শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
মানব শিশ্ন
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মানুষের শিশ্ন (ইংরেজি: Human penis) বা পুরুষাঙ্গ হল বহিস্থিত পুরুষ যৌনাঙ্গ যা প্রস্রাবনালীর কাজও করে থাকে। শুক্রাণু-নির্গমদ্বার (), মৈথুনাঙ্গ ছাড়াও সাধারণভাবে প্রস্রাব ত্যাগের নালি হিসাবে শিশ্ন ব্যবহৃত হয়। শিশ্নের মূল অংশগুলি হল আন্তঃভাগ (radix) , গাত্রভাগ (corpus) এবং আবরণী কলা (epithelium) যা দ্বারা শিশ্নের দণ্ড (shaft) অংশের চামড়া এবং শিশ্নের সন্মুখ অংশ ঢেকে রাখা চামড়া (foreskin) গঠিত হয়। শিশ্নের গাত্রভাগ তিনধরনের কলা দ্বারা নির্মিত, ওপরের দিকে দুই তরফা corpora cavernosa এবং দুয়ের নিচের তলের দিকে corpus spongiosum কলা দেখা যায়।
পুরুষাঙ্গ

মানব শিশ্নে লিঙ্গাস্থি () থাকে না, কিন্তু অন্যান্য প্রায় সকল স্তনপায়ী প্রাণী এবং সকল বন-মানুষের শিশ্নে একটি অস্থি বা হাড় থাকে যা একে স্থায়ী ভাবে কঠিন করে রাখে।[১] পুরুষের ইউরেথ্রা শিশ্নের মাঝ দিয়ে গিয়ে প্রস্টেট গ্রন্থিতে বীর্যনালির সঙ্গে সংযুক্ত হয়, ফলে শিশ্নের ভিতর দিকে থাকা মূত্রনালি দিয়ে প্রস্রাব এবং বীর্য দুই-ই প্রবাহিত হয়। শিশ্নের শেষাংশে মূত্রনালির খোলা বাঁধাটিকে ম্যেটাস (meatus) নামে অভিহিত করা হয়, যার মাধ্যমে প্রস্রাব এবং বীর্য দুই-ই শরীর থেকে নির্গত হয়

শিশ্নের আধার অংশে মূত্রনলীর সঙ্গে কৌপার গ্রন্থিদ্বয় () থেকে আসা নালিরও সংযোজন হয়, যে নালিতে যৌন উত্তেজনার সময়ে ক্ষারকীয় শ্লেষ্মার প্রাক-ক্ষরণ ঘটে। এই কার্যই মূল মূত্রনালিটির ভিতর অংশ মসৃণ করে এবং সেইসঙ্গে সেখানে থাকা অবশিষ্ট আম্লিক প্রস্রাবকে[২] প্রশমিত করে নালিটি পরিষ্কার করে, যাতে প্রস্রাব মূল-স্খলনের সময় বেরিয়ে আসা শুক্রাণু () সমূহকে নষ্ট করতে না পারে।[৩]
Remove ads
উত্তেজনা অবস্থায় পুরুষাঙ্গ
সাধারণ অবস্থায় পুরুষাঙ্গ ছোট আকৃতিতে থাকে। কিন্তু যৌন কাম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তার আকার ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং পেশি শক্ত হতে থাকে। ২" থেকে ৭" পর্যন্ত হতে পারে।

শিশ্নের অংশসমূহ
শিশ্নের গঠন
শারীরবৃত্তীয়
ঋজুতা
লিঙ্গোত্থান

হস্তমৈথুন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
হস্তমৈথুন হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মানুষ নিজের জননাঙ্গে যৌন উদ্দীপনা প্রদান করে যাতে যৌন উত্তেজনা তৈরি হয় এবং যৌন সুখ লাভ হয়। সাধারণত রাগমোচন লাভ পর্যন্তই এটি চালিয়ে যাওয়া হয়।[৪] এই উদ্দীপনায় হাত, আঙ্গুল, নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় বস্তু, যৌনখেলনা যেমন ভাইব্রেটর, বা এগুলোর মিলিত ব্যবহার করা হতে পারে।[৪][৫] সঙ্গীর দ্বারা মানব নিয়ন্ত্রিত উদ্দীপনা যেমন অঙ্গুলিসঞ্চালন, হ্যান্ডজব বা পারস্পরিক স্বমেহন হচ্ছে সাধারণ যৌন ক্রিয়া, এবং এগুলো ভেদনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। গবেষণায় পাওয়া গেছে, স্বমেহন সকল লিঙ্গ, সকল বয়সেই দেখা যায় যদিও এদের স্বমেহনের হারে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্যকর যৌনক্রিয়ার অনেক চিকিৎসাসংক্রান্ত এবং মানসিক উপকারিতা সম্পর্কে জানা গেছে, যার মধ্যে স্বমেহনও রয়েছে। স্বমেহন ও কোন মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে কোন কার্যকারণ সম্পর্ক পাওয়া যায় নি।[৬]
[৭]
পাশ্চাত্যে ব্যক্তিগত স্থানে স্বমেহন করা, অথবা সঙ্গীর সাথে স্বমেহন করাকে সাধারণত স্বাভাবিক ও যৌন উপভোগের একটি স্বাস্থ্যকর অংশ হিসেবেই দেখা হয়। হস্তমৈথুন একটি স্বাভাবিক যৌনকর্ম নাকি যৌনবিকৃতি কি-না এই বিষয়ে দীর্ঘকাল থেকে বিতর্ক চলমান ছিল, কিন্তু এখন আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে হস্তমৈথুনকে একটি স্বাস্থ্যকর এবং স্বাভাবিক মানসিক আচরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।[৮][৯][১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫] অনেক স্থানেই প্রাণীর স্বমেহনকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, বন্যপ্রাণী ও গৃহপালিত প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই স্বমেহন পাওয়া গেছে।[১৬][১৭][১৮][১৯][২০]
হস্তমৈথুন একটি কামোদ্দীপক প্রক্রিয়া যার চূড়ান্ত পরিণতিতে সাধারণত পুরুষের বীর্যপাত হয়ে থাকে। তবে বীর্যপাতের আগেই হস্তমৈথুন পর্ব শেষ হতে পারে। নারীর ক্ষেত্রেও এ কথা প্রযোজ্য অর্থাৎ হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নারীর রাগমোচন হতেও পারে আবার না-ও হতে পারে। হস্তমৈথুন নিজেই একটি সুখপ্রদায়ী প্রক্রিয়া। এটি আসক্তিজনক হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি সমস্যাসঙ্কুল হতে পারে।
কৌশল —
হস্তমৈথুনের মূল কৌশল উভয় লিঙ্গের ক্ষেত্রেই একই রকম, আর তা হচ্ছে যৌনাঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা নাড়াচাড়া ও ঘর্ষণ করা। এটি আঙুল দ্বারা বা কোনো কিছুর মাধ্যমেও (যেমন: বালিশ) হতে পারে। এছাড়া বৈদ্যুতিক কম্পক বা ভাইব্রেটরের মাধ্যমেও ভালভা বা শিশ্নকে উত্তেজিত করে তোলা যায়। এটি একই সাথে যোনি ও পায়ু পথেও প্রবেশ করানো যায়। পারস্পরিক হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে উভয় লিঙ্গের সদস্যরা তাদের পরস্পরের স্তনবৃন্ত বা অন্যান্য কামোত্তেজক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে স্পর্শ করাকেও উপভোগ্য মনে করতে পারেন। অনেকেই হস্তমৈথুনকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য মুখের লালা, তেল বা পিচ্ছিলকারক দ্রব্য ব্যবহার করে।
বৈচিত্র্য —
হস্তমৈথুন মূলত স্বকাম; তবে এতে মানুষ স্বীয় হাত-আঙ্গুলি ছাড়াও যৌনখেলনা যেমন কৃত্রিম যোনি বা কৃত্রিম শিশ্ন ব্যবহার করে থাকে।
পুরুষের হস্তমৈথুন

সচরাচর স্বীয় শিশ্ন হাতের মুঠিতে আঁকড়ে ধরে ওপর-নিচ ওঠানামা করে পুরুষ মানুষ হস্তমৈথুন করে থাকে। এর জন্য অপরিহার্য হলো উত্থিত শিশ্ন। এর ফলে এক পর্যায়ে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে এবং বীর্যপাত হয়ে রাগমোচন অর্থাৎ চরমানন্দ লাভ হয়। হস্তমৈথুনের জন্য সুবিধার্থে অনকে ব্যাক্তি লুব্রিকেটিং জেলী, তৈল,লালা বা অনুরূপ পদার্থ ব্যবহার করে থাকে।
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads