শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
রিয়ানা
বার্বাডীয় গায়িকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
রবেইন রিয়ানা ফেন্টি (/riˈænə/;[১] জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮) একজন বার্বাডিয়ান গায়ক, গীতিকার, এবং অভিনেত্রী। জন্ম সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোসে এবং বেড়ে ওঠেছেন ব্রিজটাউন-এ, তিনি প্রথম সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন ২০০৩ সালে সঙ্গীত প্রযোজক ইভান রজার্স এর প্রযোজনায় ডেমো টেপে অংশগ্রহণ করে। পরিনামে তিনি ডেফ জ্যাম রের্কডিংস এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন, তখনকার এটির প্রেসিডেন্ট হিপ হপ প্রযোজক ও র্যাপার জে জি এর কাছে অডিশন দেওয়ার পর। ২০০৫ সালে, রিয়ানা তার প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম মিউজিক অব দ্য সান এবং এর থেকে অনুপ্রেরিত আ গার্ল লাইক মি (২০০৬) প্রকাশ করে খ্যাতি অর্জন করেন। "আ গার্ল লাইক মি" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিলবোর্ড ২০০ এর তালিকার সেরা দশে অবস্থান করে এবং যথাক্রমে প্রযোজনা করেন একক সঙ্গীত "পন ডি রিপ্লে" এবং "সস"।
তিনি তার সঙ্গীত পুনঃপ্রতিষ্ঠার সময় তার তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম গুড গার্ল গন ব্যাড (২০০৭) জন্য সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং নিজে একটি যৌন প্রতীক হিসাবে পাবলিক ইমেজ গ্রহণ করেন। এই অ্যালবামের সফল একক সঙ্গীত "আমব্রেলা" তার কর্মজীবনে একটি আন্তর্জাতিক সাফল্য হয়ে ওঠে, এর জন্য ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ র্যাপ/সাং কোলাবরেশনের জন্য জে জির সাথে যৌথভাবে তিনি তার প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার জিতেন। চারটি ধারাবাহিক প্লাটিনাম স্টুডিও প্রকাশের পর, গ্র্যামি পুরস্কার বিজয়ী ইউনিপোজ্যাটিক (২০১২) সহ, তিনি একজন পপ আইকন হিসাবে স্বীকৃত ছিলেন। তার অষ্টম স্টুডিও অ্যালবাম 'এন্টি' '(২০১৬) এবং এর লিড একক সঙ্গীত "ওয়ার্ক" 'বিলবোর্ড' ২০০ এবং হট ১০০ এর এক নম্বর স্থানে অবস্থান করে। তার অনেক গানই স্থান পায় বিশ্বের সর্বকালের সেরা-বিক্রিত একক সঙ্গীত হিসেবে, এদের মধ্যে "আম্ব্রেলা", "টেইক এ বো", "ডিস্টারর্বিয়া", "অনলি গার্ল (ইন দ্য ওয়ার্ল্ড)", "এসএন্ডএম", "উই ফাউন্ড লাভ", "ডায়মন্ডস", এবং "স্টে" যেগুলোতে তিনি ছিলেন প্রধান শিল্পী , এবং তার সহযোগীতামূলক সঙ্গীতগুলো হচ্ছে "লিভ ইউর লাইফ" (সাথে টি.আই), "লাভ দ্য ওয়ে ইউ লাই" এবং "দ্য মনস্টার" (উভয় গানে এমিনেমের সঙ্গে)।
বিশ্বব্যাপী ২৩০ মিলিয়ন রেকর্ডের চেয়ে বেশি বিক্রির মাধ্যমে,[২] রিয়ানা সর্বকালের সর্বোচ্চ বিক্রিত গানের সঙ্গীতশিল্পীর মধ্যে একজন। রিয়ানা হচ্ছে সবচেয়ে কম বয়সী এবং দ্রুততম সোলো শিল্পী যার বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় প্রথম স্থানে অবস্থান করা ১৪টি একক-সঙ্গীত রয়েছে, এবং ২০০০ দশকের ডিজিটাল সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে নামাঙ্কিত হয়েছেন এবং বিলবোর্ড কর্তৃক ২০১০ দশকের টপ হট ১০০ শিল্পীর মধ্যে স্থান পেয়েছেন।[৩][৪][৫] তিনি অসংখ্যা পুরস্কার ও মনোনয়ন অর্জন করেছেন। রিয়ানা আটটি গ্র্যামি পুরস্কার, বারোটি আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস, বারোটি বিলবোর্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস এবং ২০১৩ সালে আমেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এর উদ্বোধনী আইকন পুরস্কার জিতেছেন। প্রায়শই তার শৈলী পরিবর্তনেরর জন্য তিনি ঘনিষ্ঠভাবে স্বীকৃত, তিনি ২০১৪ সালে কাউন্সিল অফ ফ্যাশন ডিজাইনারস অফ আমেরিকা থেকে তিনি ফ্যাশন আইকন লাইফটাইম পুরস্কার লাভ করেন। ফোর্বস রিয়ানাকে ২০১২ সালের চতুর্থ সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সেলেব্রেটি হিসাবে নির্বাচিত করে, এবং পরের বছর টাইম (ম্যাগাজিন) তাকে পৃথিবীর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় তাকে স্থান দিয়েছে।[৬]
Remove ads
প্রারম্ভের জীবন
সারাংশ
প্রসঙ্গ

রবেইন রিয়ানা ফেন্টি ১৯৮৮ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি সেইন্ট মাইকেল, বার্বাডোস-এ জন্মগ্রহণ করেন।[৭] তার মা মনিকা (ব্রেথওয়েট) একজন আফ্রো-গায়ানিজ বংশোদ্ভূত অবসরপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষক এবং তার পিতা রোনাল্ড ফেন্টি একজন আফ্রো-বার্বাডিয়ান ও আইরিশ বংশোদ্ভূত গুদাম কর্মকর্তা।[৮][৯] রিয়ানার দুই ভাই রয়েছে, রোরেই ও রাজাদ ফেন্টি, এবং তার পিতার পক্ষের দুই সৎবোন ও এক সৎভাই রয়েছে।[১০][১১] তিনি ব্রিজটাউনের তিন শয়ন কক্ষ বিশিষ্ট একটি বাঙলোয় বেড়ে ওঠেছেন এবং ফুটপাতেরর দোকানে তার বাবার সঙ্গে কাপড় বিক্রি করেছেন। শৈশবকালে তার বাবার কোকেন এবং এ্যালকোহলের প্রতি আসক্তির জন্য রিহানা গভীরভাবে আক্রান্ত ছিলো। একটি শিশু হিসেবে তাকে অনেকবার সিটি স্কেন এর মধ্যে যেতে হয়েছিল তার অতি যন্ত্রনাপূর্ণ মাথাব্যথার জন্য: "এমনকি ডাক্তাররা ভেবেছিল এটি একটি টিউমার, কারণ এটি এমন লক্ষনের ছিল"[১০] যখন তার চৌদ্দ বৎসর, তার পিতা-মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে থাকে।[৯][১২] রিয়ানা রেগে (ওয়েস্ট ইণ্ডিজের জনপ্রিয় দ্রুতলয় সংগীত) শুনে বড় হন এবং সাত বছর কাছাকাছি বয়সেই তিনি গান গাওয়া শুরু করেন।[১০][১৩] তিনি চার্লেস এফ. ব্রুমি মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং পরে কম্বারমেরি হাই স্কুলে। কম্বারমেরিতে তিনি এখনকার ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ক্রিস জর্দান ও এখনকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার কার্লোস ব্রাদওয়েট এর সঙ্গে পড়াশুনা করেন।[১০][১৪] রিয়ানা একটি সাব-মিলিটারি প্রোগামের আর্মি ক্যাডেট ছিলেন; গায়ক-গীতিকার শনটেলে ছিলেন তার ড্রিল-সার্জেন্ট।[১৫] যদিও তিনি চেয়েছিলেন প্রাথমিকভাবে হাই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েট হতে, তিনি পরিবর্তে একটি সঙ্গীত কর্মজীবন বেছে নিতে চেয়েছিলেন।[১৬]
Remove ads
কর্মজীবন
রিয়ানা সঙ্গীত ছাড়াও অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ব্যবসায়ী হিসেবেও তার অনেক খ্যাতি আছে। এছাড়া তিনি নিজ জন্মস্থান বার্বাডোজের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বার্বাডোজে শিক্ষা, বিনিয়োগ ইত্যাদিতে উদবুদ্ধ করবেন তিনি।[১৭] ২০২১ সালে ফোর্বস জানিয়েছে যে, রিয়ানা বিশ্বের ধনী গায়িকা; যেখানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করা হয়েছে।[১৮]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads