শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
সরকারি বিজ্ঞান কলেজ
ঢাকায় অবস্থিত একটি সরকারি মহাবিদ্যালয় উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
দেশের ঐতিহ্যবাহী ও সনামধন্য সরকারি বিজ্ঞান কলেজ রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেট সংলগ্ন তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত। এই কলেজের নাম প্রথমে ইন্টারমেডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজ ছিল। ১০ একর ভূমির উপর এই কলেজ স্থাপিত। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ডিগ্রিতে পাঠদান করা হয়।[১][২][৩][৪]


Remove ads
ইতিহাস
বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য এটি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এটি এবং ঢাকার মধ্যে দ্বিতীয় সেরা সরকারি কলেজ এটি। সম্পূর্ণ সবুজ গাছপালায় ঘেরা এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধু বিজ্ঞান বিভাগে ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ডিগ্রিতে পাঠদান করা হয়। প্রতিষ্ঠাকালে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজ। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে এটির নাম সরকারি বিজ্ঞান কলেজে রুপান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে প্রতিভা উৎপন্নের কারখানা হিসেবে পরিচিত কলেজটি প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঈর্ষনীয় ফলাফল অর্জন করে আসছে।
Remove ads
বিভাগসমূহ
- বিজ্ঞান বিভাগ
পঠিত বিষয়সমূহ: বাংলা, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।
ভর্তি ও বেতন
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি করা হয়ে থাকে কলেজে। সরকারি বিজ্ঞান কলেজের বেতন এবং ভর্তি ফি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। ভর্তির শুরুতেই সেগুলো একেবারে নিয়ে নেওয়া হয় এবং সরকারি কলেজ হিসেবে তার পরিমাণ সাধ্যের মধ্যে আছে।
শিক্ষাদান
আটটি শাখায় ১২৫ জন করে ছাত্র এখানে পড়াশোনার সুযোগ পেয়ে থাকে। শাখাগুলোর নাম যথাক্রমে এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি, এইচ। ভর্তির ক্রমানুসারে শিক্ষার্থীদের শাখাগুলোয় বিভক্ত করা হয়। কলেজে আছে প্রতিটি বিষয়ের আলাদা আলাদা ডিপার্টমেন্ট। সেই সাথে রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, প্রাণিবিজ্ঞান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব ল্যাব রয়েছে। সব থেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই কলেজের শিক্ষকগণ অত্যন্ত আন্তরিক।পড়াশোনা সম্পর্কিত যে কোন সমস্যা হলে আপনি সবসময় তাদেরকে পাশে পাবেন। বর্তমানে কলেজের রুলস এন্ড রেগুলেশন যথেষ্ট কড়া। সম্প্রতি জারি করা নতুন নিয়মে ৭৫% আটেন্ডেন্স ছাড়া কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সরকারি বিজ্ঞান কলেজের সকলেই অনার্স, মাস্টার্স, এমফিল করা ১ম শ্রেণিতে দেশের সেরা সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ( ঢাবি, বুয়েট ) ও জেনারেল শিক্ষা ক্যাডার আর দীর্ষ দিনের অভিজ্ঞতা। বর্তমানে কলেজে প্রতি সপ্তাহে একটি কুইজ অনুষ্ঠিত হয়।[৫]
Remove ads
পোশাক
অফ হোয়াইট প্যান্ট, আকাশী কালারের শার্ট, বুক পকেটে লোগো, আইডি কার্ড, কালো জুতা ও মোজা (ফিতাযুক্ত)।
আবাসন ব্যবস্থা
কলেজের দুটি ছাত্রাবাস রয়েছে। একটি নাম কাজী নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাস, অপরটি ড. কুদরত ই খুদা ছাত্রাবাস।
একটি একাদশ এবং অপরটিতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা থাকেন। হলের ছাত্রদের ভর্তির শুরুতে এক বছরের জন্য টাকা জমা দিতে হয়। আর খাওয়া-দাওয়ার জন্য প্রতি মাসে আলাদা করে টাকা দিতে হয়। হলে আছে খুব কড়া নিয়ম কারণ এবং খুব ভালো সিকিউরিটির ব্যবস্থা যাতে ছাত্রদের কোন রকমের অসুবিধা বা বিপদ আপদে পড়তে না হয়। পড়াশোনার পরিবেশ ও যথেষ্ট ভালো। যেটা সাধারণ মেস বা হোটেলের থেকে অনেক গুণে ভালো। খাওয়া-দাওয়ার মান যথেষ্ট ভালো। হলের তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক একজন শিক্ষক নিয়োজিত থাকেন। তিনি সর্বক্ষণ আবাসিক ছাত্রদের দেখাশোনা করেন।
১. কাজী নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাস: সংখ্যা বর্তমানে ১৬০। ছাত্রাবাসটির বর্তমান ম্যানেজার মোঃ অলিউল্লাহ।
২. ড. কুদরত ই খুদা ছাত্রাবাস: আসন সংখ্যা ১৫৬। ছাত্রাবাসটির বর্তমান ম্যানেজার মোঃ জামাল মিয়া।
Remove ads
যাতায়াত
ঢাকার স্থায়ী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাস আছে।
১.স্পন্দন-১ (চলাচলের রুট: ফার্মগেট থেকে সাইনবোর্ড)
২.স্পন্দন-২ (চলাচলের রুট: ফার্মগেট থেকে মিরপুর ১০)
প্রকাশনা
প্রতিষ্ঠানটির কলেজ বার্ষিকী অনুরণন।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন ও তাদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের লক্ষ্যে চালু আছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিএনসিসি প্লাটুন। এছাড়া ছাত্রদের সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কলেজের নিজস্ব :
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিতর্ক ক্লাব
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ গণিত ক্লাব
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাব
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ক্রীড়া ক্লাব
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ তথ্য ও প্রযুক্তি ক্লাব
- সরকারি বিজ্ঞান কলেজ সাংস্কৃতিক ক্লাব
এছাড়াও রয়েছে চেতনা পরিষদ এর একটি শাখা। নির্দিষ্ট কর্মসূচির সাথে পালন করা হয়ে থাকে।
উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- আ ন ম এহসানুল হক মিলন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
- জাহিদ আহসান রাসেল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
- আনিসুল হক (রাজনীতিবিদ), প্রয়াত মেয়র, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
- নাহিদ ইসলাম, ২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও ২০২৪-এ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা।
- সাব্বির রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads