শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

প্রত্যাশা (ভাস্কর্য)

মৃণাল হকের ভাস্কর্য উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

প্রত্যাশা (ভাস্কর্য)map
Remove ads

প্রত্যাশা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য।[] মৃণাল হক নির্মিত ভাস্কর্যটি ঢাকার ফুলবাড়িয়ায় বঙ্গবাজার সংলগ্ন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের বিপরীতে একটি ত্রিকোনাকার সড়কদ্বীপের উপর স্থাপিত।[] ঢাকা নগরীর ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নগর কর্তৃপক্ষের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০০৮ সালের ৬ মে ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়।[]

দ্রুত তথ্য প্রত্যাশা, শিল্পী ...
Remove ads

পটভূমি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মৃণাল হক রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন। যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য দুইবার পালিয়ে যান। পালানোর সময় চোখের সামনে সারদা রেলক্রসিং-এ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গুলিতে ছাত্র শিক্ষকদের মৃত্যুবরণের ঘটনা তাকে আলোড়িত করেছিল। এঘটনা তাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।[]

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ঢাকার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে মৃণাল হকের সাথে যৌথকর্মের অংশ হিসেবে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল। মৃণাল হক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সকলস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের পাশাপাশি যুদ্ধধবিরোধী বা শান্তি বিরাজের বিষয় নিয়ে ভাস্কর্য বানাতে চেয়েছিলেন। এদুটি বিষয়কে সমুন্নত রেখে 'প্রত্যাশা' নির্মাণ হয়।[] একই বিষয়ে ২০১৫ সালে মৃণাল হক অগ্নিঝরা-৭১ নির্মাণ করেছিলেন।[]

Remove ads

বর্ণনা

৪৭-ফুট দীর্ঘ কংক্রিটের তৈরি প্রত্যাশায় একটি দড়ি দিয়ে বাঁধা একটি বিশাল রাইফেল রয়েছে। রাইফেলের উপরে পৃথিবীর গোলাকার মানচিত্র স্থাপিত। পৃথিবীর উপর দুটি উড়ন্ত কবুতর রয়েছে। কবুতর গুলির শান্তির প্রতীক। রাইফেলের সামনে ঢালু বেদিতে পাঁচজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা আছেন। অগ্রগামী মুক্তিযোদ্ধাদের একজন কৃষক, একজন ছাত্র, একজন সেনা সদস্য, একজন বুদ্ধিজীবী এবং একজন নারীদের প্রতিনিধি। পুরো কাঠামোটি একটি বড় গাছের সামনে স্থাপন করা হয়েছে। রাইফেলের পিছনে জ্বলন্ত সূর্য বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার লাল বৃত্তের প্রতীতি হিসেবে স্থাপিত।[]

Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads