শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
মার্টিন গাপটিল
নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
মার্টিন জেমস গাপটিল (ইংরেজি: Martin James Guptill; জন্ম: ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। তিনি মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানরূপে পরিচিত। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষ হয়ে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন বয়সীদের ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রথম এবং বিশ্বের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্বি-শতক করার গৌরব অর্জন করেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের বর্তমান রেকর্ডের অধিকারী মার্টিন গাপটিল একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৩৭* করেছেন।
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
গাপটিল অকল্যান্ডের এভনডেল কলেজে অধ্যয়ন করেন। বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে ক্রিকেট খেলেন। চূড়ান্ত বর্ষে তিনি শ্রেণী প্রধান নিযুক্ত হন। ১৪ বছর বয়সে ট্রাক দূর্ঘটনায় তার তিনটি পায়ের আঙ্গুল হারান।[১] (এ বিষয়টি বিশ্বকাপে সহযোগী খেলোয়াড় স্কট স্টাইরিসের মাধ্যমে জানা যায়। এরফলে দলে তার ডাকনাম হয় টু টোজ।) হাসপাতালে নেয়ার পর তার পিতা জেফ ক্রোকে বলেন যে কোন নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড় যদি তাকে দেখতে আসতো, তাহলে ভাল হতো। এরপর তৎকালীন অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং পরদিন তাকে দেখতে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন।
Remove ads
খেলোয়াড়ী জীবন
অকল্যান্ড অ্যাশেস দলের পক্ষ হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের অভিষেকে ৯৯ রান করেন। জানুয়ারি, ২০১১ সালে ইংল্যান্ডে ডার্বিশায়ারের হয়ে খেলেন। অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড় উসমান খাজা’র পরিবর্তে ২০১১ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয়ার্ধে ও সিবি৪০ প্রতিযোগিতায় খেলেন।[২]
১০ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটে গাপটিলের। ক্রিস গেইলের বলে বিশাল ছক্কা হাকিয়ে অভিষেকে প্রথম নিউজিল্যান্ডার্স হিসেবে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২২ রান করে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়াও এ রানটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তার এ রানটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান ও প্রথম নিউজিল্যান্ডার্স হিসেবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করার রেকর্ড।
মার্চ, ২০০৯ সালে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অভিষিক্ত হন। ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে নেপিয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সালমান বাট, ইমরান ফরহাত এবং মোহাম্মদ আসিফকে আউট করেন।[৩]
Remove ads
ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তিনি অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। নক-আউট পর্ব পর্যন্ত তিনি নিউজিল্যান্ডের পক্ষে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ধারাবাহিকভাবে দুইটি শতরান করেন।[৪] এছাড়াও গাপটিল বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বের খেলায় প্রথমবারের মতো দ্বি-শতক হাঁকান। পাশাপাশি প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্বি-শতক করেছেন ও ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নজির স্থাপন করেছেন।[৫] গাপটিলের অপরাজিত ২৩৭* রান বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।[৫] তার অসামান্য ক্রীড়া নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ড দল ১৪৩ রানের বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। তিনি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৫৪৭ রান করেন৷
অর্জনসমূহ
২০১৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে একদিনের আন্তর্জাতিকে পরপর দুই খেলায় অপরাজিত শতরান করেন ও উভয় খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। ৩ খেলার ওডিআই সিরিজে তিনি সর্বমোট ৩৩০ রান সংগ্রহ করেন যা ৩ খেলার দ্বি-পক্ষীয় সিরিজে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এছাড়াও তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন।[৬] ২১ মার্চ, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৩৭* রান তোলেন।
Remove ads
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads