শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
হইয়া বাছিউ
ক্লুজ-নাপোকার (রোমানিয়া) কাছে একটি বন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
হইয়া বাছিউ (রোমানীয়: Pădurea Hoia; হাঙ্গেরীয়: Hója-erdő) রোমানিয়ার ট্রান্সসিলভানিয়ার ক্লুজ নাপোকা শহরে অবস্থিত একটি বন। প্রায় ২৫০ হেক্টর জায়গার উপর বনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বনের গাছগুলোর আকৃতিও কিছুটা অদ্ভুত। এই জঙ্গল নিয়ে প্রচুর গল্প প্রচলিত আছে যার কোন ভিত্তি নেই[১]। ধারণা করা হয় এসব গল্প স্থানটিকে পর্যটন আকর্ষক হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।[২]
Remove ads
আবিষ্কার
১৯৬৮ সালে এই বনটি সর্বপ্রথম বিশ্ববাসীর কাছে তার রহস্য নিয়ে পরিচিত হয় এমিল বার্নিয়া নামক এক ব্যক্তির তোলা ছবির মাধ্যমে। এই বনে ভ্রমণের প্রাক্কালে এমিল বার্নিয়া একটি ইউএফও দেখেন বলে দাবি করেন এবং সাথে সাথেই তিনি তা ক্যামেরাবন্দী করে ফেলেন। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কিছুদিন পরেই জীববিজ্ঞানী আলেক্সান্ডু শিফট সেখানে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন এবং আশেপাশের এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেন। এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এমন গোলাকৃতির তীব্র আলোর বলয় বন থেকে উর্ধ্বাকাশের দিকে মাঝে মাঝে যেতে দেখেছেন। ২০০২ সালে সর্বশেষ ইউএফও দেখেছিলেন দু’জন ক্লাজবাসী। তারা বনের খুব কাছাকাছি প্রতিবেশী শহর মানাস্তুরে থাকেন। তারা সিগারেটের মত লম্বা, প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ একটি অতি উজ্জ্বল আলোকবস্তু বন থেকে আকাশের দিকে ছুটে যেতে দেখেছিলেন। প্রায় ২৭ সেকেন্ডের জন্য তারা বস্তুটিকে দেখতে পেয়েছিলেন।
জনশ্রুতি আছে, একবার এক মেষপালক প্রায় ২০০টি মেষশাবককে ঘাস খাওয়ানোর জন্য এই বনে প্রবেশ করেছিল। তারা আর কখনো ফিরে আসেনি, একেবারে গায়েব হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনার পরে অনেকেই এই বনে প্রবেশ করতে যথেষ্ট পরিমাণ ভয় পায়। তাদের মাঝে একধরনের ভীতি কাজ করে, একবার এই বনে কেউ গেলে হয়ত আর ফিরে আসবে না কোনোদিন।
Remove ads
বিজ্ঞানতত্ত্ব
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, এই বনে অস্বাভাবিক মাত্রায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ ও ইনফ্রারেড বিকিরণ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানে চুম্বকীয় ও তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের বেশ কিছু বিচ্যুতি রয়েছে। বনের ঠিক মাঝখানে এমন একটি জায়গা রয়েছে, যেখানে কখনো কোনো ঘাস বা অন্যান্য কোনো গাছ-গুল্ম জন্মাতে দেখা যায়নি। বিজ্ঞানীরা এখানকার মাটি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, কিন্তু পরীক্ষা করে এমন কোনো পদার্থের উপস্থিতি সেখানে পাওয়া যায়নি, যার কারণে কোনো উদ্ভিদের জন্ম এবং বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই জায়গাটিকে ভূতুড়ে ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বলে থাকেন। তাদের ধারণা, কোনো অশরীরী কিছু বা অতৃপ্ত আত্মার বাস এ জায়গায়।
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads