শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

মধ্য ভারত (রাজ্য)

ভারতের প্রাক্তন রাজ্য (১৯৪৮-১৯৫৬) উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

মধ্য ভারত (রাজ্য)
Remove ads

মধ্য ভারত (এটি মালওয়া ইউনিয়ন নামেও পরিচিত ছিল) [] পশ্চিম-মধ্য ভারতের একটি রাজ্য ছিল। ১৯৮৮ সালে ২৮ মে[] তারিখে মোট পঁচিশটি দেশীয় রাজ্যের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই পঁচিশটি দেশীয় রাজ্য ব্রিটিশ ভারতের মধ্য ভারত এজেন্সির অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারতের স্বাধীনতার পর ভারতীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়া মধ্য ভারত এজেন্সির অন্তর্ভুক্ত গোয়ালিয়র রাজ্যের সর্বশেষ মহারাজা জীবজী রাও সিন্ধিয়া ছিলেন এই রাজ্যের রাজপ্রমুখ (আলংকারীক প্রধান)। এই রাজ্যের মোট আয়তন ছিল ৪৬,৪৭৮ বর্গমাইল (১,২০,৩৮০ বর্গকিলোমিটার)[] গোয়ালিয়র ছিল মধ্য ভারত রাজ্যের শীতকালীন রাজধানী এবং ইন্দোর ছিল রাজ্যের গ্রীষ্ম কালীন রাজধানী।

দ্রুত তথ্য মধ্য ভারত, আয়তন ...

মধ্য ভারত রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ছিল বোম্বে রাজ্য। এটি বর্তমানে গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র রাজ্যের মধ্যে বিভক্ত। মধ্য ভারতের উত্তর-পশ্চিমে ছিল রাজস্থান, উত্তরে উত্তর প্রদেশ এবং দক্ষিণ পূর্বে ভোপাল রাজ্য এবং মধ্য প্রদেশের সীমানা দ্বারা বেষ্টিত ছিল। এই রাজ্যের জনসংখ্যা বেশিরভাগই ছিল হিন্দু ধর্মের অনুসারী। রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণের ভাষা ছিল হিন্দি

১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বরে কার্যকর হওয়া রাজ্য পুনর্গঠন আইনের মাধ্যমে তৎকালীন বিন্ধ্য প্রদেশ এবং ভোপাল রজ্যের সাথে মধ্য ভারতকে একীভূত করে নতুন মধ্য প্রদেশ রাজ্য গঠন করা হয়।

Remove ads

জেলা

মধ্য ভারত রাজ্যটি মোট ষোলটি জেলা নিয়ে গঠিত ছিল [] এবং এই জেলাগুলি প্রাথমিকভাবে তিনটি কমিশনার বিভাগে বিভক্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে বিভাগ সংখ্যা কমিয়ে দুইটি করা হয়েছিল। মধ্য ভারত রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলি হলো:

  1. বিন্ধ্য জেলা
  2. গার্ড জেলা
  3. মোরেনা জেলা
  4. গুনা জেলা
  5. শিবপুরী জেলা
  6. রাজগড় জেলা
  7. বিদিশা জেলা
  8. শাজাপুর জেলা
  9. উজ্জয়ন জেলা
  10. ইন্দোর জেলা
  11. দেওয়াস জেলা
  12. রতলাম জেলা
  13. ধার জেলা
  14. ঝাবুয়া জেলা
  15. নিমার জেলা
  16. মান্দসৌর জেলা
Remove ads

রাজনীতি

সারাংশ
প্রসঙ্গ

প্রাক্তন মধ্য ভারত রাজ্যের আলংকারীক প্রধান ছিলেন রাজপ্রমুখ। এই রাজ্যে এক জন উপরাজপ্রমুখের পদও ছিল। মধ্য ভারত রাজ্যে্র বিধানসভা মোট ৯৯ জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। ৯৯ জন বিধায়ক মোট ৭৯ টি আসন (৫৯ জন একক সদস্য এবং ২০ জন দ্বৈত সদস্য) থেকে নির্বাচিত হতেন। অর্থাৎ, ৫৯টি আসনের প্রতিটিতে ১ জন করে এবং বাকি ২০টি আসনের প্রতিটিতে ২ জন করে নির্বাচিত হতেন। [] এই রাজ্যে মোট ৯টি লোকসভা কেন্দ্র ছিল (৭ জন একক সদস্য এবং ২ জন দ্বৈত সদস্য)। []

১৯৪৮ সালের ২৮ মে থেকে ১৯৫৬ সালের ৩১ অক্টোবরে রাজ্যটি বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত মধ্য ভারত রাজ্যের রাজপ্রমুখ ছিলেন জীবজী রাও সিন্ধিয়া এবং লীলাধর যোশি ছিলেন রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৪৯ সালের মে মাসে গোপী কৃষ্ণ বিজয়বর্গীয় তার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৫০ সালের ১৮ অক্টোবর তখত্মল জৈন (জলোরি) মধ্যভারতের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী হন।

১৯৫১ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ৭৫ টি আসন এবং হিন্দু মহাসভা ১১ টি আসন লাভ করেছিল।[] ১৯৫২ সালের ৩ মার্চ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মিশ্রিলাল গাঙ্গওয়াল রাজ্যের প্রথম নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী হন। তার পদতযাগের পর তখত্মল জৈন (জলোরি) ১৯৫৫ সালের ১ এপ্রিলে আবারও মুখ্যমন্ত্রী হন। [] তিনি ছিলেন মধ্য ভারত রাজ্যের সর্বশেষ মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৫৬ সালের ৩১ অক্টোবরে রাজ্যটি বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।

Remove ads

ভূগোল

মধ্য ভারত রাজ্যটি মধ্য ভারত মালভূমিতে অবস্থিত (বর্তমানে মধ্য প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ এবং মধ্য রাজস্থানের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে অবস্থিত)। এই মালভূমিটি উত্তরে সিন্ধু-গাঙ্গেয় সমভূমি, পূর্বে বুন্দেলখণ্ড উপকূল, দক্ষিণে মালওয়া মালভূমি এবং পশ্চিমে পূর্ব রাজস্থান উপভূমি দ্বারা আবদ্ধ।

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads