শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ

এমন অবস্থান যাতে ধর্মীয় বিশ্বাস সরকার ও জনগণের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত না করে উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ
Remove ads

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ শব্দটির বিস্তৃত অর্থ রয়েছে।তবে ধর্মনিরপেক্ষবাদ বলতে সাধারণত রাষ্ট্র আর ধর্মকে পৃথকরূপে প্রকাশ করাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করাকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আইন কোন নির্দিষ্ট ধর্মের উপর নির্ভরশীল থাকেনা। এছাড়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্র কোনো ধর্মকেই পক্ষপাত করে না। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মকে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে না।কাউকে ধর্ম পালনে বাধ্য করা হবে না। সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।

Thumb
ধর্ম এবং রাষ্ট্র

ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো, তথ্য এবং প্রমাণের উপর নির্ভর করবে, কোনো ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নয়। অর্থাৎ বলা যায়, “ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার”।

রাজনৈতিক ব্যবহারের দিক থেকে বলা হয়, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হলো ধর্ম এবং রাষ্ট্রকে পৃথক করার আন্দোলন, যাতে ধর্মভিত্তিক আইনের বদলে সাধারণ আইনজারি এবং সকল প্রকার ধর্মীয় ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার আহ্বান জানানো হয়।

Thumb
বর্তমানে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রসমূহ
Remove ads

সংক্ষিপ্ত বিবরণ

Thumb
জর্জ জ্যাকব ইলিয়ক

“ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেকুলারিজম” শব্দটি ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব ইলিয়ক (১৮১৭-১৯০৪) প্রথম ব্যবহার করেন।[] জর্জ জ্যাকব ধর্মের কোনো রকম সমালোচনা ছাড়া, সমাজে শৃঙ্খলা আনয়নের জন্য তার এই ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা প্রকাশ করেন। তিনি এই মতবাদকে আরো বিস্তৃত করেন এবং বলেন যে “ধর্মনিরপেক্ষতা খ্রীষ্টধর্মের বিরুদ্ধের কেনো মতবাদ নয়। এটি একটি স্বাধীন সত্ত্বা। ধর্মের অস্তিত্ব নিয়ে এটি কোনো প্রশ্ন তোলে না, কিন্তু অন্যদের ধর্মনিরপেক্ষ হতে উৎসাহিত করে।”

বেরি কসমিন যিনি ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আরো গবেষণা করেন তিনি এটিকে দুইটি অংশে বিভক্ত করেন। ১। কঠোর ধর্মনিরপেক্ষতা ২। নমনীয় ধর্মনিরপেক্ষতা।

Remove ads

ধর্মনিরপেক্ষ নীতিশাস্ত্র

জর্জ জ্যাকব ১৮৯৬ সালে তার ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কিত এক প্রকাশনার ধর্মনিরপেক্ষতাকে নিম্ন লিখিত ভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন: ধর্মনিরপেক্ষতার জীবন, বিশুদ্ধরূপে মানুষের বিবেচনার উপর প্রতিষ্ঠিত, যারা ধর্মের অনির্দিষ্ট বা অপর্যাপ্ত, অবিশ্বস্থ বা অবিশ্বাস্য ধর্মতত্ত্বকে বিশ্লেষণ করেতে ইচ্ছুক তাদের জন্যই এই মতবাদের উৎপত্তি। এর তিনটি মূল ভিত্তি বিদ্যমান, যথাঃ- (১) উন্নয়ন: জীবনকে নৈতিক গুণাবলীর ভিত্তিতে গড়ে তোলা। (২) বিজ্ঞান মানুষের উপলব্ধ। (৩) যে কাজ ভালো তাকে ভালো ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে এবং পাথির্ব জীবনের সার্বিক কল্যাণকেই বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।

Remove ads

প্রতিষ্ঠানসমূহ

তুরস্কে, সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রিয়াশীল ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হচ্ছে “আতাতুর্ক চিন্তা এসোসিয়েশন” (ADD), যেটি প্রজাতান্ত্রিক প্রতিবাদের জন্য অবদান রাখে এবং তুরস্কের চারটি বৃহৎ শহরে ২০০৭ সালে সমাবেশ করে। সেই সমাবেশে প্রায় বিশ লক্ষ্ মানুষ, যাদের অধিকাংশ নারী, মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিসমূহকে রক্ষা করার আবেদন জানায়।

১৮৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত ­‘লেইসেস্টার ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ’ সবচেয়ে পুরনো ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

অতিরিক্ত পাঠ

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads