শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ভানুকা রাজাপক্ষ
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
প্রমোদ ভানুকা বন্দর রাজাপক্ষ (সিংহলি: භානුක රාජපක්ෂ; জন্ম: ২৪ অক্টোবর ১৯৯১) হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার একজন পেশাদার ক্রিকেটার। তিনি ভানুকা রাজাপক্ষ নামে অধিক পরিচিত। তিনি শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেন। তিনি একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হওয়া সত্ত্বেও একজন ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং করেছেন। শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে তার জন্ম হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে রাজাপক্ষের দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার থাকা সত্ত্বেও, প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের দশ বছর পরে, ২০১৯ সালের পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ডাকা হয়। তখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়।
Remove ads
প্রাথমিক ক্যারিয়ার
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ভানুকা রাজাপক্ষ কলম্বোর রয়্যাল কলেজের ছাত্র হয়ে ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলেন। একজন ভালো ব্যাটসম্যান এবং নির্ভরযোগ্য মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে তিনি রয়েল কলেজ দলের একজন মূল খেলোয়াড় ছিলেন। তার অন্যান্য ক্রীড়া আগ্রহের মধ্যে রয়েছে স্কোয়াশ এবং সাঁতার।
রাজাপক্ষ ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলে ব্যাটসম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী হিসাবে তিনি ২৫৩ রান সংগ্রহ করেছেন। ২০০৯ সালে তিনি অনূর্ধ্ব -১৯ দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছিলেন, দ্বিতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডেতে ১১১ বল খেলে ১৫৪ রান করেছিলেন এবং সিরিজটি শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী হিসাবে শেষ করেছিলেন।[১][২]
তিনি তার ব্যাটিংয়ের ধরনকে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সাথে তুলনা করেন। তাঁর করা অপরাজিত ১৫৪* রান অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। রাজাপক্ষই প্রথম শ্রীলঙ্কান অনূর্ধ্ব -১৯ ক্রিকেটার যিনি কোনও যুব ওয়ানডে ইনিংসে ১৫০ রান করেছিলেন। [৩] তিনিই প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে অনূর্ধ্ব -১৯ ১০০০ রান সংগ্রহকারী খেলোয়াড়। [৪]
২০১১ সালে, রাজাপক্ষ কেবলমাত্র চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে দুইবার দেশের প্রিমিয়ার স্কুল সেক্টর পুরস্কার অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা স্কুল বয় ক্রিকেটার অর্থাৎ অবজারভার-মবিটেল বর্ষসেরা স্কুলবয় ক্রিকেটার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৫] সিইএটি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট পুরস্কার ২০১১-তে তাকে অনূর্ধ্ব ১৯ বিভাগের তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড় হিসাবেও নির্বাচিত করা হয়েছিল।
Remove ads
ঘরোয়া ক্যারিয়ার
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভানুকা রাজাপক্ষ সর্বপ্রথম শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট ক্লাব সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং বাংলাদেশের এনসিএল-এর টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বরিশাল বিভাগ ক্রিকেট দলের হয়েও খেলেছেন। [৬]
২০১৮ সালের এপ্রিলে তিনি সেবছর অনুষ্ঠিত সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ানডে টুর্নামেন্টে গালে দলে জায়গা পান। [৭] একই বছর আগস্টে তিনি তিনি এসএলসি টি-20 লিগে ক্যান্ডি দলে ডাক পান। [৮] ২০১৯ সালে তিনি ডাম্বুলা দলের হয়ে সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ানডে টুর্নামেন্ট খেলেন। [৯]
২০১৯ সালে প্রিমিয়ার মৌসুমে বিআরসি'র হয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের দলের বিরুদ্ধে মুরস গ্রাউন্ডসে ১৭৩ বলে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ২৬৮ রান করেন। ১৯ ছক্কা এবং ২২টি বাউন্ডারি দ্বারা তিনি এই অনবদ্য ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন।
২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা 'এ'-দলের ভারত সফরকালে, ভারত 'এ'-দলেরর দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক টেস্টে হুবলির কেএসসিএ মাঠে তিনি ১৭টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১১২ বলে ১১০ রান করেছিলেন।
Remove ads
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক টুয়েন্টি২০ দলে ডাক পান। [১০] একই বছরের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার হয়ে আন্তর্জাতিক টুয়েন্টি২০-তে তার অভিষেক হয়। শ্রীলঙ্কার ৬৪ রানের জয়ের এই ম্যাচটিতে তিনি ২২ বলে ৩২ রান করেছিলেন।[১১][১২] দ্বিতীয় ম্যাচে, তিনি ৪৮ বলে ৭৭ রান করে শ্রীলঙ্কার ৩৫ রানের জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই ম্যাচে তার ব্যাটিং পারফরম্যান্সের জন্য তিনি 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' নির্বাচিত হন। [১৩]
২০২২-এর ৫ জানুয়ারি তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[১৪][১৫] তবে মাত্র ৮ দিন পর ১৩ জানুয়ারিতে তিনি শ্রীলঙ্কার ক্রীড়া মন্ত্রীর অনুরোধে অবসরের চিঠি প্রত্যাহার করে নেন।[১৬][১৭][১৮]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads