শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
লাহিরু কুমারা
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
চন্দ্রদাসা ব্রাহ্মণা রালালাগে লাহিরু সুদেশ কুমারা (সিংহলি: ළහිරු කුමාර; জন্ম: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭) ক্যান্ডি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন।[১]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে মাতারা ডিস্ট্রিক্ট, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করেন লাহিরু কুমারা।
Remove ads
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
ক্যান্ডির ট্রিনিটি কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ২০১৬ সাল থেকে অদ্যাবধি লাহিরু কুমারা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। তেজোদিপ্ত ডানহাতি ফাস্ট বোলার লাহিরু কুমারা ক্যান্ডি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯ বছর বয়সে জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।[২] এরপূর্বে, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন ও ঘণ্টাপ্রতি ১৪০ কিলোমিটারের অধিক গতিবেগে বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।[৩]
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তারিখে ২০১৭-১৮ মৌসুমের এসএলসি টুয়েন্টি২০ টুর্নামেন্টে নন্দেস্ক্রিপ্টসের পক্ষে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় লাহিরু কুমারা’র।[৪] মার্চ, ২০১৮ সালে সুপার ফোর প্রভিন্সিয়াল টুর্নামেন্টে ক্যান্ডি’র পক্ষে সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।[৫][৬] পরের মাসে ২০১৮ সালের সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে ক্যান্ডির সদস্য হিসেবে ঘোষিত হন।[৭] আগস্ট, ২০১৮ সালে এসএলসি টি২০ লীগে গালের সদস্য হন।[৮]
Remove ads
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ
টেস্ট অভিষেকের পূর্বে ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ছিলেন তিনি।[৯] অসিতা ফার্নান্দোকে সাথে নিয়ে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান ও দলকে ৬ উইকেটে বিজয়ী করান। ফেব্রুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেন। তবে, ইংল্যান্ড সফরে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলাকালে নিজেকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যান। যুবদের টেস্টে ১৮.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। নর্দাম্পটনে বেশ কার্যকরী ভাব ফুটিয়ে তোলেন। প্রথম ইনিংসে ৭/৮২ ও পরবর্তীকালে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৪/৫২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে স্বাগতিকদেরকে ছয় বছরের মধ্যে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করান।
৪ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা এ দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[১০] শ্রীলঙ্কা এ দলের পক্ষে মাত্র আটদিন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের পরপরই অক্টোবর, ২০১৬ সালে টেস্ট দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন। তার প্রতিশ্রুতিশীলতার উপর নির্ভর করেই মূলতঃ দলে রাখা হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে ধারালো বাউন্সারে সক্ষম ছিলেন। উভয় দিকেই বলকে সুইং ও সিম করাতে পারতেন।
Remove ads
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
চলমান খেলোয়াড়ী জীবনে একুশটি টেস্ট, তেরোটি ওডিআই ও ছয়টিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন লাহিরু কুমারা। ২৯ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিয়েছেন তিনি।
দুষ্মন্ত চামিরা, নুয়ান প্রদীপ ও ধম্মিকা প্রসাদের আঘাতের কারণে লাহিরু কুমারা’র টেস্ট দলে অংশগ্রহণের বাঁধা দূরীভূত হয়। অক্টোবর, ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে গমনার্থে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১১] ২৯ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[১২] পিটার মুরকে আউট করার মাধ্যমে প্রথম টেস্ট উইকেট লাভ করেন তিনি। তবে, জিম্বাবুয়েতে সাধারণমানের খেলা উপহার দিলেও নিউল্যান্ডসে পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। জানুয়ারি, ২০১৭ সালে প্রথম ইনিংসে তিনি ৬/১২২ লাভ করেন।
২০১৬-১৭ মৌসুমে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় একদিনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে উপুল থারাঙ্গা’র অধিনায়কত্বে শ্রীলঙ্কার পক্ষে তাকে মনোনীত করা হয়। ঐ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অংশগ্রহণ ছিল।[১৩]
দক্ষিণ আফ্রিকা গমন
২০১৬-১৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ টেস্টে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট দখল করেন তিনি।[১৪] ঐ ইনিংসে তিনি ৬/১২২ লাভ করেন। এটিই যে-কোন শ্রীলঙ্কান পেসারের দক্ষিণ আফ্রিকায় সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ও দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় সেরার মর্যাদা লাভ করে।[১৫][১৬]
এ সফরে শ্রীলঙ্কার ওডিআই দলেও তাকে যুক্ত করা হয়।[১৭] ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে জোহেন্সবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। খেলায় তিনি ৫ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও বল হাতে নিয়ে কুইন্টন ডি কককে ৮ রানে বিদেয় করে প্রথম উইকেটের সন্ধান পান।[১৮]
মে, ২০১৮ সালে জাতীয় পর্যায়ে ৩৩জন ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ করার জন্যে ২০১৮-১৯ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ তাকেও অন্তর্ভুক্ত করে।[১৯][২০]
আগস্ট, ২০১৮ সালে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে একমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার জন্যে তাকে শ্রীলঙ্কা দলে রাখা হয়।[২১] নভেম্বর, ২০১৮ সালে সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে শৃঙ্খলাজনিত কারণে টেস্ট দল থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়।[২২]
Remove ads
নিউজিল্যান্ড গমন
জানুয়ারি, ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০আই সিরিজের একমাত্র খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান।[২৩] ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ তারিখে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার।[২৪] একই মাসের শেষদিকে সিরিজের প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অংশ নেন। তবে, দ্বিতীয় দিনে মাংসপেশীতে টান পড়ে তার। ফলশ্রুতিতে, ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্ট থেকে তিনি বাদ পড়েন।[২৫]
Remove ads
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads