্রুত তথ্য ধরন, ফরম্যাট ...
Remove ads

ইতিহাস

দৈনিক প্রথম আলো ১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বরে প্রথম প্রকাশিত হয়।

২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে রেমন ম্যাগসেসাই পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ মতিউর রহমান এ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।[] ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি এ পত্রিকাটির প্রকাশক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। পত্রিকাটি সামাজিক আন্দোলনের সংকেত হিসাবে প্রথমে যে শ্লোগানটি আপ্ত করে তা হলো যা কিছু ভালো তার সঙ্গে প্রথম আলো। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে তা পরিবর্তন করে বদলে যাও, বদলে দাও শ্লোগানটি গ্রহণ করা হয়। ২০১৩ সালে প্রথম আলোর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নতুন স্লোগান করা হয় পথ হারাবে না বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্লোগান হয় ভালোর সাথে আলোর পথে

২০২১ সালে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে আটক করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টা’ অভিযোগ এনে তাঁকে সচিবালয়ে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।[] পরে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একজন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।[] মামলা দায়েরের পর তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।[] ২৩ মে ২০২১ সালে আদালতে পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় মুক্তি পান রোজিনা ইসলাম।[]

Remove ads

পত্রিকার বিবরণ

প্রথম আলো ব্রডশিট আকারে মুদ্রিত হয়। এতে বাদামি নিউজপ্রিন্ট কাগজ ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে কলাম সংখ্যা ৬ (পূর্বে ছিল ৮)। নিয়মিত সংখ্যা ২০ পৃষ্ঠা। সপ্তাহে চার দিন মূল ব্রডশিট পত্রিকার সঙ্গে ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়।

নিয়মিত আয়োজন

প্রথম আলোর নিয়মিত আয়োজনে থাকে- সংবাদ, সম্পাদকীয়, খবর, আন্তর্জাতিক,খেলাধুলা, বিনোদন, পড়াশোনা, মতামত, অর্থ-বাণিজ্য, টেক বার্তা। ফিচারপাতা হিসাবে আছে- শনিবারে "প্র-ছুটির দিনে", রোববারে "প্র-স্বপ্ন নিয়ে" ও "বন্ধুসভা", সোমবারে "প্র-বাণিজ্য", মঙ্গলবারে "প্র-নকশা", বুধবারে "প্র-অধুনা", বৃহস্পতিবারে "প্র-আনন্দ" ও "কথা‌ কম" এবং শুক্রবারে "প্র-অন্য আলো" ও "গোল্লাছুট"। এছাড়া শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঠকদের জন্য সপ্তাহে তিনদিন প্রকাশ হয় "আমার চট্টগ্রাম"। প্রতিদিনই মূল কাগজে থাকে উত্তরাঞ্চলের পাঠকদের জন্য "রংপুর","বগুড়া" এবং "রাজশাহী" নামে বিভিন্ন আঞ্চলিক আয়োজন। প্রথম আলো'র অনেক পাঠক প্রিয় ফিচার পাতা বন্ধ হয়ে গেছে। যেমন: "রস+আলো", ঢাকার পাঠকদের জন্য "ঢাকায় থাকি" ইত্যাদি।

সামাজিক প্রকল্পসমূহ

সারাংশ
প্রসঙ্গ

সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেও প্রথম আলো জড়িত আছে। এর মধ্যে রয়েছে এসিড সন্ত্রাস রোধ, মাদকবিরোধী আন্দোলনসহ নানা আয়োজন। পাশাপাশি কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা। এছাড়াও বিভিন্ন অলিম্পিয়াড আয়োজনেও এই প্রতিষ্ঠান সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তরুনদের সমাজসেবায় উৎসাহ দিতে আছে "বন্ধুসভা" নামের তরুনদের জন্য সংগঠন। এছাড়া জরুরি জাতীয় আপৎকালীন সময়ে প্রথম আলো ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সকল অর্থ আসে পাঠক-পাঠিকাদের আর্থিক অবদান থেকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এ জন্য স্থাপন করা হয়েছে প্রথম আলো ট্রাস্ট।

গণিত অলিম্পিয়াড

প্রথম আলোর নানা ধরনের সামাজিক কাজের মধ্যে গণিত অলিম্পিয়াড অন্যতম। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড শেষে সেরা নির্বাচিতরা অংশ নেন আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে (আইএমও)

ভাষা প্রতিযোগ

ভাষা প্রতিযোগ ২০০৫ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা একটি ভাষা বিষয়ক প্রতিযোগিতা যেখানে চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। প্রথম আলো-এইচএসবিসি ব্যাংকের যৌথ ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগে এক ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।[] এই উৎসবের সভাপতি আনিসুজ্জামান[][] এখন পর্যন্ত প্রায় ৯০০ স্কুলের ৬০,০০০+ শিক্ষার্থী এতে অংশ নিয়েছে। সাধারণত প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল মাসে এ প্রতিযোগের আঞ্চলিক পর্যায়ের আয়োজন করা হয়।[১০] এরপর মে-জুন মাসে জাতীয় পর্যায়ের আয়োজন হয়।

Remove ads

সাময়িকী

সারাংশ
প্রসঙ্গ

কিশোর আলো

দ্রুত তথ্য সম্পাদক, প্রকাশনা সময়-দূরত্ব ...

কিশোর আলো বাংলাদেশের একটি শিশু কিশোর প্রধান ম্যাগাজিন। ২০১২ সালে প্রথম আলো কিশোর নববর্ষ সংখ্যা ১৪১৯ প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয় প্রথম আলো কিশোর নববর্ষ সংখ্যা ১৪২০।[১১] এরপর ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে এটি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।ম্যাগাজিনটি শিশু-কিশোর দের জন্য শিশুতোষ বিভিন্ন বিষয় ছাপিয়ে থাকে। প্রতিমাসের ৫ তারিখে ম্যাগাজিনটি প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞানচিন্তা

দ্রুত তথ্য সম্পাদক, প্রকাশনা সময়-দূরত্ব ...

বিজ্ঞানচিন্তা দৈনিক প্রথম আলো কর্তৃক প্রকাশিত একটি বিজ্ঞান সাময়িকী। দেশের মানুষকে বিজ্ঞানমনষ্ক করার উদ্দেশ্যে ১৫ই অক্টোবর ২০১৬ থেকে "বিজ্ঞানচিন্তা" যাত্রা শুরু করে।[১২] বর্তমানে প্রতি মাসের ১৫ তারিখ এটি প্রকাশিত হয়।

Remove ads

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

প্রথম আলো ২০২২ সালে ‘গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২২’-এর ন্যাশনাল ব্র্যান্ড বিভাগে ‘বেস্ট ইউজ অব প্রিন্ট’ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান এবং ‘বেস্ট আইডিয়া টু গ্রো অ্যাডভার্টাইজিং সেলস’ ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।[১৩]

সমালোচনা

সারাংশ
প্রসঙ্গ

কার্টুন বিতর্ক

পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাওয়া সাপ্তাহিক রম্য ম্যাগাজিন আলপিন ২০০৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংখ্যায় বিড়ালের নামের আগে মোহাম্মদ ব্যবহার নিয়ে একটি কার্টুন ছাপায়।[১৪] বাংলাদেশী মুসলিম সংগঠনগুলি আন্দোলন ও রাজনৈতিক চাপ তৈরি করে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আলপিনের ৪৩১তম সংখ্যাটির বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ও কার্টুনিস্টকে গ্রেফতার করে। প্রথম আলোর সম্পাদক জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের তৎকালীন খতিব উবায়দুল হক এর কাছে ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

পরবর্তীতে আলপিনের আদলে রস+আলো নামক আরেকটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়।

৩০শে মার্চ ২০২৫ সালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রকাশিত প্রথম আলোর একটি কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহৃত হওয়ায় দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান একে "জঘন্য মনোভাবের প্রকাশ" হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রথম আলোকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।[১৫][১৬]

এ নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টিসহ বিভিন্ন ইসলামী দল প্রতিবাদ জানায় এবং প্রথম আলো নিষিদ্ধের দাবিও ওঠে।[১৭]

কিআ উৎসবে দুর্ঘটনা

২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুরের ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ক্যাম্পাসে কিশোর আলোর ঢাকা অঞ্চলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব চলছিল। ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঐ স্কুলেরই নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুল আবরার নিহত হয়।[১৮] ঘটনাটি তদন্ত করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে যেখানে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা উল্লিখিত হয়।[১৯] এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি আদালত প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ দশজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।[২০]

শেখ হাসিনার সমালোচনা

২০২৩ সালের ২৬ মার্চ প্রথম আলোর ফেসবুক পেইজে অসঙ্গতিপূর্ণ ছবিসংবলিত একটি উদ্ধৃতি প্রকাশিত হয়।[২১] উক্ত বিষয়টির সমালোচনা করে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আলোকে দেশ, জাতি এবং গণতন্ত্রের শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।[২২]

জঙ্গিবাদের বিতর্কিত তথ্য ও কার্যালয়ে হামলা

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে নতুন নতুন বিতর্কিত জঙ্গিবাদ বয়ান প্রচারের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ উঠে দৈনিকটি ‘নেশা না করা, সিগারেটও না খাওয়া, এমনকি, ঠিক সময়ে বাড়ি ফেরা’কেও জঙ্গি হওয়ার সাথে সম্পৃক্ত বলে প্রচার করে।[২৩] [২৪] এ সমস্ত বিতর্কিত খবরের জের ধরে ২৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে কাওরান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ের সামনে ‘বাংলাদেশের জনগণ’ ব্যানারে কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।[২৫][২৬] সেদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।[২৭] পরদিন রাজশাহীতে প্রথম আলোর কার্যালয়ে "আলেম ওলামা ও তাওহীদি জনতা, রাজশাহী" ব্যানারে মিছিল নিয়ে কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি এসে সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পত্রিকাটির বগুড়া অফিসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সাইনবোর্ড ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।[২৮] বিভিন্ন বিভাগজুড়ে প্রথম আলোর কর্মীদের হুমকি ও বিষেদাগার করা হয়।[২৯] পত্রিকাটির কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী সম্পাদক অভিযোগ গুলোর সবক’টিই ভিত্তিহীন এবং অসত্য হিসেবে উল্লেখ করেন। তার মতে তথ্যভিত্তিক সমালোচনা না করে মুখে মুখে ঢালাও সমালোচনা করা ‘স্বাধীন সাংবাদিকতার’ উপর আঘাত এবং এই ধরনের আক্রমণ পরবর্তী আক্রমণের পথ করে দেওয়ার সামিল। পরিকল্পিত ভাবেই বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটছে বলেই পত্রিকাটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা মনে করেন।[২৮] প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর চরম আক্রমণ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিক সমিতি (নোয়াব)। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।[৩০] সম্পাদক পরিষদ তাদের এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমসহ সব প্রতিষ্ঠানে ‘মব জাস্টিস’ কঠোর হাতে দমনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।[৩১] যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকির ঘটনা দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানায়। সাংবাদিকেরা তাদের কাজের জন্য সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের মুখোমুখি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে সংগঠনটি অনুরোধ করে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম) এধরনের বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানায়।[৩২]

আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ

২০২৫ সালে প্রথম আলোর মালিকানাধীন ট্রান্সকম গ্রুপের সাথে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাকালীন সময়ের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগ উঠে। অভিযোহ উঠে হত্যা, শেয়ার জালিয়াতি এবং প্রতারণার একাধিক মামলা ধামাচাপা দিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১০০ কোটি টাকা ঘুষ দেন ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী সিমিন রহমান। আওয়ামী লীগের সরকারের প্রভাব খাটিয়ে মামলা বন্ধের জন্য গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে তিন দফা বৈঠকও করেন সিমিন।[৩৩][৩৪]

সিমিন রহমানের দুর্নীতিতে সহায়তা

ডিসেম্বর ২০২৪ এ ট্রান্সকম গ্রুপ-এর সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে তার ছোট বোন নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে মৃত বাবার শেয়ার আত্মসাতের অভিযোগ আনেন।[৩৫][৩৬][৩৭] উক্ত জালিয়াতির বিষয়ে ১৮ মে ২০২৫ ইলিয়াস হোসেন-এর ফিফটিন মিনিটস নামক ইউটিউব তদন্ত প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে দেখানো হয়, সিমিন রহমানকে এ বিষয়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশসহ বিভিন্নভাবে অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেন এবং তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকার জেরে আসিফ নজরুল উক্ত মামলা বিনা তদন্তে খারিজ করে দেন।[৩৮][৩৯]

Remove ads

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads