শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি শিল্প নেই। বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি সামগ্রী উৎপাদন, আমদানী ও বিপণন করা আইন দ্বারা নিষিদ্ধ।[১] তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে থেকে লিখিত পর্নোগ্রাফির উদ্ভব হয় যা চটিসাহিত্য নামে প্রচলিত ছিল। বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফির চাহিদা ব্যাপক।[২] বিদেশে নির্মিত পর্নোগ্রাফি এই চাহিদা মিটিয়ে থাকে। তবে ইন্টারনেটে আনাড়ীভাবে ধারণকৃত যৌনকর্মের ভিডিও খণ্ড দেখা যায়।

সাধারণত বৈধ তবে কিছু চরম ব্যতিক্রম এবং শিশু পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ
ব্যাপক বিধিনিষেধ অথবা দ্ব্যর্থহীন অবস্থার অধীনে কিছুক্ষেত্রে আংশিক বৈধ
বেআইনি
তথ্য পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশে সরকার ইন্টারনেটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফির বিপণন বন্ধের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮৪টি পর্ন ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল সরকার। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকার ৫৬০টি পর্নো ওয়েবসাইট বন্ধের নির্দেশ দেয়। ২০১৯ সালে ২০ হাজার পর্ন ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়।[৩][৪]
Remove ads
প্রকাশনার ধরন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
প্রিন্ট
যৌন উপন্যাস, যা কখনও কখনও পর্নোগ্রাফিক ছবিযুক্ত থাকে, বাংলাদেশে চটি নামে বিখ্যাত, সাধারণত রাস্তার পাশের বইয়ের দোকানে বিক্রি হয়।
ভিডিও
ইন্টারনেট
২০০৯ সালের একটি প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে, বাংলাদেশে শিশু পর্নোগ্রাফির হার বেড়েছে।[৫] ২০১৩ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, প্রতি মাসে ঢাকার সাইবার ক্যাফে থেকে প্রায় ৩০ মিলিয়ন টাকা মূল্যের পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা হয়। গবেষণায় আরো দেখা যায় যে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ব্যক্তিদের ৭৭ শতাংশের বয়স একদম কম।[৬]
২০১৫ সালে বাংলাদেশের উচ্চ আদালত সামাজিক মিডিয়ায় অশ্লীল উপাদান প্রচার বন্ধের জন্য সরকারকে জিজ্ঞাসা করে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী তারানা হালিম পর্নোগ্রাফি ধারনকারী ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।[৭] বাংলাদেশের একাদশ সংসদের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ২০১৮-এর নভেম্বর থেকে ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ থেকে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেন। [৮] এছাড়া ইন্টারনেটে কোন ওয়েবসাইটে পর্নোগ্রাফিক সামগ্রী পাওয়া গেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)র শর্টকোড নম্বর ২৮৭২ এবং ই-মেইল btrc@btrc.gov.bd ঠিকানায় 'পর্নোগ্রাফি সাইটের ঠিকানা বা লিংক পাঠানো হলে তা বন্ধ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।[৯]
Remove ads
বৈধতা
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী পর্নোগ্রাফিকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্নোগ্রাফি দেখা, বণ্টন করা, উৎপাদন, ব্যবহার করা ইত্যাদিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী এর সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের জেল এবং/অথবা ৫,০০,০০০ (পাঁচ লক্ষ) টাকা জরিমানা।[১০][১১]
সামাজিক-সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি
পর্নোগ্রাফির জন্য শাস্তি ঘোষণা করায় বাক-স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তা বিষয়ক প্রশ্ন উঠেছে।[১২] গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, "পর্নোগ্রাফি একটি রোগের মত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।"[১৩] বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফিকে সামাজিকভাবে নেতিবাচক হিসেবে দেখা হয় এবং শিশুদের মানসিকতাকে বিকৃত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়॥[১৪]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads