শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

পারভেজ মুশাররফ

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, এবং সেনা প্রধান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

পারভেজ মুশাররফ
Remove ads

পারভেজ মুশাররফ (উর্দু: پرویز مشرف, প্রতিবর্ণী. Parvez Muśharraf; (১১ আগস্ট ১৯৪৩ – ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি, এবং সাবেক সেনাপ্রধান। ১৯৯৯ সালের ১২ই অক্টোবর তারিখে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করে মোশাররফ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন। পরে ২০০১ সালের ২০শে জুন তারিখে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন।[]

দ্রুত তথ্য পারভেজ মুশাররফ Pervez Musharraf, ১০ম পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ...

পারভেজের জন্ম হয়েছিলো দিল্লীতে ১৯৪৩ সালে, তিনি করাচী এবং তুরস্কের ইস্তানবুলে বড় হন। লাহোরের ফরমান ক্রিশ্চিয়ান কলেজে মুশাররফ গণিত নিয়ে ভর্তি হলেও পরিবারের অমতে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন ১৯৬১ সালে। ১৯৬৪ সালে তিনি একাডেমী থেকে ২য় লেফটেন্যান্ট হিসেবে বের হয়েছিলেন।[] এই ২য় লেফটেন্যান্ট পদবীতেই তিনি ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আশির দশকে ব্রিগেডিয়ার পদবীতে তিনি একটি গোলন্দাজ ব্রিগেডের অধিনায়কত্ব করেন। নব্বইয়ের দশকে মেজর-জেনারেল মুশাররফ একটি পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়কত্ব এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো বাহিনী 'স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপ'-এর প্রধান অধিনায়ক হন। তিনি পরে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি এবং ডাইরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স ডাইরেক্টরেট ছিলেন।[]

১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসে পারভেজ মুশাররফের পদবী লেফটেন্যান্ট-জেনারেল থেকে পূর্ণ জেনারেল পদবীতে উন্নীত করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। পূর্ণ জেনারেল হিসেবে পারভেজ সেনাবাহিনী প্রধান এবং চেয়ারম্যান অব দ্যা জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ কমিটির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে ভারতে হামলার মূল পরিকল্পনা পারভেজই করেছিলেন যেটা পরে কার্গিল যুদ্ধতে রূপ নেয়।[] প্রধানমন্ত্রী শরীফের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পারভেজের তর্কাতর্কি থাকায় শরীফ পারভেজকে সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। জেনারেল পারভেজ এর জবাব হিসেবে নওয়াজ শরীফকে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেন ১৯৯৯ সালে; শরীফ গৃহবন্দী হন এবং তাকে রাওয়ালপিন্ডির সেন্ট্রাল জেলে আটকিয়ে রাখা হয়।[]

পারভেজ দেশের শাসনক্ষমতা পরিপূর্ণভাবে নিজের হাতে তুলে নেন এবং ২০০১ সালে চেয়ারম্যান অব দ্যা জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ কমিটির পদ ছেড়ে দেন যদিও তিনি আর্মি চীফের দায়িত্বে থেকে যান।[] ২০০১ সালের ২০শে জুন পারভেজ নিজেকে দেশের প্রকৃত রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং ২০০২ সালের ১ই মে তারিখে একটি রেফারেন্ডামের মাধ্যমে তিনি পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি থাকবেন বলে ঘোষণা করেন।[]

ক্ষমতায় বসার সঙ্গে সঙ্গেই পারভেজ দেশের অর্থনীতি এবং সমাজ-ব্যবস্থা পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ দেন, তিনি 'থার্ড ওয়ে' রাজনৈতিক ধারার সমর্থক ছিলেন, তিনি শওকত আজিজকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরো ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন।[] জেনারেল পারভেজ ক্ষমতায় আসার কয়েক বছরের মধ্যেই ইসলামপন্থী জঙ্গীদের হামলার দ্বারা হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন যদিও প্রত্যেকবারই তিনি বেঁচে যান। ২০০২ সালে তিনি দেশের সংবিধানে পরিবর্তন আনেন। তিনি সামাজিক উদারনীতিবাদ এর একজন গোঁড়া সমর্থক ছিলেন এবং তিনি পাকিস্তানের জন্য 'এনলাইটেন্ড মোডারেশোন প্রোগ্রাম' চালু করেন, সঙ্গে সঙ্গে তিনি 'ইকোনমিক লিবারেলাইজেশোন' শক্তভাবে চালু করে ট্রেড ইউনিয়ন নিষিদ্ধ করেছিলেন।[]

Remove ads

শাস্তি

দেশদ্রোহের অভিযোগে পাকিস্তানের লাহোর উচ্চবিচারালয়-এর বিচারক শহীদ করিমের বেঞ্চ হতে পারভেজের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়।[১০][১১][১২] যদিও খুব শীঘ্রই মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে দেওয়া হয়।[১৩]

মৃত্যু

২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আমেরিকান হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।[১৪][১৫]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads