শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরmap
Remove ads

হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (পুরানো নাম: জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) (আইএটিএ: DAC, আইসিএও: VGHS) রাজধানী ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি ১৯৮০ সালে এর কার্যক্রম শুরু করার পরে, পূর্বের বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এর কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয়। এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, এয়ার অ্যাস্ট্রা, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সহ বাংলাদেশের সকল এয়ার লাইন্সগুলোর হোম বেস।[]

দ্রুত তথ্য হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সংক্ষিপ্ত বিবরণ ...

১,৯৮১ একর এলাকা বিস্তৃত এই বিমানবন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন ফ্লাইট উঠা-নামা করে, যেখানে চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ১৭ শতাংশ যাত্রী ব্যবহার করে। এ বিমানবন্দর দিয়ে বার্ষিক প্রায় ৪০ লক্ষ আন্তর্জাতিক ও ১০ লক্ষ অভ্যন্তরীন যাত্রী এবং ১৫০,০০০ টন ডাক ও মালামাল আসা-যাওয়া করে।[]

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাংলাদেশকে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর থেকে ইউরোপ এবং এশিয়ার ১৮টি শহরে চলাচল করে। এই বিমানবন্দরটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ঘাঁটির নাম বিএএফ ঘাঁটি।[]

Remove ads

ইতিহাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৪১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার তেজগাঁও থেকে কয়েক কিলোমিটার উত্তরে কুর্মিটোলায় উড়োজাহাজ নামার জন্য একটি রানওয়ে তৈরি করে।

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর তেজগাঁও বিমানবন্দরটি পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম বিমানবন্দর হয়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের সরকার কুর্মিটোলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে  নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করে এবং ফরাসি বিশেষজ্ঞদের মতে টার্মিনাল নির্মাণ এবং রানওয়ে নির্মাণের জন্য টেন্ডার চালু করা হয়। নির্মাণ সামগ্রী পরিবহন জন্য একটি রেল স্টেশন (বর্তমান এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশন) নির্মিত হয়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি অর্ধেক সম্পন্ন অবস্থায় ছিল। কিন্তু যুদ্ধের সময় বিমানবন্দরে গুরুতর ক্ষতি সাধিত হয়।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার পরিত্যক্ত কাজ পুনরায় চালু করে এবং এটিকে দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূল রানওয়ে এবং কেন্দ্রীয় অংশটি খোলার মাধ্যমে ১৯৮০ সালে এয়ারপোর্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিমানবন্দরটির শুভ উদ্বোধন করেন। রাজনৈতিক কারণে আরও তিন বছর লাগে এটি সম্পন্ন হতে। অবশেষে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন।

২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে, জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ হযরত শাহজালালের নাম অনুসারে বিমানবন্দরের নাম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করা হয়।

Thumb
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর রাত্রীকালীন দৃশ্য
Remove ads

নির্ধারিত গন্তব্যসূচী

Thumb
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টার্মিনাল-১)
Thumb
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (টার্মিনাল-২)
Thumb
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরভাগ

যাত্রিবাহী বিমান চলাচল

আরও তথ্য বিমান সংস্থা, গন্তব্যস্থল ...

মালবাহী বিমান চলাচল

আরও তথ্য বিমান সংস্থা, গন্তব্যস্থল ...
Remove ads

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads