শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

প্রোজেস্টেরন

রাসায়নিক যৌগ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

প্রোজেস্টেরন
Remove ads

প্রোজেস্টেরন হচ্ছে এমন এক ধরনের যৌন (সেক্স) হরমোন যা রজঃচক্র,গর্ভধারণ ও ভ্রূণীয় বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে [][] রাসায়নিক দিক থেকে এটি প্রোইস্টোজেন গ্রুপের এক ধরনের স্টেরয়েড হরমোন যা অন্যান্য যৌন হরমোন উৎপাদনের প্রক্রিয়ায়ও জাতক হিসেবে উৎপন্ন হয় এবং মস্তিষ্কেও নিউরোস্টেরয়েড হিসেবে ভূমিকা পালন করে। [] যদিও দেহেই এটি স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়ে থাকে কিন্তু ঋতুস্রাব জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসাক্ষেত্রে রাসায়নিকভাবে প্রস্তুতকৃত প্রোজেস্টেরন ব্যবহার করা হয় যার সূচনা হয়েছিল ১৯৫৪ সালে। []

Thumb
রাসায়নিক সংকেত (প্রোজেস্টেরন)
Remove ads

রাসায়নিক তথ্য

আরও তথ্য রাসায়নিক ধর্ম ...

জৈবিক কার্যাবলির প্রক্রিয়া

সারাংশ
প্রসঙ্গ

প্রোজেস্টেরন নিউক্লিয়ার প্রোজেস্টেরন রিসিপটর এ সংযুক্ত হয়ে রাইবোজোমাল ট্রান্সক্রিপশনে ভূমিকা রেখে নারীদেহের যৌন জনন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া মেমব্রেন (কোষঝিল্লি) এর প্রোজেস্টেরন রিসিপটরে এ হরমোনটি যুক্ত হয়েও উওসাইটের পূর্ণতা, শুক্রানুর চলাচল প্রক্রিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করে।রিসিপ্টর গুলো মেমব্রেন ভেদ করে যুক্ত থাকে এবং তার সাথে সাইটোসল ও এক্সট্রাসেলুলার অংশে প্রোটিন ডোমেইন গুলো সংযুক্ত হয়, তাছাড়াও বিপাকীয় নিয়ন্ত্রণ ও স্নায়ুবিক নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা রয়েছে। এটি PGRMC1 রিসিপটরের লিগান্ড হিসেবে যুক্ত হয় যার অধিক এক্সপ্রেশন টিউমার ও ক্যান্সার সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখতে পারে এবং এ বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে।

Thumb
কোষঝিল্লিতে প্রোজেস্টেরন রিসিপ্টর এর অবস্থান (মেমব্রেন প্রোজেস্টেরন রিসিপ্টর আলফা)

[][][][][][] এটি সিগমা১ ও মিনারেলোকর্টিকয়েড রিসেপটরের এন্টাগোনিস্ট হিসেবে সক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং অধিক পরিমাণ মিনারেলোকর্টিকয়েড যেমনঃ অ্যালডস্টেরন, কর্টিকোস্টেরন উৎপাদনে বাধা প্রদান করে, অনেক সময় যার ফলে ন্যাটরিইউরেসিস দেখা দিতে পারে। (অধিক পরিমানে মূত্রের সাথে সোডিয়াম নিঃসৃত হয়)।  তাছাড়াও এটি তুলনামূলক কম সক্রিয়ভাবে গ্লুকোকর্টিকয়েড রিসিপটের সাথেও যুক্ত হতে পারে।  [১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫] রজঃচক্র বন্ধ হবার কাছাকাছি সময়ে (Perimenopause) মহিলাদের প্রোজেস্টেরনের মাত্রা পুরুষ ও স্বাভাবিক অবস্থার মহিলাদের চেয়ে বেশিমাত্রায় থাকে যা যকৃতের কিছু উৎসেচকের কার্যক্ষমতা সে সময়ে বেশি রাখে যেমন সাইটোক্রোম পি৪৫০ এনজাইম (বিশেষত CYP3A4)। [১৬][১৭] এছাড়াও শুক্রানুর ক্যাটায়ন চ্যানেলগুলোকে (CatSper) প্রোজেস্টেরন সক্রিয় রাখে এবং যৌন মিলনের সময় কেমোটেক্সিস প্রক্রিয়ায় শুক্রাণুকে ডিম্বাণুর কাছে যেতে সংকেত প্রদান করে। এজন্য যে সকল রাসায়নিক পদার্থ CatSper কে প্রোজেস্টেরনের সংযুক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে সেগুলো গর্ভনিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[১৮][১৯]

Remove ads

প্রোজেস্টেরনের কিছু সক্রিয় জাতক ও তাদের কাজ

৫-আলফা-ডাইহাইড্রোপ্রোজেস্টেরন- GABA(A) রিসিপটরকে সক্রিয় করে।

অ্যালোপ্রেগনেনোলোন- GABA(A) রিসিপটরকে সক্রিয় করে।

৫-বেটা-ডাইহাইড্রোপ্রোজেস্টেরন-প্রেগনেন X রিসিপটর এর এগোনিস্ট হিসেবে কাজ করে। [২০][২১]

হরমোনাল মিথস্ক্রিয়া

  • ইস্ট্রোজেনের উপস্থিতিতে প্রোল্যাকটিন হরমোনের এক্সপ্রেসন বৃদ্ধি করে, যা স্তনের লোবিওএলভিওলার টিস্যু তৈরিতে সহায়ক। [২২][২৩][২৪][২৫]
  • সোডিয়াম পুণঃশোষনে মিনারেলোকর্টিকয়েডকে বাধা দেয় যে কারণে অধিক প্রোজেস্টেরন নিঃসৃত হলে অধিক পরিমাণ সোডিয়াম মূত্রের সাথে বেরিয়ে যায়, (ন্যাটরিউইরেসিস) ঘটে।[২৬]

প্রজনন সংক্রান্ত বিষয়াবলি

সারাংশ
প্রসঙ্গ

জনন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা

  • শুক্রাণুর চলনকে সংকেত প্রদানের মাধ্যমে ত্বরান্বিত করে যা একে জনন প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হতে সহায়তা করে। [২৭]
  • জরায়ুতে ভ্রণ ধারণ ক্ষমতার সঞ্চারণে ভূমিকা রাখে।
  • এ হরমোনের মাত্রা জানার মাধ্যমে গর্ভধারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। গর্ভধারণ সংগঠিত হলে প্রোজেস্টেরন এর মাত্রা বেশি হয় ও রজঃচক্র বন্ধ থাকে। কিন্তু গর্ভধারণ না ঘটলে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা অাবারও স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে অাসে এবং রজঃচক্র ও স্বাভাবিকভাবে ঘটতে থাকে।[২৮][২৯]
  • গর্ভধারণের সময় মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও জরায়ুর অনৈচ্ছিক পেশীর সঞ্চালন হ্রাস করে।[৩০]
  • গর্ভধারণকালীন সময়ে মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনকে বাধা দেয়।

স্তনের গঠন ও দুগ্ধ উৎপাদন

ম্যামারি গ্রন্থির বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে স্তনের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং প্রোল্যাকটিন হরমোন উৎপাদন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে দুগ্ধ উৎপাদনে ভূমিকা পালন করে।[৩১]

স্তন্যনালীর গঠন

ইস্ট্রোজেনের সাথে একত্রিতভাবে প্রোজেস্টেরন অ্যাম্ফিরেগুলিন নামক গ্রোথ হরমোনের উৎপাদন ত্বরান্বিত করে যা স্তন্যনালী গঠনে ভূমিকা রাখে।[৩২]

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি

রজঃচক্রের সময়কাল শেষে (মেনোপজ হয়েছে এমন) কোন মহিলা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি হিসেবে ইস্ট্রোজেন নিয়ে থাকে এবং যদি বিজ্ঞানাগারে রাসায়নিকভাবে তৈরি প্রোজেস্টেরন গ্রহণ করে, যেমনঃ মিডরক্সিপ্রজেস্টেরন এসিটেট তাহলে তা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু স্বাভাবিক প্রোজেস্টেরন এর ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি দেখা যায়নি।[৩৩][৩৪][৩৫][৩৬]

Remove ads

ত্বকের সুরক্ষা

রজঃচক্র শেষ হয়ে গেছে বা শেষ হবার নিকটবর্তী সময়ে এমন মহিলাদের ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়া, শুকিয়ে বা কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের সম্মিলিত হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।[৩৭][৩৮]

সমকামীতা

কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যেসকল পুরুষ এবং মহিলাদের দেহে প্রোজেস্টেরন এর পরিমাণ অত্যধিক হারে বেশি, তারা সমকামী আচরণ বেশি প্রকাশ করে।[৩৯][৪০][৪১][৪২]

স্নায়ুবিক কাজে প্রোজেস্টেরন

প্রেগনেনোলোন ও ডাইহাইড্রোএপিএনড্রোস্টেরন নিউরোস্টেরয়েড হিসেবে কাজ করে যা উদ্দীপনা প্রবাহে ভূৃমিকা রাখে, স্নায়ুগুলোকে রক্ষা করে এবং মায়েলিন তৈরিতে সাহায্য করে।দুর্ঘটনাবশত মস্তিষ্কের কোন ক্ষতি হলে এটি নতুন নিউরন তৈরিতেও ভূমিকা রাখে, তখন এপোপটোসিস (দেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কোষ ধ্বংস) হতে দেয়না। মস্তিষ্কে এন্ডোথেলিয়াল প্রোজেনিটর কোষের সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যা ক্ষয়প্রাপ্ত টিস্যুর অঞ্চলে নতুন টিস্যু তৈরিতে সাহায্য করে।[৪৩][৪৪][৪৫][৪৬][৪৭][৪৮][৪৯][৫০][৫১]

Remove ads

প্রোজেস্টেরনের অন্যান্য ভূৃমিকা

  • ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা, শ্বসন, হাঁড়ের গঠন ও নারীর যৌন অাচরণ নিয়ন্ত্রণ।
  • গর্ভাবস্থায় রোগের প্রবণতা থেকে রক্ষা করা
  • EGF-1 নামক গ্রোথ ফ্যাক্টর তৈরির মাধ্যমে স্টেম সেল এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
  • ওভ্যুলেশন প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা
  • পিত্তথলির কার্যক্ষমতা কমানো।
  • রক্ত জমাট বাঁধা, জিংক ও কপারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, অক্সিজেন ও স্নেহ জাতীয় পদার্থের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • দাঁতের মাড়িকে সুরক্ষিত রাখতে ভূমিকা রাখে।
  • জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
  • ইনসুলিন নিঃসরণ ও অগ্ন্যাশয়ের কাজকে এটি নিয়ন্ত্রণ করে বিশেষত যা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কে প্রতিরোধ করতে সহায়ক হয়। [৫২][৫৩][৫৪][৫৫][৫৬][৫৭]

প্রোজেস্টেরন নিঃসরণে আসক্তির প্রভাব

  • নিকোটিন, মদ বা গাঁজা সেবনে প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়।
  • কোকেইন গ্রহণে স্বাভাবিকভাবে মস্তিষ্কের ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ে। প্রোজেস্টেরন এই অতিরিক্ত ডোপামিন নিঃসরণ থেকে বিরত রাখে। [৫৮][৫৯][৬০]

প্রোজেস্টেরন তৈরি

স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল এর জাতক প্রেগনেনোলোন হরমোন থেকেই প্রোজেস্টেরন তৈরি হয়। জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় নিকোটিনামাইড এডেনিন ডাইফসফেট অংশগ্রহণ করে। কোলেস্টেরল থেকে প্রোজেস্টেরন উৎপন্ন করার ক্ষেত্রে নিকোটিনামাইড এডেনিন ডাইফসফেট বিজারিত হয় এবং সে কারণে কোলেস্টেরল এর ২০ ও ২২ নং কার্বন এ দুটি হাইড্রোক্সিল গ্রূপ যুক্ত হয় এবং যা থেকে পরবর্তীতে প্রেগ্নেনোলন তৈরী হয়  , অতঃপর প্রেগ্নেনোলন এর কিটো ইনোল গ্রূপ টটোমারাইজেশন এর মাধ্যমে প্রোজেস্টেরন তৈরী হয়।  কোলেস্টেরল থেকে জারণ-বিজারণ ও টটোমারাইজেশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে এবং সাইটোক্রোম পি৪৫০ ও ৩-বেটা হাইড্রক্সিস্টেরয়েড ডিহাইড্রোজিনেজ/ডেল্টা ৫-৪ অাইসোমারেজ এর সহায়তায় প্রোজেস্টেরন তৈরি হয়। ইস্ট নামক ছত্রাক থেকেও প্রোজেস্টেরন তৈরি করা যায়।

Thumb
প্রোজেস্টেরোন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া এবং প্রোজেস্টেরন থেকে অন্যান্য হরমোন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া

আবার প্রোজেস্টেরন থেকে এলডোস্টেরন, কর্টিসল, মিনারেলোকর্টিকয়েড ও এনড্রোস্টিনডায়োন তৈরি হয়। অাবার এনড্রোস্টিনডায়োন থেকে টেস্টোস্টেরন, ইসট্রোজেন ও এস্ট্রাডায়োল তৈরি হয়।[৬১][৬২]

Remove ads

নিঃসরণের পরিমাণ

ডিম্বাশয় থেকে প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম প্রোজেস্টেরন ও এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে ১ মিলিগ্রাম প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ হয়। নিঃসরণকৃত প্রোজেস্টেরনের ৫০-৫৪% এলবুমিন ও ৪৩-৪৮% ট্রান্সকর্টিন নামক প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়। [৬৩][৬৪]

বিপাক

প্রোজেস্টেরনের বিপাক খুব দ্রুততার সহিত যকৃতে সম্পন্ন হয়। প্রোজেস্টেরনের প্রায় ৩৫ রকম জাতক রয়েছে যে কারণে সামগ্রিক বিপাক প্রক্রিয়া বেশ জটিল। ৫ ও ৩ নং কার্বনে বিজারণ ও ২০ নং কার্বনে জারনের ফলে ৫-অালফা ও ৫-বেটা ডাইহাইড্রোপ্রোজেস্টেরন, অ্যালোপ্রেগনেনোলোন, প্রেগনেনোলোন, অাইসোপ্রেগনেনোলোন, এপিপ্রেগনেনোলোন, প্রেগনেনডায়োল ইত্যাদি জাতক উৎপন্ন হয়। পরবর্তীতে গ্লুকোইউরোনাইড বা সালফেট গ্রুপের সংযোগ ঘটে এবং তা রক্ত সঞ্চালনে চলে যায় এবং প্রেগনেনডায়োল গ্লুকোইউরোনাইড হিসেবে মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। [৬৫][৬৬][৬৭][৬৮][৬৯][৭০][৭১]

মাত্রা

রজঃচক্রে ডিম্বাণু ধারণের অাগে কম, ধারণ (ওভ্যুলেশন) এর সময়, লুটিয়াল দশায় প্রোজেস্টেরনের নিঃসরণ অত্যধিক হারে বাড়ে। প্রোজেস্টেরন এর মাত্রা ওভ্যুলেশন এর আগে ২ ন্যানোগ্রাম/মিলি এর চেয়ে কম থাকে কিন্তু  ওভ্যুলেশন এর পর তা ৫ ন্যানোগ্রাম/মিলি এর চেয়ে বেড়ে যায়। বয়ঃসন্ধির আগে এবং রজঃচক্র শেষ হবার পর প্রোজেস্টেরন নিঃসরণের হার কম থাকে। [৭২]

বিভিন্ন বয়সে পুরুষ ও মহিলার দেহে প্রোজেস্টেরন এর পরিমানঃ

১.মহিলা (রজঃচক্র শেষ হবার পর- পোস্ট-মেনোপজ)- ০.৬-৩ ন্যানোমোল/লিটার

২.মহিলা (ওভ্যুলেশনের সময়)-১.১-২.৯ ন্যানোমোল/লিটার

৩. ছেলে (০-১৬ বছর)- ০.৮৬-২.৯ ন্যানোমোল/লিটার

Thumb
রজঃচক্রের সময় অনুযায়ী প্রোজেস্টেরন হরমোন নিঃসরণের ধরণ

৪.ছেলে এবং মেয়ে (০-৯ বছর)- ০.৩-৩ ন্যানোমোল/লিটার [৭৩][৭৪]

প্রাণী ও উদ্ভিদে প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ

প্রাণীদেহে প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ

ডিম্বাশয় থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমানে প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ হয় এবং বয়ঃসন্ধি থেকে রজঃচক্র শেষ হবার অাগ পর্যন্ত নারীদেহে নিঃসরণ হতে থাকে। তবে অল্প পরিমাণে এড্রেনাল গ্রন্থি, স্নায়ু ও এডিপোজ টিস্যু থেকেও নিঃসরণ হয়। গর্ভধারণের সময় প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ অত্যধিক হারে বাড়ে যা ২৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্তও হতে পারে প্রতিদিন। দুধ খেলে প্রাণীদেহে প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।[৭৫]

উদ্ভিদদেহে প্রোজেস্টেরন নিঃসরণ

Juglans regia নামক উদ্ভিদ থেকে প্রোজেস্টেরন সরাসরি নিঃসরণ হয়৷ Dioscorea গণের কিছু উদ্ভিদ যেমন Dioscorea mexicana, Dioscorea pseudojaponica, Dioscorea villosa, Dioscorea polygonoides থেকে ডায়োসজেনিন নামক এক ধরনের পদার্থ উৎপন্ন হয় যা থেকে প্রোজেস্টেরন পাওয়া যায়।[৭৬][৭৭][৭৮][৭৯][৮০][৮১][৮২]

চিকিৎসা ক্ষেত্রে

ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সম্মিলিতভাবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি তে ব্যবহার করা হয়। যাদের যৌন হরমোন নিঃসরণ কম, গর্ভধারণে সমস্যা ও গাইনি সংক্রান্ত জটিলতা অাছে তাদেরকে মুখে বা ইনজেকশনের মাধ্যমেও প্রোজেস্টেরন হরমোন দ্বারা চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।[৮৩][৮৪][৮৫][৮৬][৮৭][৮৮][৮৯][৯০]

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

১৯২৯ সালে সর্বপ্রথম প্রোজেস্টেরন হরমোন আবিষ্কৃত হয়। ১৯৩১-৩২ এ এটি কর্পাস লুটিয়াম থেকে সর্বপ্রথম আলাদা করা হয়। ১৯৩৪ সালে এর রাসায়নিক গঠন শনাক্ত হয় এবং একই বছর স্টিগমাস্টেরল ও প্রেগনেনডায়োল থেকে একে রাসায়নিকভাবে উৎপন্ন করা হয়। [৯১][৯২][৯৩]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads