সারজিস আলম

সারজিস আলম (জন্ম: ২ জুলাই ১৯৯৮)^[১] হলেন একজন বাংলাদেশি আন্দোলনকর্মী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও নেতা। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।^[২][৩] তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক।^[৪][৫]

সারজিস আলম
২০২৪ সালে রাজশাহীতে সারজিস
মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) জাতীয় নাগরিক পার্টি
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয় ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আহ্বায়ক	নাহিদ ইসলাম
পূর্বসূরী	পদ প্রতিষ্ঠিত
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম	(1998-07-02) ২ জুলাই ১৯৯৮ (বয়স ২৭)[১] আটোয়ারি, পঞ্চগড়, রংপুর, বাংলাদেশ
জাতীয়তা	বাংলাদেশী
রাজনৈতিক দল	জাতীয় নাগরিক পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গী	রাইতা (বি. ২০২৫)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী	ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা
পেশা	রাজনীতিবিদ এবং ছাত্র নেতা

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন

সারজিস আলম ২ জুলাই ১৯৯৮ সালে পঞ্চগড় জেলার, আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।^[১] তিনি বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা থেকে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় পাস করেন।^[১] এরপর ২০১৭ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।^[১] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদে প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন।^[২][৬] তাছাড়া তিনি নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসাবে অংশ নেন।^[৭][৮]

ব্যক্তিগত জীবন

তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস আলম বড়। তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকিব।^[১]

৩১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে, তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।^{[৯][১০]}

আন্দোলনে সক্রিয়তা

সারজিস ছাত্র আন্দোলনের একজন অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন; সরকারী চাকরিতে কোটার বিরোধিতা করে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলনে,^[১১] যা পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে রূপ নেয়। তিনি এবং নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয়ভাবে পরিচিতি পান,^[১২] যখন ঢাকার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে তিনিও পুলিশের হাতে আটক হন।^{[১৩][১৪]}

এরপর, ৫ই আগস্ট, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ ত্যাগ করেন। তখন সারজিস জানিয়েছিলেন যে তাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হয়নি, এবং হাসিনার পদত্যাগের পর তাদের দল "চিরতরে ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা নির্মূল করার" লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।^[১৫]

তিনি এবং তার সংগঠন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসকে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানান।^{[১৬][১৭]}

সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিপক্ষে মত দিয়েছেন সারজিস আলম।^[১৮] তিনি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার পক্ষে মত দেন। ^[১৬]

উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে বিচার

উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে বিচার বা মব জাস্টিস কে আইনবিরোধী বলে মতামত প্রদান করেন সারজিস আলম।^[১৬]

অন্য পরিচয়

• জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক^[১৯]
• জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক^[২০]