শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

ম্যানি মার্টিনডেল

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

ম্যানি মার্টিনডেল
Remove ads

ইমানুয়েল আলফ্রেড ম্যানি মার্টিনডেল (ইংরেজি: Manny Martindale; জন্ম: ২৫ নভেম্বর, ১৯০৯ - মৃত্যু: ১৭ মার্চ, ১৯৭২) বার্বাডোসের সেন্ট লুসি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৩ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে উদ্বোধনী বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন ‘ম্যানি’ ডাকনামে পরিচিত ম্যানি মার্টিনডেল

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দশ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ২৪ জুন, ১৯৩৩ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ম্যানি মার্টিনডেলের।

দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন ম্যানি মার্টিনডেল। তবে, এ ধরনের বোলিং করার জন্য তার উচ্চতা তেমন ছিল না। ধারাভাষ্যকারেরা লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনলেসলি হিল্টনের পাশে তার একযোগে পেস বোলিং আক্রমণ কার্য পরিচালনার বিষয়টির সাথে ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেস জুটির সাথে তুলনা করেন যা পথিকৃতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল।[]

ক্রিকেটে স্বল্প পরিচিত ও অপরিচিত থাকলেও ১৯৩৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ সফরে তিনি বেশ সফল ছিলেন। ৩ টেস্ট নিয়ে গড়া ঐ সিরিজে অর্ধেকেরও বেশি উইকেট তার দখলে ছিল।[] এছাড়াও, শতাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছেন ম্যানি মার্টিনডেল।

১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে সমর্থ হয়। এ সিরিজে তিনি শীর্ষস্থানীয় বোলার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন। শীর্ষস্থানীয় ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে তিনি বিরাট সফলতা পান। সিরিজের চূড়ান্ত খেলায় ইংরেজ অধিনায়ক বব ওয়াটের চোয়াল ভেঙ্গে ফেলেন।

১৯৩৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। তবে এবার তিনি তুলনামূলকভাবে কম সফলতা পান। কিন্তু, ইংল্যান্ডের লীগ ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত বোলারে পরিণত করতে সমর্থ হন। শুরুতে বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। এরপর পরবর্তী ২৮ বছর পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। ১৯৬৪ সালে বার্বাডোসে ফিরে আসেন ও কোচিংয়ের দিকে ধাবিত হন। ১৯৭২ সালে তার দেহাবসান ঘটে।

Remove ads

ইংল্যান্ড গমন, ১৯৩৩

ওয়েস্ট ইন্ডিজে সীমিত আকারে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হতো। ১৯৩৩ সালে ইংল্যান্ড গমনের পূর্বে মাত্র চারটি খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যানি মার্টিনডেল। তিনি মাত্র ১৪ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, প্রস্তুতিমূলক খেলায় পেয়েছিলেন পাঁচটি।[] বেশ কম ক্রিকেট খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বল্পসংখ্যক ব্যক্তির কাছেই তিনি পরিচিত ছিলেন। তবে, এ সফরে তিনি নিজেকে ঠিকই মেলে ধরতে সক্ষম হন।[]

ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখার পর তিনি খুব দ্রুত সফলতা পান। দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে দলের প্রথম দিনের অনুশীলনীর বিষয়ে উল্লেখ করা হয় যে, জাল ঘেরা অনুশীলনীর সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ই. মার্টিনডেলকে কনস্ট্যান্টাইন ও জর্জ ফ্রান্সিসের যোগ্য উত্তরসূরী পেস বোলার হিসেবে মনে করা হচ্ছে।[]

Remove ads

এসেক্সের মুখোমুখি

সারাংশ
প্রসঙ্গ

মূল ক্রিকেট খেলা শুরু হলে ম্যানি মার্টিনডেল তাৎক্ষণিক সফলতা পান। সফরে নিজস্ব দ্বিতীয় ও ব্যক্তিগত তৃতীয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় এসেক্সের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩২ রানে আট উইকেট পান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪/৭৩ পান। খেলায় তিনি ১০৫ রানের বিনিময়ে ১২ উইকেট পেয়েছিলেন যা পরবর্তীতে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা হিসেবে রয়ে যায়।[] ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে বিতর্কিত বডিলাইন সিরিজের বিষয়টি তখনো বেশ সরব ছিল। এ অবস্থায় দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে মার্টিনডেলের বোলিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। পুরনো ধাঁচের বোলিং ভঙ্গীমা নিয়ে তার ন্যায় ফাস্ট বোলার স্লিপ অঞ্চলে উইকেট তুলে নিয়েছেন ও লেগ সাইডের পরিবর্তে অফ সাইডে সংক্ষিপ্ত সময়ে এসেক্স ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার পালা ছিল।[]

কনস্ট্যান্টাইন ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে নেলসনের পক্ষে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। ঐ গ্রীষ্মে কেবলমাত্র পাঁচটি খেলা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। শুরুতে তিনি ও মার্টিনডেল এমসিসির প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেটের নয়টিতে ভাগ বসান। মার্টিনডেল ৫/৭০ পান।[] তবে, উভয় বোলারই এমসিসি ব্যাটসম্যানদেরকে উদ্দেশ্য করে শর্ট বোলিংয়ের কারণে গণমাধ্যমে সমালোচনার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন।[১০]

পরের খেলায় হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৬১ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। মে, ১৯৩৩ সালের শেষ সপ্তাহে প্রথম-শ্রেণীর গড় প্রকাশিত হলে দেখা যায় যে, উইকেট প্রতি ১৪.২০ গড়ে ৩৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছেন ম্যানি মার্টিনডেল। সংখ্যার দিক থেকে দলের অন্য যে-কোন বোলারের তুলনায় দ্বিগুণেরও অধিক উইকেট পেয়েছেন তিনি।[১১][১২]

Remove ads

টেস্ট সিরিজ

পেশীতে টান পড়ার ন্যায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে জুন মাসে তার বোলিং বেশ অকার্যকর ছিল। এ সময়ে তিনি খেলার বাইরে ছিলেন কিংবা কম বোলিং করতেন।[১৩] সুস্থ হবার পর লর্ডসে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফ্রান্সিসের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামেন। নেলসন থেকে লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের কারণে কনস্ট্যান্টাইনকে ছাড়া হয়নি। মার্টিনডেল ৪/৮৫ পান। তবে, ইংল্যান্ড খুব সহজেই ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।[১৪]

জুলাইয়ে আবারও দ্বিতীয়বারের মতো আট উইকেট পান। নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় ৮/৬৬ পান। তন্মধ্যে, পাঁচজন ব্যাটসম্যানই বোল্ড হয়েছিলেন।[১৫]

বডিলাইন কৌশল

সারাংশ
প্রসঙ্গ

পূর্ববর্তী শীত মৌসুমে ইংল্যান্ড দল বিতর্কিত বডিলাইন সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে খেলে। এরফলে ইংরেজ বোলারেরা লেগ স্ট্যাম্প বরাবর বোলিং করার দায়ে অভিযুক্ত হয়। প্রায়ই বলগুলো খাঁটোমানের থাকায় লেগ সাইডে অবস্থানকারী চার কিংবা পাঁচজন ফিল্ডার ব্যাটের খোঁচা খেয়ে ক্যাচ তালুবন্দী করার জন্য অপেক্ষায় থাকতেন। এ কৌশল অবলম্বনের ফলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বল সামলানো বেশ দুরূহ হয়ে পড়ে ও রূপরেখা পূর্বনির্ধারিত ছিল।[১৬] ১৯৩৩ মৌসুমে এ বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতরতা লাভ করে।[১৭] ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ম্যানি মার্টিনডেল অংশগ্রহণ করেননি। স্বাগতিক দল নিজেদের উপযোগী করে পিচ প্রস্তুত করায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক জ্যাকি গ্র্যান্ট বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। ফাস্ট বোলিংয়ের কার্যকারিতা না থাকার কথা ভেবে তিনি কনস্ট্যান্টাইনকে বডিলাইন বোলিং করার নির্দেশ দেন। এ কৌশলটি তেমন কার্যকারিতা পায়নি। তবে, গ্রান্ট ও কনস্ট্যান্টাইন এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করে দ্বিতীয় টেস্টে বডিলাইন বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন।[১০][১৮]

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ৩৭৫ রান তুলে। প্রত্যুত্তরে ইংল্যান্ড দল এগিয়ে আসলে মার্টিনডেল ও কনস্ট্যান্টাইন বডিলাইন বোলিং করতে থাকেন।[১০] এ দু’জন ওভারে চারটি শর্ট বল ফেলতেন ও মাথা সমান উচ্চতায় চলে আসতো। মাঝে-মধ্যে তারা উইকেট লক্ষ্য করে বল ফেলতেন।[১৯] ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের অনেকেই অস্বস্তিকর অবস্থায় নিপতিত হন।[১০] তন্মধ্যে, মার্টিনডেলের ছোঁড়া একটি শর্ট বল মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ওয়ালি হ্যামন্ডের চিবুকে আঘাত হানলে রিটায়ার হার্ট হতে বাধ্য হন।[২০] মার্টিনডেল দ্রুতগামী বোলার হওয়া সত্ত্বেও কনস্ট্যান্টাইনও সেরা পেস বোলিং করতে থাকেন।[২১] তাসত্ত্বেও, অস্ট্রেলিয়ায় বডিলাইন কৌশল অবলম্বনের জন্য দায়ী ইংরেজ অধিনায়ক ডগলাস জারদিন দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করতে সক্ষম হন। এ সময় তিনি নিজের একমাত্র সেঞ্চুরিটি তুলে নেন। অনেক ক্রিকেট সমালোচক জারদিনের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে ও খেলায় সাহসিকতা তুলে ধরায় খুশী হয়।[১৮][২২]

আরেকটি বোলিং উপযোগী পিচে বল বেশ ধীরগতিতে আসে ও বডিলাইন কৌশল অবলম্বনের অকার্যকারিতা তুলে ধরে।[২৩] তবে, দর্শকেরা খেলা শেষে বডিলাইনের বিপক্ষে ইংরেজদের কৌশল গ্রহণের বিষয়ে বেশ ঘৃণা প্রকাশ করে।[২৩] কিন্তু, সমসাময়িক প্রতিবেদনগুলোয় এ কৌশল গ্রহণের কথা তুলে ধরা হয়নি। দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, খেলাটি প্রাণবন্তঃ ছিল।[২৪] এ বোলিংয়ের ফলে মার্টিনডেল ৫/৭৩ পান। অন্যদিকে, কনস্ট্যান্টাইন মাত্র একটি উইকেট পেয়েছিলেন।[২৫] ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড দল বডিলাইন কৌশল অবলম্বন করলেও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।[২৬][২৭]

Remove ads

তৃতীয় টেস্ট

সারাংশ
প্রসঙ্গ

গ্রীষ্মের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য মনোপীড়াদয়কে পরিণত হয়। ওভালের খেলাটিতে স্বাগতিক ইংরেজ দল ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হয়। শনিবার ব্যাটিং উপযোগী পিচে অভিষিক্ত চার্লস ম্যারিওট তার খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র টেস্টে ১১ উইকেট পেলে এ ফলাফল আসে।[২৮] ইংল্যান্ডের একমাত্র ইনিংসে ম্যানি মার্টিনডেল ৫/৯৩ লাভ করেন। দ্য টাইমসের মন্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, তিনি বোলিং করলেও তা যথেষ্ট ও সময় উপযোগী ছিল না।[২৯] পাঁচ-উইকেট লাভের কারণে ম্যানি মার্টিনডেল এ সিরিজে ১৭.৯২ গড়ে ১৪ উইকেট দখল করেন। এর বিপরীতে তার বোলিং সতীর্থরা ৫৮.৩৩ গড়ে মাত্র ১২ উইকেট লাভ করতে পেরেছিলেন।[] ঐ সময় পর্যন্ত এটিই যে-কোন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারের সেরা সাফল্য ছিল।[]

চূড়ান্ত টেস্টের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল স্যার লিন্ডসে পারকিনসনের ব্যবস্থাপনায় গঠিত দলের বিপক্ষে একটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেয়। ঐ মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে আট উইকেট পান ম্যানি মার্টিনডেল। এবারের বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৮/৩৯।[৩০] মৌসুমের শেষ খেলায় এইচ. ডি. জি. লেভেসন গাওয়ার একাদশের বিপক্ষে খেলেন। এ খেলায় তিনি মৌসুমে শত উইকেটের সন্ধান পান।[৩১] ১৯৩৩ মৌসুমে ২০.৯৮ গড়ে ম্যানি মার্টিনডেল ১০৩টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। এলিস আচং ৩৬.১৪ গড়ে ৭১ উইকেট পেলেও অন্য কোন বোলারই ৫০ উইকেটের বেশি পাননি।[] ১৯২৮ সালে কনস্ট্যান্টাইনের সংগৃহীত ১০০ উইকেট লাভের মর্যাদা লাভ করেন। তবে, দূর্ভাগ্যবশতঃ কনস্ট্যান্টাইনসহ অন্য কোন কার্যকরী বোলার তাকে যথোচিত সহায়তা করেননি।[] উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাদের ১৯৩৪ সালের সংস্করণে মার্টিনডেল ও ব্যাটসম্যান জর্জ হ্যাডলিকে দলের অপরিহার্য ও দৈত্যরূপে আখ্যায়িত করেছিল।[৩২] ব্যাট হাতে জর্জ হ্যাডলির পাশাপাশি দলের সফলতা প্রাপ্তিতে মার্টিনডেলের উপর নির্ভর করতে হতো।[] তাসত্ত্বেও, জর্জ হ্যাডলিকে উইজডেন কর্তৃপক্ষ অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় অভিষিক্ত করে; মার্টিনডেলকে নয়।

Remove ads

ফিরতি সফর

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৩৩-৩৪ ও ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় ম্যানি মার্টিনডেল বার্বাডোসের পক্ষে খেলে ব্যক্তিগতভাবে বিরাট সফলতা পান তবে কোন বছরই তার দল প্রতিযোগিতার শিরোপা লাভে সক্ষমতা দেখায়নি। দ্বিতীয় মৌসুমটিতে ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। দলটিতে কয়েকজন টেস্ট খেলোয়াড় ও কিছু নতুন খেলোয়াড় চার টেস্টে অংশগ্রহণ করে। স্বাগতিক উপনিবেশ দলের বিপক্ষে তারা খেলে। সফরকারী দলের বিপক্ষে বার্বাডোস দল দুই খেলায় অংশ নিলেও মার্টিনডেল খুব কমই প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। কোন খেলাতেই কোন উইকেট লাভে সক্ষম হননি তিনি।[৩৩][৩৪]

দ্বিতীয় খেলাটি বৃষ্টির কবলে পড়ে ও বিরূপ আবহাওয়া টেস্ট খেলায় প্রভাব বিস্তার করে। টেস্ট খেলাটি নাটকীয় পর্যায়ে উপনীত হয়। ইংরেজ অধিনায়ক বব ওয়াট টসে জয়লাভ করে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদেরকে ভেজা পিচে ব্যাটিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ জানান। এরপর ২১ রান পিছিয়ে থেকে ইংল্যান্ড দল ইনিংস ঘোষণা করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল দ্বিতীয় ইনিংসে ইনিংস ঘোষণা করলে ইংল্যান্ডের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য হয় মাত্র ৭২ রান। তখনো ব্যাটিং উপযোগী ছিল না পিচ। ওয়াট মার্টিনডেলের তোপের কাছে হার না মানতে ব্যাটিং অর্ডার পুণঃগঠন করেন।[৩৫] ৮.৩ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচনায় ৫ উইকেট তুলে নেন ম্যানি মার্টিনডেল। হ্যামন্ডের ২৯ রানের ইনিংস দলকে চার উইকেটের জয় এনে দেয়। তন্মধ্যে, শেষ বলে মার্টিনডেলকে ছক্কা হাঁকান ওয়ালি হ্যামন্ড।[৩৬] ঐ খেলায় মার্টিনডেল আট উইকেট পান। কিন্তু, কনস্ট্যান্টাইনের ন্যায় বোলারদের অনুপস্থিতি দলকে জয়লাভ এনে দিতে ব্যর্থ হয়।

প্রথম টেস্টে ম্যানি মার্টিনডেলের ফাস্ট বোলিং জুটি ছিলেন লেসলি হিল্টন। ত্রিনিদাদের দ্বিতীয় টেস্টে তাদের সাথে কনস্ট্যান্টাইন যুক্ত হন।[৩৭] বব ওয়াটের বিস্ময়কর অধিনায়কত্বের কারণে এ খেলায় ইংল্যান্ড দল পরাজয়বরণ করতে বাধ্য হয়। টসে জয়লাভ করেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বব ওয়াট। ৩২৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ইংরেজ দল মাঠে নামে। তিনি পুনরায় ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করেন। ৭৫/৫ পতন ঘটলে শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানেরা তা পূরণে সক্ষম হননি। তবে, মার্টিনডেল মাত্র এক উইকেট পেয়েছিলেন।[৩৮]

ব্রিটিশ গায়ানায় তৃতীয় টেস্টটি বৃষ্টিবিঘ্নিত হয় ও ধীরগতিতে রান উঠে। অবশ্যম্ভাবী ফলাফল হিসেবে খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ম্যানি মার্টিনডেল তিন উইকেট পান।[৩৯]

Remove ads

টেস্ট জয়

সারাংশ
প্রসঙ্গ

জ্যামাইকায় সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্ট জয়ের মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সিরিজ জয় করে। স্থানীয় বীর জর্জ হ্যাডলি’র অপরাজিত ২৭০ রানের বীরোচিত ইনিংসের সাথে মার্টিনডেল ও কনস্ট্যান্টাইনের ১৩ উইকেট লাভই এর প্রধান কারণ। এ টেস্টে বোলারদের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল।[৪০] বব ওয়াট ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে উদ্বোধনে নামেন। কিন্তু, মার্টিনডেলের দ্রুতগতিসম্পন্ন অফ স্ট্যাম্পের বাইরে দিকে চলে যাওয়া বলে শূন্য রানে মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন। ব্যাটসম্যান ভেবেছিলেন যে, বলটি উপরে উঠবে কিন্তু এটি স্বাভাবিক বাউন্স খায় ও তার চোয়ালে আঘাত হানে।[৪১] তিনি গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন ও রিটায়ার হার্ট হন। এরফলে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি।[৪০][৪২] এ ঘটনাটি দীর্ঘদিন জ্যামাইকায় স্মরণীয় হয়ে থাকে ও মার্টিনডেলের খেলোয়াড়ী জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনারূপে বিবেচিত হয়।[৪৩]

সামগ্রিকভাবে এ সিরিজে মার্টিনডেল ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের মধ্যে বোলিং গড়ে শীর্ষস্থানে আরোহণ করেন। ১২.৫৭ গড়ে ১৯ উইকেট পান তিনি। কনস্ট্যান্টাইন তিন খেলায় ১৩.১৩ গড়ে ১৫ উইকেট ও হিল্টন ১৯.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট লাভ করেন।[৪৪] মাইকেল ম্যানলি তার হিস্ট্রি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট গ্রন্থে মন্তব্য করেন যে, এ সিরিজে মার্টিনডেল উত্তরোত্তর তার গতি ও বোলিং অভিজ্ঞতার দিকে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।[৪৫] মার্টিনডেল, কনস্ট্যান্টাইন ও হিল্টনের সম্মিলিতভাবে ৬৪ উইকেট পতনের মধ্যে ৪৭টি দখল করেছিলেন। ম্যানলির অভিমত, এ ধরনের ক্রীড়াশৈলী ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলারদের পথিকৃৎ হয়ে আছে।[৪৫] এ ত্রয়ী বোলারদের কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল টেস্ট সিরিজ জয় করতে পেরেছে বলে উইজডেন মন্তব্য করে।[৩৭] ম্যানলি পরবর্তীতে আরও মন্তব্য করেন যে, কিছু ভালোমানের ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ম্যানি মার্টিনডেল সফলতা পেলেও কার্যতঃ তিনি ইংল্যান্ড দলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যান।[৪৬]

Remove ads

ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণ

সারাংশ
প্রসঙ্গ

জানুয়ারি, ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত ম্যানি মার্টিনডেল বার্বাডোসের পক্ষে খেলেন। এটিই ক্যারিবীয় অঞ্চলে তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ ছিল।[৪৭] মার্টিনডেলের দিক থেকে ঐ খেলাটি মূলতঃ তার ব্যাটিংয়ের কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ৪০৯ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে বার্বাডোস দলের সংগ্রহ এক পর্যায়ে ছিল ১০৮/৭। নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় সঙ্গী ফাস্ট বোলার ফফি উইলিয়ামসের সঙ্গে জুটি গড়েন ম্যানি মার্টিনডেল। এ জুটি অষ্টম উইকেটে ২৫৫ রান তুলে যা ৭৫ বছরের অধিক সময় ধরে ঐ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সর্বোচ্চ রানের স্বীকৃতি পাচ্ছে। মার্টিনডেল করেন ১৩৪ রান। অথচ তার খেলোয়াড়ী জীবনে কোন পঞ্চাশোর্ধ্ব রান ছিল না। ফফি উইলিয়ামস করেন অপরাজিত ১৩১* রান। খেলায় ত্রিনিদাদ দল ৩৬ রানের জয় তুলে নেয়।[৪৮][৪৯]

এরপর থেকে ম্যানি মার্টিনডেলের খেলোয়াড়ী জীবন ইংল্যান্ডে সম্পন্ন হয়। সতীর্থ কনস্ট্যান্টাইনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পেশাদারী পর্যায়ে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলার জন্য তিন মৌসুমের চুক্তিতে ১৯৩৬ সালে বার্নলি ক্রিকেট ক্লাবে যোগদান করেন তিনি।[৫০] মূলতঃ বোলিংয়ের জন্য তিনি নিযুক্ত হন। তাসত্ত্বেও ব্যাট হাতে ভালো করেন। কখনোবা ব্যাটিং উদ্বোধনে মাঠে নামতেন। বার্নলির পক্ষে শুরুর দিকের খেলায় চার্চের বিপক্ষে এক ইনিংসে নয় উইকেট পান। এরপর দশম ব্যাটসম্যানকে ভিন্ন বোলারের ক্যাচ তালুবন্দী করেন ম্যানি মার্টিনডেল।[৫১]

Remove ads

পুনরায় ইংল্যান্ড গমন, ১৯৩৯

লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী কনস্ট্যান্টাইনের ন্যায় তিনিও ১৯৩৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে খেলার জন্য বার্নলি দলের পক্ষে চুক্তি স্থগিত রাখেন।[] ঐ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড গমন করে ও ম্যানি মার্টিনডেল কনস্ট্যান্টাইন ও হিল্টনের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভীতিকর পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। তবে, ১৯৩৩ সালের পূর্বেকার সফরের সফলতা লাভের ব্যতিক্রম ছিল এ সফরটি। তার বোলিং কার্যকারীতা প্রকাশ করতে পারেনি।

উইজডেনের মতে, তিনি পেস ও নিখুঁততা হারিয়ে ফেলেছেন।[৫২] ব্রিজিত লরেন্স মন্তব্য করেন, তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ সত্ত্বেও তিনি নিজের সেরা খেলা উপহার দিতে পারেননি।[৩৫] হিল্টনও তার খেলার খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন। কেবলমাত্র কনস্ট্যান্টাইন খেলার ছন্দে ছিলেন। ছয় বছর পূর্বে মার্টিনডেলের ন্যায় তিনি ঐ মৌসুমে ১০৩ উইকেট পান।[৫৩] মার্টিনডেলের ব্যক্তিগত বোলিং পরিসংখ্যানও তথৈবাচৈ ছিল। ঐ মৌসুমে ৩৪.৫০ গড়ে কেবলমাত্র ৪৬ উইকেট পান। এছাড়াও, তিন টেস্টের সিরিজে মাত্র চার উইকেট পান তিনি। একমাত্র সফলতা ছিল লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলাটিতে। কাউন্টি দলটির একমাত্র ইনিংসে তিনি ৫/৫৭ পেয়েছিলেন।[৫৪]

যুদ্ধের ঘনঘটার কারণে সফরের শেষদিকের খেলাগুলো বাতিল হয়ে যায়। ওভালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে মার্টিনডেল তার সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন।[৪৭]

শেষের বছরগুলোয়

১৯৩৯ সালে ম্যানি মার্টিনডেলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যায়। এরপর থেকে অনেকগুলো বছর শীর্ষস্তরের ক্রিকেটে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন তিনি ল্যাঙ্কাশায়ারে বসবাস করেন। এসময় তিনি ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মাঠগুলোয় বিভিন্ন দলের সাথে খেলায় অংশ নিতেন।[৫৫] ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত লোয়ারহাউজের পক্ষে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণ করেছেন। তার দুই সন্তান আলফ্রেড ও কলিন লোয়ারহাউজের প্রতিনিধিত্ব করেন। ফলে, কমপক্ষে একটি লীগের খেলায় তিন মার্টিনডেল একই দলে খেলেছেন।[৫৬]

১৯৫২ ও ১৯৫৩ সালে নর্থ স্টাফস ও ডিস্ট্রিক্ট লীগে নর্টনের পক্ষে খেলেন। তন্মধ্যে, ১৯৫৩ সালে ৮০ উইকেট লাভ করে দলকে শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। ১৯৫৫ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে বাকাপ দলের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে খেলেন তিনি।[৫৭] ৫৪ বছর বয়সেও মার্টিনডেল তার খেলার ধারা অব্যাহত রাখেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে রিবলসডেল লীগে গ্রেট হারউড দলে খেলেন তিনি।[৫৮]

Remove ads

স্বদেশে প্রত্যাবর্তন

২৮ বছর ইংল্যান্ডের লীগ ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর ডিসেম্বর, ১৯৬৪ সালে বার্বাডোসে ফিরে যান।[৫৯] ১৯৭৩ সালে তার মৃত্যু উপলক্ষ্যে উইজডেনের স্মরণীকায় উল্লেখ করা হয় যে, লীগ ক্রিকেটে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন এবং মাঠ ও মাঠের বাইরে সম্মানের পাত্র ছিলেন।[৬০]

ক্যারিবীয় অঞ্চলে ফেরার পর ম্যানি মার্টিনডেল বারমুদা ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেন। এরপর ১৯৭২ সালে মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত বার্বাডোস সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন তিনি।[৪৩]

Remove ads

ব্যক্তিগত জীবন

লীগ ক্রিকেটে অংশগ্রহণকালীন ম্যানি মার্টিনডেল ও তার পরিবার ল্যাঙ্কাশায়ারের বার্নলি এলাকায় বসবাস করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত মার্টিনডেলের তিন কন্যা ও দুই সন্তান ছিল। একজন বাদে পরিবারের প্রত্যেকেই ইংল্যান্ডে শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত।[৫৮] ১৯৬৪ সালে সস্ত্রীক বার্বাডোসে ফিরে আসেন।[৫৯]

মূল্যায়ন

সারাংশ
প্রসঙ্গ

মাইকেন ম্যানলির মতে, অন্যান্য ফাস্ট বোলারদের ন্যায় ম্যানি মার্টিনডেলও ভীতিপ্রদর্শনে অংশ নিতেন।[৪১] ফাস্ট বোলারদের উপযোগী উচ্চতা না থাকা সত্ত্বেও ম্যানি মার্টিনডেল তার শক্তিশালী কাঁধ ও উরুকে ব্যবহার করে পেস বোলিং করতেন। এগুলো তাকে দীর্ঘ সময় বোলিংয়ে সহায়তা করতো। তিনি দীর্ঘ অথচ মসৃণ দৌড়ে অগ্রসর হতেন ও বল ছোঁড়ার পূর্ব-মুহুর্তে একত্রিতকরণের মাধ্যমে সফলতা পেতেনে। এরফলে কনস্ট্যান্টাইনের বোলিংয়ের তুলনায় বিপরীত চিত্র প্রদর্শন করে।[৪১] বোলিং করার পর বল খুবই দ্রুততার সাথে পিচে বাউন্স খেতো।[]

উইজডেনে মার্টিনডেল সম্পর্কে মন্তব্য করা হয় যে, ৫ ফুট সাড়ে আট ইঞ্চি উচ্চতা নিয়ে যেভাবে পেস আক্রমণ পরিচালনা করেছেন তা সত্যিকার অর্থেই বেশ স্মরণযোগ্য।[৬০] রে লিন্ডওয়াল, হ্যারল্ড লারউডম্যালকম মার্শালের সাথে ম্যানি মার্টিনডেলকে তুলনা করা হয়। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে একচ্ছত্র প্রভাববিস্তারকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান দলে থাকলে ম্যানি মার্টিনডেলের যোগ্যতা আরও তুলে ধরা যেতো।[৪১] ব্রিজিত লরেন্স মন্তব্য করেন, মার্টিনডেল দ্রুততার সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম সেরা টেস্ট ফাস্ট বোলারের মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির শুরুর দিকের পেস আক্রমণ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ও জর্জ হ্যাডলি’র ন্যায় ব্যাটসম্যানেরা দলের ভিত গড়ে তুলেছেন।[৩৫]

মার্টিনডেলের রেকর্ড আরও ভালো হতে পারতো। তবে, ঐ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের দূর্বলমানের ফিল্ডিংয়ের কারণে স্লিপ অঞ্চলে অবস্থানকারী ফিল্ডারেরা ফাস্ট বোলারদের কাছ থেকে আসা নিয়মিতভাবে ক্যাচ তালুবন্দী করতে সক্ষম ছিলেন না।[৬১] এছাড়াও লরেন্স মন্তব্য করেন যে, মার্টিনডেল মাত্র দশটি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সীমিত টেস্টে অংশগ্রহণের কারণে হয়েছে। যদি তার বোলিং পরিসংখ্যান পরবর্তী সময়ের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে তিনি আজকের যুগের সর্বাপেক্ষা সেরা ফাস্ট বোলারদের অন্যতম হতেন।[৩৫]

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

গ্রন্থপঞ্জি

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads