শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
হরপ্পা
হরপ্পা নগর পরিকল্পনা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
হরপ্পা (উর্দু/পাঞ্জাবি: ہڑپہ, উচ্চারিত [ɦəɽəppaː]) পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাহিওয়াল জেলায় হরপ্পা সভ্যতা অবস্থিত। প্রত্নস্থলটি রাবী নদীর পুরনো খাতের ধারে অবস্থিত একটি স্থানীয় গ্রামের নামাঙ্কিত। হরপ্পার বর্তমান গ্রামটি প্রত্নস্থল থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আধুনিক হরপ্পা ব্রিটিশ আমল থেকেই একটি ট্রেন স্টেশন। কিন্তু এটি একটি ছোটো পাকিস্তানি শহরমাত্র।
প্রত্নস্থলে একটি প্রাচীন ব্রোঞ্জযুগীয় দুর্গশহরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এটি সেমেট্রি এইচ কালচার ও সিন্ধু সভ্যতার অংশ।[১] মনে করা হয়, শহরটিতে ২৩,৫০০ মানুষ বসবাস করতেন। সেযুগের বিশ্বে এটি ছিল একটি বৃহৎ শহর।
ব্রিটিশ আমলে প্রাচীন হরপ্পা শহরটি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই শহরের ধ্বংসাবশেষ থেকে ইঁট এনে তা লাহোর-মূলতান রেলপথ নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়
Remove ads
নামকরণ
জনশ্রুতি অনুযায়ী রাজা হরপালের নাম থেকে এ জায়গার নাম হরপ্পা হয়েছে।[২] কেউ কেউ বলেন হরপালের রাজ্য অগ্নিদগ্ধ বা ভূমিকম্প বা বহিরাগত শক্রর আক্রমণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ১২০০ বা ১৩০০ বৎসর পূর্বে রাজা হরপালের রাজ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। [৩]
হরপ্পা

সিন্ধু সভ্যতার (বা হরপ্পা সভ্যতা) মূল নিহিত রয়েছে ৬০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মেহেরগড় সভ্যতার মধ্যে। পাঞ্জাব ও সিন্ধু অঞ্চলের সিন্ধু নদ উপত্যকায় ২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ সিন্ধু সভ্যতার শ্রেষ্ঠ দু'টি শহর হরপ্পা ও মহেঞ্জোদাড়ো গড়ে ওঠে।[৪] এই সভ্যতায় লিখন ব্যবস্থা, নগরকেন্দ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের অস্তিত্ব ছিল। ১৯২০-এর দশকে সিন্ধের সুক্কুরের কাছে মহেঞ্জোদাড়োয় এবং লাহোরের দক্ষিণে পশ্চিম পাঞ্জাবের হরপ্পায় খননকার্য চালিয়ে সিন্ধু সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করা হয়। ভারতেও পূর্ব পাঞ্জাবের হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে গুজরাত পর্যন্ত এই সভ্যতার একাধিক কেন্দ্র আবিষ্কৃত হয়েছে। পশ্চিমে বালুচিস্তানেও এই সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। ১৮৫৭ সালে লাহোর-মুলতান রেলপথ নির্মাণের সময় হরপ্পা প্রত্নক্ষেত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, এখানকার অনেক পুরাদ্রব্যই আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।[৫]
Remove ads
উৎস
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads