শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বলিউডের সঙ্গীত
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বলিউডের সঙ্গীত,সচরাচর হিন্দি চলচ্চিত্রের গান অথবা ফিল্মি গান নামে পরিচিত। এই গানগুলো সাধারণত বলিউড চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হয়। পাশ্চাত্য চলচ্চিত্রের "গান এবং নাচ" ধারণা থেকে এই ধারণা এসেছে। বলিউডের গান এবং এর সাথে হিন্দি চলচ্চিত্রের অন্যতম আনুসাঙ্গিক অংশ হয়ে উঠেছে, যা একে দিয়েছে জনপ্রিয়তা এবং সাংস্কৃতিক মর্যাদা। [১] ভারতীয় পপ সঙ্গীত , ক্লাসিকাল ও আধুনিক ধারার সম্মেলনে সৃষ্ট । এটাই হিন্দি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের গানগুলো এখন বিশেষ করে উত্তর ভারতের সংস্কৃতি ও সেখানকার বাজার, দোকান, বাস , ট্রেন ইত্যাদিসহ বিভিন্ন ঘটনাকে তুলে ধরে। [২] যদিও ভারতীয় চলচ্চিত্রে নিয়মিতভাবে গান ও নাচ পরিবেশিত হয়, তবে পাশ্চাত্য মঞ্চায়নের ধারণামতে এই সঙ্গীত-নৃত্য মিউজিকাল হিসেবে মেনে নেয় না।:২

ভাষাগত দিক দিয়ে বলিউডের সঙ্গীতের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহার্য হিন্দি ও উর্দূর কথ্যরূপ ব্যবহার করা হয়। এতে সংগীতের কথা হিন্দি ও উর্দূ বুঝতে সক্ষম উভয় ধরনের মানুষের কাছেই বোধগম্য হয়। অবশ্য আধুনিক বলিউডের সঙ্গীতে হিন্দি ও ইংরেজির মিশ্রণে হিংলিশ অতিমাত্রায় ব্যবহার হয়। [৩] বিশেষ করে, উর্দূ কবিতা বলিউডের সঙ্গীতের কথার ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। উর্দূ কবিতা এবং গজল এক্ষেত্রে ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে। .[৪]
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
১৯৩১ সালের প্রথম হিন্দি সবাক চলচ্চিত্র আরদেশির ইরানীর 'আনোওয়ারা' দিয়েই বলিউডের সঙ্গীতের অনুপ্রবেশ। চলচ্চিত্রটিতে মোট ৭টি গান ছিল। এরপরপরই শিরি-ফরহাদ (১৯৩১) চলচ্চিত্রে জামশেদী ফ্রামজী মদন ৪২ টি গানের দৃশ্যধারণ করে অপেরার আদলে চলচ্চিত্রে সঙ্গীত নিয়ে আসেন। এরপরে অবশ্য ৬৯টি গান নিয়ে আবির্ভূত হয় ইন্দ্রসভা নামক আরেকটি চলচ্চিত্র। অবশ্য বর্তমানে প্রতি চলচ্চিত্রে ৬ থেকে ১০ টি গানেই সীমাবদ্ধ থাকে। [১]:২০
সেই ১৯৩১ সাল থেকেই সঙ্গীত হিন্দি চলচ্চিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। [৫] ১৯৩৪ সালে গ্রামোফোনে সঙ্গীত ধারণকৃত হত এবং পরবর্তীতে বেতারে প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে সহজেই পৌঁছে যাওয়া শুরু করে। এভাবেই বলিউডের সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।[৫] প্রথম কয়েক বছরের মধ্যেই হিন্দি চলচ্চিত্রের রকমফের দেখা দেয়। "ঐতিহাসিক", "পৌরাণিক" , "ভক্তিমূলক" "কল্পকাহিনী" ইত্যাদি ধরনের চলচ্চিত্র মুক্তি পেতে থাকে, তাই সঙ্গীতের সম্ভার থাকা স্বত্ত্বেও সেই চলচ্চিত্রগুলোকে ঠিক 'মিউজিকাল' বা 'গীতিনাট্য' ধরনার বলা যায় না। [১]
হিন্দ চলচ্চিত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠলেও অনেক স্বাধীন নির্মাতা নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে সঙ্গীতের উপর নির্ভরশীল হয়নি। এক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায় উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তিনি গতানুগতিক চলচ্চিত্র ধারার বাইরে এসে নিজের চলচ্চিত্রে সঙ্গীত ও নৃত্যের ব্যবহার একদমই করেননি। [১]
হিন্দি চলচ্চিত্রে গানের সুবিস্তর প্রভাব বর্তমানে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে প্রতীয়মান। ভারতের মতো একাধিক সংস্কৃতির রাষ্ট্রে, ঐতিহাসিক পার্থ চ্যাটার্জীর মতে, " ভারতের মতো রাষ্ট্রে যেখানে বিশটির বেশি কথ্যভাষা এবং ততোধিক আঞ্চলিক ভাষা প্রচলিত, যেখানে জাতিগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে হিন্দি চলচ্চিত্রের গান ভারতের ভাষাগত বাঁধাকে ডিঙিয়েছে।" [৬] বলিউডের সঙ্গীত একাধিক সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট যেমন রামলীলা, নৌটঙ্কী, তামাশা এবং ফারসি মঞ্চ নাটক দ্বারা প্রভাবান্বিত। এছাড়াও পাশ্চাত্য , পাকিস্তান এবং আরো উপ-সংস্কৃতির প্রভাব এতে লক্ষ করা যায়।[৭]
পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও উপমহাদেশের সংস্কৃতির জনপ্রিয়তাকরণে হিন্দি চলচ্চিত্রে সঙ্গীতের সংস্কৃতি ভূমিকা রেখে চলেছে। এই ধারণা আরো বিস্তার লাভ করেছে বিশেষ করে যখন ক্যাসেটের যুগ শুরু হয় এবং সহজেই এই সঙ্গীতগুলো এর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছটিয়ে যায়। সস্তা প্লাস্টিকের ক্যাসেটে গান বিক্রির মাধ্যমে লক্ষ্যাধিক এ্যালবাম ২০০০ সালে এই ইন্ডাস্ট্রির পতনের আগ অব্দি বিক্রি হয়। [৫] এমনকি এখনো বেতার, টেলিভিশন এবং সরাসরি সঙ্গীত পরিবেশনার অনুষ্ঠানে বলিউডের সঙ্গীত সাধারণ জনতার বিনোদনের খোরাক হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির আধুনিকায়নের সাথে বর্তমানে কম্প্যাক্ট ডিস্ক, ডিভিডি, আইনত এবং বেআইনি উভয়ভাবেই পুরনো ও নতুন বলিউডের সঙ্গীত ইন্টারনেটে সহজেই উপলব্ধ।[১]
Remove ads
ধরন ও গঠন
বলিউড সঙ্গীতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার জটিল হয়ে দাঁড়াতে পারে। বেশিরভাগ গানেই হিন্দি অথবা উর্দূ ভাষার ব্যবহার করা হয়। কিছু গানে অবশ্য ফারসি ভাষাও ব্যবহৃত হয়েছে। আধুনিক হিন্দি চলচ্চিত্রের গানে অহরহ ইংরেজি ভাষার শব্দ ব্যবহার করা হয়। হিন্দি ছাড়াও ব্রজ, আভাদি, ভোজপুরি, পাঞ্জাবি, বাংলা এবং রাজস্থানী ভাষা চলচ্চিত্রের গানে ব্যবহার হয়। একটি চলচ্চিত্রে সঙ্গীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। আর এই পরিবেশনা একাধিক কারণে হয়ে থাকে। কখনো "ঘটনার গভীরতা বোঝাতে, ভাব বোঝাতে, কোন কর্মের প্রতি মন্তব্য করতে, আশ্রয় বা সাহায্য প্রদানে এবং চলচ্চিত্রের ভেতরের মনোলগ তৈরিতে" সঙ্গীত ব্যবহৃত হয়।[৭]
Remove ads
প্রোডাকশন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
বলিউড চলচ্চিত্রের গানের কথা অত্যন্ত যত্নের সাথে কারুকর্যময় করে তুলতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিত্রনাট্যকার নয় বরং আলাদা সংগীত লেখক থাকেন। তাদের রচিত কবিতায় ভিন্নভাবে সংগীতায়োজন এবং যত্নের সাথে গানের কথা এবং চলচ্চিত্রের গল্পের সাথে মিলিয়ে নাচের তাল তোলা হয়। এই গানগুলো দক্ষ প্লেব্যাক গায়ক গায়িকা দ্বারা গাওয়ানো হয়, চলচ্চিত্রে অভিনেতা অভিনেত্রীরা গানের সাথে ঠোঁট মেলান। বলিউডের চলচ্চিত্র এদিক দিয়ে অনন্য যে, চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত সংগীত চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলো গায়, ঘটনার পেছনের আলাদাভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড সংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] পাশ্চাত্য চলচ্চিত্রে, চলচ্চিত্রের সংগীতের দায়িত্ব পালনে একজন সংগীতায়োজক এই ব্যাপারে বিশেষভাবে জ্ঞানার্জন করেন এবং সরাসরি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে দীক্ষা লাভ করেন। কিন্তু বলিউড চলচ্চিত্রে বড় ধরনের "প্রডাকশন নাম্বার" এবং বিস্তারিত নাচের ধাপ দ্বারা গানগুলোকে চালিত করা হয়।
বলিউড সংগীতের প্রান হলেন "সংগীত পরিচালক"। অপরদিকে পাশ্চাত্য চলচ্চিত্রে একজন "সংগীত পরিচালক" অথবা "সংগীত কো-অর্ডিনেটর" থাকেন , যিনি প্রচলিত সংগীত থেকে চলচ্চিত্রের জন্য সংগীত বাছাই করেন। যা মূলতঃ চলচ্চিত্রের অবদানকারীদের নাম দেখানোর সময় পরিবেশিত হয়। বলিউডে একজন সংগীত পরিচালকের বৃহৎ পরিসরে কাজ থাকে। তাকে সংগীতের জন্য আলাদাভাবে লাইসেন্স করার প্রয়োজন হয়। কখনো কখনো সঙ্গীত আয়োজক ও সঙ্গীত প্রযোজকের কাজও করে থাকেন।
সঙ্গীত পরিচালক কিংবা সংগীতায়োজক খুব কমই গানের কথা লিখেন। যেহেতু বলিউডের সঙ্গীতের কথাগুলো চলচ্চিত্রের প্লট ও বক্তব্যের সাথে মিল রেখে লিখা হয়। এছাড়াও গানের কথাগুলোকে চলচ্চিত্রের প্রয়োজন অনুসারে পূর্বে উল্লেখিত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে লিখা হয়।
বলিউডের সঙ্গীতগুলো নিজ শৈলী এবং বাদ্যযন্ত্রের জন্য শক্তভাবে নিজ স্বতন্ত্র বজায় রাখে। [৮] অবশ্য, তারা প্রায়ই বিদেশী বাদ্যযন্ত্র এবং ইতোমধ্যে থাকা সঙ্গীতের উপর নতুন করে কাজ করে। [৯]
জনরা
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ফিল্মি
গজল
কাওয়ালি
ডিস্কো
আশির দশকের শুরুর দিকে, যখন উত্তর আমেরিকায় ডিস্কোর জনপ্রিয়তা পড়তে শুরু করে তখন দক্ষিণ এশিয়ার ভারতীয় উপমহাদেশে ডিস্কোর জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠে। পাকিস্তানের পপ গায়ক নাজিয়া হাসান ১৯৮০ সালে ভারতীয় প্রযোজক বিদ্দুর "আপ জ্যায়সা কোয়ি" গানের মাধ্যমে ডিস্কো সংগীতের জনপ্রিয়তার ধারা শুরু করেন। [১০][১১] বিদ্দু এর আগে পশ্চিমা জগতে সফলতা অর্জন করেছেন। বিশেষ করে ১৯৭০এর শুরুর দিকে তার অন্যতম প্রথম জনপ্রিয় ডিস্কো কাজ নিয়ে আসেন ১৯৭৪ সালের "কুং ফু ফাইটিং" এর দ্বারা। [১২][১৩][১৪] এর পরপরি এই জনরা পশ্চিমে জনরিয়তা হারাতে শূরু করে, তাই তিনি তার মনোযোগ এশিয়ায় নিয়ে আসেন। তার প্রথম কাজ "আপ জ্যায়সা কোয়ি" দ্বারা যাত্রা শুরু করেন। এরপরই নাজিয়া হাসানের "ডিস্কো দিওয়ানি" ১৯৮১ সালে বিদ্দু প্রযোজিত করেন। যা সে সময়ে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এলবামের রেকর্ড করে। [১৫]
ইউরো ডিস্কোর সাথে তাল মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়াতেও ভারতীয় সঙ্গীতে ইলেক্ট্রনিক ডান্স মিউজিকের উপর নিরীক্ষামূলক কাজ চলে। [১০] বিদ্দু অবশ্য এর আগেও তার কিছু কাজে এই ধরনার প্রয়োগ করেছিলেন। এর মাঝে আছে "বায়োনিক বুগি", "রেইন ফরেস্ট" (১৯৭৬)[১৬] "সোউল কোক্সিং" (১৯৭৭),[১৭] ইস্টার্ন ম্যান" এবং "ফিউচারিস্টিক জার্নি" '[১৮][১৯] (রেকর্ড হয়েছে ১৯৭৬-১৯৭৭ সালে) [২০] এবং "ফ্যান্টাজম" (১৯৭৯),[১৫][২১] আর ডে বর্মন তার "ধান্নো কি আখো মেঁয়" (১৯৭৭) এবং "পেয়ার কারণে ওয়ালে" (১৯৮০) এই ধারার প্রয়োগ করেছিলেন। [১৫] "কার্জ" (১৯৮০) চলচ্চিত্রে "ওম শান্তি ওম" গানটিতে লাক্সমীকান্ত পেয়ারেলাল [২২] এবং বাপ্পী লাহিড়ি "আরমান" চলচ্চিত্রে ১৯৮১ সালে "রাম্বা হো" এই ধারার ব্যবহার করেন। [১৫] মিনিমালিস্ট সঙ্গীত ধারণা, উচ্চ টেম্পো, ইলেকট্রনিক ডিস্কোতে ফিউচারিস্টিক ইলেক্ট্রো অনুভূতি পাওয়া যায়। ১৯৮২ সালের "ডিস্কো ড্যান্সার" চলচ্চিত্রে "ইয়াদ আ রাহা হ্যায়" তে বাপ্পী লাহিড়ি এর ব্যবহার করেন। [১০]
চরণজিৎ সিংহ ১৯৮২ সালে এসিড হাউজ মিউজিকের সঙ্গীতায়োজনে "সিন্থেসাইজিংঃটেন রাগাস ট্যু এ ডিস্কো বীট" বের করেন। তা ১৯৮০এর শেষের দিকে শিকাগো হাউজ জনরা জনপ্রিয় হওয়ার আগেই জনপ্রিয়তা লাভ করে। [১০][২৩]
চরণজিতৎ সিংহ বলেন, "১৯৮২ এর বলিউডের চলচ্চিত্রে অনেক ব্যাপক হারে ডিস্কো ধরান সঙ্গীত ব্যবহার হচ্ছিল। তাই আমি কিছু ভিন্ন ধারা আনার পরিকল্পনা করি। তাই আমি ভারতীয় রাগার সাথে তবলার পরিবর্তে ডিস্কো বিট যোগ করি। ফলাফলে বেশ ভালো কিছু পাওয়া যায়।" [২৪] প্রথম সংগীতে "ভৈরবী" সঙ্গীতে তিনি ভেকোডারের মাধ্যমে "ওম নমঃ শিবা" বক্তব্য সংযোজন করেন। [২৫]
৮০র দশোকে ইলেক্ট্রনিক নিরীক্ষামূলক কাজের পাশাপাশি সাইকেডিল রক সঙ্গীত নিয়েও কাজ হয়। বিশেষ করে দ্য বিটলস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সাইকেলিডেলিক রক ও সাইকেডেলিক ডিস্কো ধরনার সূত্রপাত করে। এই প্রভাব বলিউডের প্রযোজকদের ডিস্কো আর সাইকেডেলিক রকের মধ্যবর্তী পথে যান। যার ফল দেখতে পাওয়া যায় "ওম শান্তি ওম" (কার্জ,১৯৮০), "পেয়ার কারণে ওয়ালে" (শান,১৯৮০) গানগুলোতে। ,[১৫][২২]
Remove ads
সাংস্কৃতিক প্রভাব
ভারতীয় চলচ্চিত্রে সঙ্গীতের উপস্থিতি সমগ্র বিশ্বের সামনে ভারতীয় সংস্কৃতি ভিন্ন মাত্রায় তুলে ধরেছে। [১]:১৪ ব্রিটেনের রেস্তোরাঁ এবং রেডিও চ্যানেলে এশিয়ার সঙ্গীত হিসেবে হিন্দি চলচ্চিত্রের গান বাজানো হয়। ব্রিটেনের নাট্যকর ভারতীয় হিন্দি হিট "হাম আপকে হ্যায় কৌন" এর অনুসরণে একটি ১৪টি গানের গীতিনাট্য করেন, যা ব্রিটিশ নাট্যক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করে। চলচ্চিত্রকার বাজ লরম্যান তার চলচ্চিত্র "মওলিন রগ"এ 'হিন্দি স্যাড ডায়মন্ড' যে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সঙ্গীত, আনু মালিকের "ছাম্মা ছাম্মা" দ্বারা অনুপ্রাণিত তা স্বীকার করেন। [২৬] গ্রীসে, ইন্দোপ্রেপি জনরায় এই হিন্দি চলচ্চিত্রের গানগুলো পরিচিত। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার দাংদুত শিল্পীরা যেমন, এলিয়া খাদম, রোমা ইরামা, এবং মানস্যুর এস. ইন্দোনেশিয়ার শ্রোতাদের কাছে হিন্দি চলচ্চিত্রের গান গেয়েই পরিচিতি লাভ করেছেন। [২৭] ফ্রান্সে 'লে রিতা মিৎসুকো' নামে একটি গানের দলের ভিডিওচিত্র বলিউড দ্বারা প্রভাবিত। ফরাসি গায়ক প্যাসকাল অব বলিউড "জিন্দেগী এক সাফার সুহানা" গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। [২৮] নাইজেরিয়ার সুফিধর্মী গানের কথার সাথে বলিউড ধরানার সংগীতায়োজন হাউসা জনগোষ্ঠীর যুব সমাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। [২৯] ক্যারিবিয়ানে হিন্দি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত স্থানীয় স্টাইলের সাথে মিশে "চাটনি সঙ্গীত" তৈরি করেছে। [৩০]
Remove ads
ভারতে সর্বোচ্চ বিক্রিত সঙ্গীত এ্যালবাম
সেরা দশ
দশক অনুসারে
বছর অনুসারে
Remove ads
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads