শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বসন্ত বিশ্বাস
ভারতীয় বিপ্লবী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বসন্ত কুমার বিশ্বাস (৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৫ ― ১১ মে ১৯১৫) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।[১]

Remove ads
প্রথম জীবন
ছাত্রাবস্থায় তার শিক্ষক ছিলেন ক্ষীরোদচন্দ্র গাঙ্গুলি, মূলত তার প্রভাবেই বসন্ত বিপ্লবী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। যুগান্তর গোষ্ঠীর কর্মী অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে বসন্তের পরিচয় হয় এবং সেই সূত্র ধরে ১৯১১ সালের শেষ দিকে রাসবিহারী বসুর সাথে 'বিশে দাস' ছদ্মনাম নিয়ে তিনি উত্তর ভারত চলে যান, রাসবিহারীর বৃহৎ বিপ্লব পরিকল্পনা সফল করার ব্রত নিয়ে।[২]

Remove ads
হার্ডিঞ্জ হত্যা চেষ্টা ও গ্রেপ্তার
রাসবিহারী বসুর তত্ত্বাবধানে তিনি বোমা ছোঁড়া অভ্যেস করতে থাকেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল বড়োলাট হার্ডিঞ্জ। এই বোমাটি বিপ্লবী রাসবিহারীর অনুরোধে তৈরি করে দিয়েছিলেন প্রবীণ বিপ্লবী মণীন্দ্রনাথ নায়েক।[২] স্ত্রীলোকের পোশাকে লীলাবতী নাম নিয়ে বসন্ত ১৯১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর লর্ড হার্ডিঞ্জকে শোভাযাত্রার মধ্যে বোমা মেরে আহত করেন দিল্লির রাজপথে। সরকার একমাস পরে আততায়ীকে গ্রেপ্তারের জন্য এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। তিনি পরিহাস করে দিল্লির জুম্মা মসজিদ থেকে এর উত্তর লেখেন। এরপর লাহোরে এসে লরেন্স গার্ডেনে পুলিস অফিসারদের নৈশ ক্লাবে বোমা ফেলার ষড়যন্ত্রে যোগ দেন। এ ব্যাপারে মাস্টার আমীর চাঁদ প্রমুখ কয়েকজন গ্রেপ্তার হলে ১৯১৪ সনে তিনি নিজগ্রামে ফিরে আসেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি পিতৃশ্রাদ্ধের সময় নবদ্বীপ থেকে কৃষ্ণনগরে বাজার করতে এলে জ্ঞাতি-ভাই শত্রুতা করে পুলিশে খবর দেওয়ায় তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯১৪ সালের ২৫ মে দিল্লির দায়রা আদালতে বিচার শুরু হয়। প্রথম বিচারে মুক্তি পেলেও সরকার পক্ষের আপিলে ১০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব হাইকোর্টের রায়ে অন্যান্য তিনজনের সঙ্গে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয় ।[৩][৪]

Remove ads
বিচারে চারজনের ফাঁসি
বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জের উপর আক্রমণের নেতা ছিলেন রাসবিহারী বসু। বসন্ত বিশ্বাস বোমা নিক্ষেপ করে সুকৌশলে পলায়ন করতে পেরেছিলেন।[৫] এই মামলায় বিচারে বসন্ত বিশ্বাস ছাড়াও অপর তিনজন মাস্টার আমীর চাঁদ, অবোধ বিহারী ও বালমুকুন্দের ফাঁসির আদেশ হয়। প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করা হলেও তা অগ্রাহ্য হয় এবং আমিরচাঁদ, অবোধ বিহারী, বালমুকুন্দর ফাঁসি হয় ৮ মে ১৯১৫ আর এদের সর্বকনিষ্ঠ বসন্তর ফাঁসি কার্যকর করা হয় ১৯১৫ সালের ১১ মে আমবালা জেলের ভেতর।[৬][৭]
স্মৃতি

বসন্ত বিশ্বাসের জন্ম নদিয়া জেলার পোড়াগাছায়। তার পিতার নাম মতিলাল বিশ্বাস। নীল বিদ্রোহের নেতৃত্ব দানকারী প্রধান নেতা দিগম্বর বিশ্বাস তার পূর্বপুরুষ, মেজদাদু।[৩][৭] তার স্মরণে তার বিদ্যালয় মুড়াগাছায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ আছে যা উদ্বোধন করেন বিপ্লবী ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। বিপ্লবী রাসবিহারী বসু তার শিষ্য শহিদ বসন্ত বিশ্বাসের নামে জাপানের টোকিওতে আরেকটি স্মৃতিফলক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads