শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

সৈয়দ ফজলুল করিম

বাংলাদেশি ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

সৈয়দ ফজলুল করিম
Remove ads

সৈয়দ ফজলুল করিম (১৯৩৫ – ২০০৬) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, পীর ও রাজনীতিবিদ। তিনি পীর সাহেব চরমোনাই নামে সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। ইসলামের আধ্যাত্মিক শিক্ষার চর্চার পাশাপাশি স্বীয় উস্তাদ মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর সাথে তিনি রাজনীতিতে আগমন করেন এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহ সভাপতি হন। হাফেজ্জীর মৃত্যুর পর তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।[][]

দ্রুত তথ্য সৈয়দ ফজলুল করিম, উপাধি ...
Remove ads

জন্ম ও বংশ

সৈয়দ মুহম্মদ ফজলুল করিম ১৯৩৫ সালে বরিশাল জেলার কোতোয়ালী থানাধীন চরমোনাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক এবং তাঁর দাদা সৈয়দ আমজদ আলী ছিলেন সৈয়দ ওমর আলীর ছেলে। তাঁর পূর্বপুরুষ (দাদার পর​দাদা) সৈয়দ আলী আকবর বাগদাদ শহর হতে বাংলায় হেজর​ৎ করেছিলেন,[] অবশেষে পশুরীকাঠি গাঁয়ে বসবাস স্থাপন করে। আলী আকবরের ছোট ভাই, যিনি সৈয়দ আলী আসগর নামে পরিচিত, কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত লাকটিয়া গ্রামের সৈয়দ খান্দানের পূর্বপুরুষ।[]

Remove ads

শিক্ষাজীবন

তিনি পিতার নিকট প্রাথমিক শিক্ষা ও নিজ গ্রাম চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া ইসলামিয়া বরিশালে মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ঢাকায় এসে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগে ভর্তি হন এবং এখান থেকে ১৯৫৭ সালে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন: মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী, আজিজুল হক, আব্দুল মজিদ (ঢাকুবী হুজুর), মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ (মুহাদ্দিস সাহেব হুজুর) প্রমুখ। ছাত্রজীবনে তিনি নাছিরে মিল্লাত নামে একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[]

Remove ads

কর্মজীবন

১৯৫৮ সালে চরমোনাই জামিয়া রশীদিয়ায় শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। ১৯৭২ সালে তিনি নিজ পিতার কাছ থেকে খেলাফত লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে পিতা সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাকের মৃত্যুর পর তিনি বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির আমীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তিনি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সহ সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ তিনি ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলন (বর্তমান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) প্রতিষ্ঠা করেন।[]

তসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয়ভাবে গড়ে ওঠা সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়কারীর পদ থেকে উবায়দুল হক পদত্যাগ করলে জোটবদ্ধ শরিক দলসমূহের নেতাদের অনুরোধে তিনি সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি হাইকোর্ট ফতোয়া বিরোধী রায় দেয়ায় সর্বস্তরের আলেমদের নেতৃত্বে গঠিত ইসলামি আইন বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে গড়ে ওঠা আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল।[]

মৃত্যু

তিনি ২০০৬ সালের ২৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads