শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

বাস্তিলের বিক্ষোভ

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

বাস্তিলের বিক্ষোভmap
Remove ads

১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফরাসি রাজতন্ত্রের দমননীতির মূল প্রতীক কুখ্যাত বাস্তিলে বিক্ষোভ (ফরাসি: Prise de la Bastille [pʁiz də la bastij]) হয়। এই বাস্তিল দুর্গের পতনের মধ্য দিয়ে ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হয়।[] এই বিপ্লব ছিল তদানীন্তন ফ্রান্সের শত শত বছর ধরে নির্যাতিত ও বঞ্চিত "থার্ড স্টেট" বা সাধারণ মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই বিপ্লবের আগে সমগ্র ফ্রান্সের ৯৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ছিল মাত্র ৫ ভাগ মানুষ। অথচ সেই ৫ ভাগ মানুষই কোন আয়কর দিত না। যারা আয়কর দিত তারা তেমন কোন সুবিধা ভোগ করতে পারত না। এবং এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করত তাদেরকে এই বাস্তিল দুর্গে বন্দী করে নির্যাতন করা হত। বাস্তিল দুর্গ ছিল স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন ও জুলুমের প্রতীক। একবার কোন বন্দী সেখানে প্রবেশ করলে জীবন নিয়ে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকত না । কারাগারের ভিতরেই মেরে ফেলা হত অসংখ্য বন্দীদের। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই নির্বাচিত প্রতিনিধি, রক্ষী বাহিনির সদস্য এবং বাস্তিল দুর্গের আশেপাশের বিক্ষুব্ধ মানুষ বাস্তিল দুর্গ অভিমুখে রওনা হয়। রক্তক্ষয় এড়াতে প্রতিনিধিরা দুর্গের প্রধান দ্য লোনের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব ছিল বাস্তিলে ৭ জন রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়া। দ্য লোন সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে বিক্ষুব্ধ জনতার ঢেউ বাস্তিল দুর্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুর্গের সৈন্যরাও ভিতর থেকে কামান দাগতে থাকে। প্রায় দুইশো বিপ্লবী মানুষ হতাহত হয় । এরপর চারিদিক থেকে উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিল দুর্গ ধ্বংস করে। জয় হয় সাম্য, মৈত্রী এবং স্বাধীনতার।

দ্রুত তথ্য বাস্তিলের বিক্ষোভ, তারিখ ...

এই ঘটনাটি ফ্রান্সের জাতীয় উৎসব বলে পালন করা হয়। বাস্তিল দুর্গ টির অবস্থান পারি শহরে। রাজকীয় অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। যাদের আক্রমণে পতন হয় তারা স্য কুলোৎ নামে পরিচিত। বাস্তিল দুর্গ টি ছিল বুরবো রাজবংশের স্বৈরতন্ত্রের প্রতীক।

Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads