শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ব্রাড হাড্ডিন
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ব্রাডলি জেমস হাড্ডিন (ইংরেজি: Bradley James Haddin; জন্ম: ২৩ অক্টোবর, ১৯৭৭) নিউ সাউথ ওয়েলসের কাউরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে ব্যাটসম্যান এবং উইকেট-রক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। পাশাপাশি দলে সহ-অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
১৯৮৯ সালে হাড্ডিনের পরিবার কুইয়ানবিয়ানে স্থানান্তরিত হয়, তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। এরপর সেখানে তিনি ১৫ বছর বয়সী জুনিয়রদের কুইয়ানবিয়ান ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেন। ১৬ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গ্রেড ক্রিকেট ক্লাবের ১ম গ্রেডের প্রতিনিধিত্ব করেন।[১]
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২ তারিখে শেফিল্ড শীল্ডে তাসমানিয়ার বিপক্ষে শতক হাঁকান।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
সমগ্র ক্রীড়া জীবনের অধিকাংশ সময়ই তিনি অস্ট্রেলিয়া এ দলের উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি মূল দলের উইকেট-রক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের আঘাতপ্রাপ্তি কিংবা বিশ্রামের বিপরীতে খসড়া উইকেট-রক্ষকের তালিকায় ছিলেন। ৩০ জানুয়ারি, ২০০১ তারিখে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে হোবার্টে হাড্ডিনের ওডিআই অভিষেক ঘটে। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ তারিখে কুয়ালালামপুরে ডিএলএফ কাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মাইক হাসি ও তিনি ১৬৫ রানের জুটি গড়েন। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ রানটি তৎকালীন সময়ের একদিনের আন্তর্জাতিকে বিশ্বরেকর্ড হিসেবে স্বীকৃত ছিল।[৩] ২০০৮ সালের শুরুতে ক্রিকেট জীবন থেকে গিলক্রিস্টের অবসর নেয়ার পর ২২ মে জ্যামাইকার কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০তম অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ঘটে হাড্ডিনের।[৪] ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে পার্থে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে নিল ব্রুমের আউটের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে হাড্ডিন টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। রিকি পন্টিংয়ের বিশ্রাম ও মাইকেল ক্লার্কের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার এ দায়িত্ব গ্রহণ।
৯ মার্চ, ২০১০ তারিখে অনুষ্ঠিত ২০০৯-১০ মৌসুমের চ্যাপেল-হ্যাডলি একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের তৃতীয় খেলায় তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শতক হাঁকান।[৫] কিন্তু কনুইয়ের আঘাতপ্রাপ্তির কারণে ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। মার্চে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শতক করে পুনরায় নিজের সামর্থ্যতা প্রমাণ করেন।[৬]
২০১০-১১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে ব্রিসবেনের গাব্বায় ১৩৬ রান করে তৃতীয় শতক করেন যা দলকে ইনিংসে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। সিরিজে তিনি ৪৫.০০ গড়ে ৩৬০ রান করেন। জানুয়ারি, ২০১১ সালে টুয়েন্টি২০ সিরিজে টিম পেইনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা হাড্ডিনের ভাষায় বিভ্রান্তিকর।[৭] ওডিআই ও টেস্টে আরো মনোযোগী হতে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সালে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক থেকে অবসর নেন।[৮] ২০১১ এর ঘরোয়া মৌসুমে দূর্বল খেলা প্রদর্শন করায় জানুয়ারি, ২০১২ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক দল থেকে বাদ পড়েন।[৯] তারপরও তিনি টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় উইকেট-রক্ষক হিসেবে মূল্যায়িত হন। কিন্তু উদীয়মান ম্যাথু ওয়াদের কাছ থেকে তার আসনচ্যুতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
Remove ads
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ হাড্ডিন-সহ অস্ট্রেলিয়া দলের ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করে।[১০] গ্রুপ পর্বের তৃতীয় খেলায় সহঃ স্বাগতিক দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বীরত্বপূর্ণ ৪১ বলে ৪৩ রান সংগ্রহ করে দলকে ১৫১ রানে নিয়ে যান ও সর্বশেষ আউট হন। খেলায় তার দল মিচেল স্টার্কের ৬/২৮ স্বত্ত্বেও ১ উইকেটে হেরে যায়।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads