শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
ললিতপুর, নেপাল
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
ললিতপুর মহানগর (সংস্কৃত: पाटन পাটন, নেপাল : 𑐫𑐮 ইয়ালা) হলো নেপালের একটি মহানগর এবং ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ৪৯,০৪৪টি বাসগৃহে ২৯৯,৮৪৩ জন অধিবাসী নিয়ে দেশের চতুর্থ জনবহুল শহর।[৩][৪] এটি কাঠমান্ডু উপত্যকার দক্ষিণ-মধ্য অংশে ১,৪০০ মিটার (৪,৬০০ ফুট) উচ্চতায় মধ্য নেপালের উচ্চ মালভূমির একটি বড় উপত্যকায় অবস্থিত।
Remove ads
ব্যুৎপত্তি
ললিতপুরের সবচেয়ে ব্যবহৃত এবং লিখিত নতুন নামটি হলো ইয়েলা। কথিত আছে, রাজা ইয়ালম্বার বা ইয়েলুং হাং তার নিজের নামানুসারে এই শহরটির নামকরণ করেন এবং এরপর থেকে এই প্রাচীন শহরটি ইয়ালা নামে পরিচিত হতে থাকে। এই শহর সম্পর্কে অসংখ্য কিংবদন্তি প্রচলিত আছে।
ইতিহাস
খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে কীরাট সাম্রাজ্য কর্তৃক ললিতপুরের পত্তন হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয় এবং খ্রিস্টিয় ৬ষ্ঠ শতকে লিচ্ছবিদের দ্বারা এর সম্প্রসারণ ঘটে। এরপর মধ্যযুগে মল্লদের শাসনামলে শহরটির আরও সম্প্রসারণ ঘটেছিলো।
১৭৬৮ সালে গোর্খা রাজা পৃথ্বি নারায়ণ শাহ্ কোনো যুদ্ধ ব্যতিরেকই ললিতপুরকে নিজ রাজ্যের সাথে যুক্ত করে নেন।
ভূগোল
ললিতপুর কাঠমান্ডু উপত্যকার উত্থিত অংশের বাগমাতি নদীর দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত। বাগমতী নদীটি শহরটিকে উত্তর ও পশ্চিম দিকে কাঠমান্ডু হতে পৃথক করেছে। কর্মনাশা খোলা এর পূর্ব প্রান্তের সীমানা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এটি নাগদাহ নামে পরিচিত একটি শুকিয়ে যাওয়া প্রাচীন হ্রদের মধ্যস্থলের তুলনামূলক পাতলা স্তরের কাঁদা ও পাথুরে ভূমিতে গড়ে উঠেছে। শহরটি ১৫.৪৩ বর্গকিলোমিটার ভূমিতে বিস্তৃত এবং ২৯টি ওয়ার্ডে এর পৌর এলাকাটি বিখণ্ডিত।[৫]
জলবায়ু
তুলনামূলক উচ্চ তাপমাত্রা এবং সারাবছর ধরে সমানুপাতে বন্টিত বারিপাত এখানকার জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য। কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে এখানকার জলবায়ু আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ু (সিএফএ) উপ-বিভাগের অন্তর্গত।
জনমিতি
ভাষা
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে ৪৪.৯% জনগোষ্ঠীর ব্যবহারের ভিত্তিতে নেপালি ভাষাকে ললিতপুরের সবচেয়ে সাধারণ মাতৃভাষা হিসেবে উল্লেখ করা যায়। নেপাল ভাষা ৩৫.২% লোকের ব্যবহৃত ভাষা হলেও ৬.২% লোক তামাং ভাষা, ৩.৪% লোক মৈথিলী ভাষা, ১.৭% লোক মাগার ভাষা, ১.৪% লোক ভোজপুরি ভাষা এবং ১.৩% লোক রাই ভাষাকেও তাদের মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। অনেকেই ইংরেজি ভাষায় কথা বলেন, তবে তা তাদের মাতৃভাষা নয়।[৬][৭]
শিক্ষার হারের ভিত্তিতে এখানকার অধিবাসীদের ৮৬.০% জন পড়তে ও লিখতে পারে,১.৬% শুধুমাত্র পড়তে পারে এনং ১২.৪% পড়া বা লিখার - কোনোটিই পারে না।[৮]
জাতিগোষ্ঠী
স্থানীয় নেওয়াররা সবচেয়ে বড় জাতিগোষ্ঠী, যাদের বিভিন্ন উপদল মিলিতভাবে ৩৯.৬% জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রতিনিধিত্ব করে ১৫.৯% জনসংখ্যার ছেত্রী জাতিগোষ্ঠী যাদের ঠিক পরেই রয়েছে ১১.৯% জনসংখ্যার বাহুন জাতি, যারা পাহাড়ি ব্রাহ্মণ বা খাস ব্রাহ্মণ হিসেবে পরিচিত।
ধর্মীয় গোষ্ঠী
ধর্মের ভিত্তিতে এখানকার অধিবাসীদের ৭২.৩% হিন্দু, ১৯.২% বৌদ্ধ, ৫.৭% খ্রিস্টান, ১.৭% কীরাটি, ০.৮% মুসলমান, ০.১% প্রকৃতি এবং ০.২% অন্যান্য মতের অনুসারী।[৯]
Remove ads
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads