শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
মরিস টেট
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মরিস উইলিয়াম টেট (ইংরেজি: Maurice Tate; জন্ম: ৩০ মে, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ১৮ মে, ১৯৫৬) সাসেক্সের ব্রাইটন এলাকার প্রিস্টনে জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯২০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে ছিলেন। এ সময়কালে ইংল্যান্ডের টেস্ট বোলিং আক্রমণে দলের নেতৃত্ব দেন ‘চুবি’ ডাকনামে পরিচিত মরিস টেট। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন তিনি।
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
সাসেক্সের সাবেক অফ স্পিনার ফ্রেড টেট ছিলেন তার বাবা। ১৯১২ সালে মারকুটে ব্যাটসম্যান ও স্পিন বোলার হিসেবে সাসেক্সে খেলা শুরু করেন তিনি। ১৯১৩ ও ১৯১৪ সালে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন টেট। ১৯১৯ সালে প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে আরও দশবার সহস্র রানের কোটা অতিক্রম করেন। পরের দুই বছর টেটের ব্যাটিং গড়ের উন্নতি ঘটে। তন্মধ্যে ১৯২১ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে দ্বি-শতক রান করেন যা তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। কিন্তু এ সময়কালে তার বোলিংয়ের মান দ্বিতীয় সারির পর্যায়ে চলে যায়।[১] ১৯২৪-২৫ মৌসুম থেকে ১৯৩২-৩৩ সময়কালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[২][৩]
১৯২৩ থেকে ১৯২৫ সালের মধ্যে কাউন্টি ক্রিকেটসহ টেস্ট খেলায় ব্যাপক সাফল্য পান। এ সময়ের প্রত্যেক বছরেই তিনি দুই শতাধিক উইকেট পান। সাসেক্সের ব্যাটিং অবস্থা দূর্বল থাকা স্বত্ত্বেও তার ব্যাট ঠিকই রান পেয়েছে। এছাড়াও, ১৯২৪ সালে দলের মূল বোলার আর্থার জিলিগান মারাত্মকভাবে আহত ছিলেন।
Remove ads
খেলোয়াড়ী জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
সাসেক্সের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট লাভ করেন তিনি।[৪] ১৬ জুন, ১৯২৪ তারিখে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ফ্রেড সাসকিন্ডকে সরাসরি বোল্ড করে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।[৫] বার্মিংহামের এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় জিলিগান ও তিনি একত্রে ১২.৩ ওভারেই মাত্র ৩০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস সমাপ্তিতে সহায়তা করেন। জিলিগানের ৬/৭ এর সাথে তার বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৪/১২।
১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। তবে, ঐ সফরে শীর্ষস্থানীয় বোলার হিসেবে মরিস টেট দলকে খুবই কম সহযোগিতা করেছিলেন।[৬] ঐ সিরিজে তিনি ২৩.১৮ গড়ে ৩৮ উইকেট লাভ করেন। পাঁচ টেস্টের তিনটিতেই তিনি ছয় শতাধিক বল করলেও অন্য বোলারদের তেমন কার্যকারিতা দেখা যায়নি। ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে যে-কোন ইংরেজ বোলারের রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
পরবর্তী ছয় বছরেও টেটের অল-রাউন্ড নৈপুণ্য বজায় থাকে। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে মরিস টেট ইংল্যান্ডের বাইরে এক মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় এক হাজার বা ততোধিক রান এবং একশত বা ততোধিক উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল লাভ করেছেন। ১৯২৬-২৭ মৌসুমে এমসিসি দলের সাথে ভারত ও সিলন গমন করে ১১৯৩ রান ও ১১৬ উইকেট পেয়েছিলেন।[৭] আর্থার জিলিগানের নেতৃত্বে দলটি ভারতে ২৬টি ও সিলনে চারটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিল। মরিস টেট, মরিস লেল্যান্ড, অ্যান্ডি স্যান্ডহাম, বব ওয়াট, আর্থার ডলফিন, জর্জ গিয়েরি, ইউয়ার্ট অ্যাস্টিল ও জর্জ ব্রাউনের ন্যায় খেলোয়াড়েরা দলের সদস্য ছিলেন।
১৯২৯ সালে মরিস টেট তার একমাত্র শতক লাভ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে তাকে শেষদিকে ব্যাটিং করতে হয়েছে। ঐ সময়ে হ্যারল্ড লারউড ও বিল ভোসের ন্যায় বোলারের আবির্ভাব ঘটায় ইংল্যান্ড দলে তার ভূমিকা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তার তৃতীয় সফরে দলের সদস্য থাকা স্বত্ত্বেও এবং লারউডের অনুপস্থিতিজনিত কারণেও কোন টেস্টে অংশ নিতে পারেননি।
Remove ads
সম্মাননা
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তিনবার হ্যাট্রিক করেন। ১৯২৪ সালে নিজ দেশে ১,৪১৯ রান ও ২০৫ উইকেট লাভ ও পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১১ উইকেট লাভ করায় উইজডেনের বিবেচনায় তাকে উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার ঘোষণা করে। একই বছর তাকে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত করে।[১][৮]
ক্রিকেট লেখক আর. সি. রবার্টসন-গ্লাসগো’র অভিমত, ১৯২০-এর দশকে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়াম পেস বোলার মরিস টেট বাদে জর্জ ম্যাকাউলির সমকক্ষ অন্য কোন বোলার ছিল না।[৬]
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads