শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বাংলা দেশ (গান)
ইংরেজ সঙ্গীতজ্ঞ জর্জ হ্যারিসনের গান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
"বাংলা দেশ" হল ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসনের গাওয়া একটি গান। ১৯৭১ সালের জুলাইয়ে একটি অ্যালবামবিহীন একক হিসেবে গানটি মুক্তি পায়, যার উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭০ ভোলা ঘূর্ণিঝড় এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের ফলে প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তান নামে তৎকালীন পরিচিত বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের সম্পর্কে বিশ্ববাসীর সচেতনতা বৃদ্ধি করা। হ্যরিসনের বাঙালী সঙ্গীতশিল্পী বন্ধু রবিশঙ্কর তার এই সঙ্গীতে প্রেরণা জোগান, যিনি হ্যরিসনের এই মানবতাবাদী সহায়তার উদ্যোগে তার প্রধান সঙ্গী ছিলেন। "বাংলা দেশ" গানটিকে সঙ্গীত ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী সামাজিক আবেদন হিসেবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। যা বিশ্বজুড়ে নবগঠিত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ নামকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে সহায়তা করেছিল। ২০০৫ সালে, জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান সেই সময়ে রবি শঙ্করের সাহায্যের আবেদনের আবেগঘন বর্ণনা দিতে গিয়ে বাংলাদেশের দুঃসময়কে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই গানের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
"বাংলা দেশ" গানটি একজন স্বতন্ত্র গায়ক হিসেবে হ্যারিসনকে জনপ্রিয়তার শিখড়ে নিয়ে যায়, যা ১৯৭০ সালে তার অল থিংস মাস্ট পাস নামক ত্রয়ী অ্যালবামের জনপ্রিয়তাকেও ছাড়িয়ে যায় এবং দ্য বিটলস ব্যান্ডের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে। এটি ছিল পপ সঙ্গীতের প্রথম চ্যারিটি বা দাতব্য একক, এবং নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে হ্যারিসনের সৌজন্যে অনুষ্ঠিতব্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ অয়োজনের তিন দিন পূর্বে মুক্তি পায়। এককটি যুক্তরাজ্যে ও ইউরোপের অন্যান্য স্থানে শীর্ষ দশের তালিকায় স্থান করে নেয়, এবং আমেরিকার বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় ২৩তম স্থান দখল করে। ফিল স্পেক্টর যৌথভাবে রেকর্ডিং-এ কাজ করেন এবং লিওন রাসেল, জিম হর্ন, রিঙ্গো স্টার ও জিম কেল্টনার এতে সহ-অবদান রাখেন। লস এঞ্জেলস সেশনে গানটি হারিসনের একক সঙ্গীতের ক্যারিয়ারে কেল্টনার ও হর্নের সাথে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের সূচনা ঘটায়।
এরিক ক্ল্যাপ্টন ও বিলি প্রেস্টন সহ একই শিল্পীদের সাথে নিয়ে ১৯৭১-এর পহেলা আগস্ট ইউনিসেফ কনসার্টে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার ফলশ্রুতিতে হ্যারিসন আরও একবার বাংলা দেশ গানটি পরিবেশন করেন। রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনে কনসার্ট ফর বাংলাদেশ লাইভ অ্যালবামের একটি পর্যালোচনায়, জন ল্যান্ডু গানটিকে কনসার্টটির সকল উদ্যোক্তাদের মধ্যে সবচেয়ে চমৎকার পরিবেশনা হিসেবে উল্লেখ করেন। ১৯৭৬ সালের দ্য বেস্ট অব জর্জ হ্যারিসন নামক সংকলন এ্যালবামে গানটির স্টুডিও রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত হয়, যা ছিল ২০১৪ সালের পূর্বে গানটির একমাত্র সিডি রিলিজ, যেখানে হ্যারিসনের লিভিং ইন দ্য ম্যাটেরিয়াল ওয়ার্ল্ড অ্যালবামের অ্যাপল ইয়ারস ১৯৬৮-৭৫ পুনঃপ্রকাশে বোনাস ট্র্যাক হিসেবে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে যৌথভাবে স্টু ফিলিপ্স ও হলিরিডজ স্ট্রিংস এবং ইতালীয় স্যাক্সোফোনবাদক ফস্টো পাপেট্টি গানটি পুনঃপরিবেশন করেছিলেন।
Remove ads
পটভূমি

১৯৭১ সালের বসন্তের পূর্বেই, জর্জ হ্যারিসন নিজেকে প্রথম বছরের প্রাক্তন বিটলস সদস্যদের মধ্যে সবচেয়ে সফল একক শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন;[১][২][৩][৪] জীবনীকার এলিয়ট হান্টলির ভাষ্যমতে, তিনি "জনগণের দৃষ্টিতে এরচেয়ে বেশি জনপ্রিয় আর কখনোই হতে পারেন নি।"[৫] এর গুরুত্ব বোঝাতে, দ্য ডাউন অব দ্য ইন্ডিয়ান মিউজিক ইন দ্য ওয়েস্ট এর লেখক পিটার লেভিজলি বলেন, হ্যারিসন সেই সময়ে সঙ্গীত জগতে চমৎকার শুভ চিন্তার বীজ বপন করেছিলেন।
Remove ads
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ
নিম্নোক্ত সঙ্গীতশিল্পীগণ বাংলা দেশ গানটির স্টুডিও রেকর্ডিং-এ অংশ নিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।
- জর্জ হ্যারিসন – কণ্ঠ, ইলেকট্রিক গিটার, স্লাইড গিটার, পেছনের কণ্ঠ
- লিওন রাসেল – পিয়ানো
- জিম হর্ন – টেনর স্যাক্স, ব্যারিটোন স্যাক্স, হর্ন বিন্যাস
- বিলি প্রিস্টন – অর্গান
- ক্লাউস ভুরম্যান – বেজ
- রিঙ্গো স্টার – ড্রাম, হ্যান্ডিক্ল্যাপ*
- জিম কেল্টনার – ড্রাম
- চাক ফিন্ডলে –ট্রাম্পেট*
* অনিশ্চিত অবদানকে বোঝানো হয়েছে।
Remove ads
শীর্ষতালিকায় অবস্থান
টীকা
উদ্ধৃতি
গ্রন্থপঞ্জি
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads