শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র
Remove ads

নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (ইংরেজি: Ballistic missile; ব্যালিস্টিক মিসাইল) হলো সেই সব ক্ষেপণাস্ত্র, যা সাধারণত একটি রকেট-চালিত স্ব-নির্দেশিত কৌশলগত-অস্ত্র ব্যবস্থা এবং যা একটি নিক্ষেপী গতিপথ অনুসরণ করে উৎক্ষেপণ স্থান থেকে পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যে বিস্ফোরক সরবরাহ করে। নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত উচ্চমাত্রার বিস্ফোরকের পাশাপাশি রাসায়নিক, জৈবিক বা পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে। এগুলি ভূগর্ভস্থ নিক্ষেপ-কক্ষ (সাইলো) এবং ভ্রাম্যমাণ নিক্ষেপমঞ্চ ছাড়াও বিমান, জাহাজ এবং ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।

Thumb
একটি নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র

প্রথম দিককার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল এ-৪ (A-4), যা ভি-২ (V-2) নামেও পরিচিত। নাৎসি জার্মানি ১৯৩০ ও ১৯৪০-এর দশকে ভি-২ (V-2) ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখে, যাতে এতে পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন জার্মানির বায়বান্তরীক্ষ প্রকৌশলী ও মহাকাশ স্থপতি ভের্নহার ফন ব্রাউন। ১৯৪২ সালের ৩রা অক্টোবর তারিখে ভি-২ (V-2) সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। ১৯৪৪ সালের ৬ই অক্টোবর প্যারিসে এটি নিক্ষেপ করা হয়। এর দুই দিন পর আরেকটি ভি-২ ক্ষেপণাস্ত্র লন্ডনে নিক্ষেপ করা হয়।

Remove ads

ইতিহাস

নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম রূপ ১৩তম শতাব্দীর রকেটের ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত। চতুর্দশ শতাব্দীতে, মিং চীনা নৌবাহিনী শত্রু জাহাজের বিরুদ্ধে নৌযুদ্ধে হু লং চু শুই নামে একটি নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাথমিক রূপ ব্যবহার করেছিল।[] তবে আধুনিক অগ্রণী নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র ছিল এ-ফোর (a-4),[] আর-সেভেন সেম্যর্কা (R-7 Semyorka) ছিল প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র। এ পর্যন্ত মোট ৩০টি দেশ কর্মক্ষম নিক্ষেপী মিসাইল মোতায়েন করেছে। ২০০৭ সালে প্রায় ১০০ নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র উড্ডয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া) বেশিরভাগই গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, ইরান এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের দ্বারা। ২০১০ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রুশ সরকার আন্তঃমহাদেশীয় নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্রগুলির (ICBMs) সাত বছরের মেয়াদে ১৫৫০ ইউনিট পর্যন্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।[]

Thumb
মিনিটম্যানের সাইড ভিউ-III ICBM
Remove ads

নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রকারভেদ

সারাংশ
প্রসঙ্গ
Thumb
২০১১ সালের ১১ মার্চ ভারতের উদ্ভাবিত পৃথ্বী-২ মিসাইল উৎক্ষেপণ।

আন্তঃমহাদেশীয় নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (৫,৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লাবিশিষ্ট)

বিশ্বের মাত্র ৮টি দেশ তথা: রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন,ইরান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ভারত এবং উত্তর কোরিয়ার কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ইসরায়েলের এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। ভারতের অগ্নি-৫ এই শ্রেণীর একটি ক্ষেপণাস্ত্র।

ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণের ক্ষমতাসম্পন্ন আন্তঃমহাদেশীয় নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের।

দূর পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (৩,৫০০ থেকে ৫,৫০০ কিলোমিটার পাল্লাবিশিষ্ট)

বিশ্বের মাত্র ৭টি দেশের কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং উত্তর কোরিয়া। অগ্নি-৩ ও অগ্নি-৪ এই শ্রেণীর একটি ক্ষেপণাস্ত্র।

মধ্যম পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (১,০০০ থেকে ৩,৫০০ কিলোমিটার পাল্লাবিশিষ্ট)

বিশ্বের কিছু দেশের কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। রাশিয়া , ভারত , যুক্তরাষ্ট্র , চীন , ফ্রান্স , যুক্তরাজ্য এবং উত্তর কোরিয়া ছাড়াও ইরান , তুরস্ক এবং পাকিস্তানের কাছে রয়েছে । অগ্নি-২ ও শাহীন-৩ এই শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্র।

স্বল্প পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (৩০০ থেকে ১,০০০ কিলোমিটার পাল্লাবিশিষ্ট)

বিশ্বের কিছু দেশের কাছে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ব্রহ্মস , পৃথ্বী ও গজনাভি এই শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রহ্মস বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী ও নিখুঁত হামলাকারী ক্ষেপণাস্র হিসেবে বিবেচিত।[]

Remove ads

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads