শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
লা দোলচে ভিতা
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
লা দোলচে ভিতা (মিষ্টি জীবন বা সুন্দর জীবন) ফেদেরিকো ফেলিনি পরিচালিত ও ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ইতালীয় হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। মারচেল্লো রুবিনি (মারচেল্লো মাস্ত্রোইয়ান্নি) নামের একজন সাংবাদিকের (যে বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লিখে থাকে) কথাই এ চলচ্চিত্রে ফুটে ওঠেছে। সাত দিন ও সাত রাত রোমে প্রেম ও আনন্দ খোঁজার নিষ্ফল চেষ্টা করে মারচেল্লো। সবচেয়ে প্রচলিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী ফেলিনি ও অন্যান্য লেখক রচিত এ ছবির চিত্রনাট্যকে ভূমিকা, সাতটি পর্ব বা এপিসোড, বিরতি (ইন্টারমেজ্জো) ও উপসংহারে ভাগ করা যেতে পারে।
লা দোলচে ভিতা ১৯৬০ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাল্ম দর বা স্বর্ণপাম পুরস্কার লাভ করে। এছাড়াও এটি সেরা পোশাকের জন্য অস্কার পুরস্কার লাভ করে। এটি বর্তমানে প্রায়ই বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিবেচিত হয়। [৪]
Remove ads
কাহিনী
সারাংশ
প্রসঙ্গ
ভূমিকা
প্রথম দিন
একটি হেলিকপ্টার যিশুখ্রিস্টের মূর্তি রোমের বাইরে একটি জলাধারের উপর পরিবহন করে নিয়ে যায়। সাংবাদিক মারচেল্লো রুবিনির হেলিকপ্টার একে অনুসরণ করে। এসময় সাংবাদিক রুবিনির হেলিকপ্টার বিকিনি-পরিহিত জনাকয়েক নারীর সম্মুখে থেমে যায়। তারা একটি বহুতল ভবনের ছাদের উপর ওঠে সূর্যস্নান করছিল। মারচেল্লো হেলিকপ্টারে উপবিষ্ট অবস্থায় নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে ফোন নাম্বার দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তার এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তারপর হেলিকপ্টারটি সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের দিকে রওনা দেয়।
পর্ব ১
প্রথম রাত
একটি নৈশক্লাবে অপ্রত্যাশিতভাবে মারচেল্লো ও মাদদালেনার দেখার হয়। মাদদালেনা সুন্দরী ও বিপুল ধনসম্পদের উত্তরাধিকারিণী। রোমের প্রতি সে বিরক্ত। অপরদিকে মারচেল্লোর মতে,রোম একটি জঙ্গল, যেখানে সে নিরাপদে লুকিয়ে থাকতে পারবে। একজন গণিকাকে মাদদালেনা ক্যাডিলাকে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। তারপর ঐ গণিকার শয়নকক্ষেই মারচেল্লো ও মাদদালেনা মিলিত হয়।
১ম ভোরের কাহিনী
মারচেল্লো ভোরে তার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে যায়। অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ফলে তার বাগদত্তা এম্মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারচেল্লো এম্মার প্রতি তার অনিঃশেষ ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করে। এরই মাঝে সে মাদদালেনার সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে।
২য় পর্ব
২য় দিনের কাহিনী
বিখ্যাত সুইডিশ আমেরিকান অভিনেত্রী সিলভিয়া চিয়ামপিনো বিমানবন্দরে পৌঁছালে তার সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনার উদ্দেশ্যে মারচেল্লো সেখানে পৌঁছায়।
সিলভিয়া আত্মবিশ্বাসের সাথে পাপারাজ্জিদের প্রশ্নবাণের মোকাবিলা করে। মারচেল্লো খোঁজ নেয় এমা ঠিকমত ওষুধ খেয়েছে কিনা। এমাকে সে আশ্বস্ত করে, সে সিলভিয়ার সাথে একা নয়। এসময় ঘরে মাতাল অবস্থায় সিলভিয়ার বাগদত্তা রবার্ট প্রবেশ করে। মারচেল্লো সিলভিয়ার প্রযোজককে সিলভিয়াকে সেন্ট পিটারের গম্বুজে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেয়।
সেন্ট পিটার গম্বুজের সিঁড়ি বেয়ে সিলভিয়া খুব দ্রুত উঠে যায়। মারচেল্লো তাকে অনুসরণ করে। ব্যালকনিতে একা মারচেল্লো ও সিলভিয়া।
২য় রাতের কাহিনী
মারচেল্লো ও সিলভিয়া সন্ধ্যায় বাথস অব কারাকাল্লায় নাচের মৌতাতে মেতে ওঠে। এসময় রবার্ট সিলভিয়াকে অপমান করলে সিলভিয়া পার্টি ত্যাগ করে। মারচেল্লোও তাকে অনুসরণ করে। অতঃপর দুজনে ট্রেভি ঝরনায় জলকেলি করে।
২য় ভোরের কাহিনী
জলকেলি শেষে মারচেল্লো ও সিলভিয়া হোটেলে প্রত্যাবর্তন করে। ক্ষুব্ধ রবার্ট সিলভিয়াকে চড় মারে,মারচেল্লোকেও শারীরিকভাবে আক্রমণ করে।
পর্ব ৩
পরদিন মারচেল্লো তার বুদ্ধিজীবী বন্ধু স্টাইনারের সাথে সাক্ষাৎ করে। স্টাইনার তখন অর্গানে ইয়োহান জেবাস্টিয়ান বাখের সঙ্গীত বাজাচ্ছিল। স্টাইনার তার সংস্কৃত ব্যাকরণের বই মারচেল্লোকে প্রদর্শন করে। মারচেল্লোও অর্গান বাজাতে শুরু করে। একজন পুরোহিত দাঁড়িয়ে সেটি দেখে।
Remove ads
চরিত্রায়ণে
- মারচেল্লো মাস্ত্রোইয়ান্নি - মারচেল্লো রুবিনি
- আনিতা একবারি - সিলভিয়া
- আনুক এমে - মাদদালেনা
- ইভোন ফুরনো - এম্মা
- লেক্স বার্কার - রবার্ট)
- মাগালি নোয়েল - ফ্যানি)
- আল্যাঁ ক্যুনি - স্তাইনার
- নাদিয়া গ্রে - নাদিয়া
- অনিবাল নিনচি - মারচেল্লোর বাবা
- ওয়াল্তার সান্তেসো - পাপারাৎজো
- ভ্যালেরিয়া চিয়ানগোত্তিনি - পাওলা)
- রিকার্দো গারোনে - রিকার্দো
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads