শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
হাতিকভাহ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
হাতিকভাহ (হিব্রু ভাষায়: הַתִּקְוָה, আরবি: الأمل, lit. বাংলা: "আশা") একটি ইহুদি গীতিকবিতা এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। গীতিকবিতাটির রচয়িতা ছিলেন ইহুদি কবি নাফতালি হার্জ ইমবার, যিনি তৎকালীন অস্ট্রীয় শাসনাধীন বর্তমান ইউক্রেনের জোলাখিভ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৭ সালে নাফতালি ইমবার যখন ইহুদি পণ্ডিত হিসেবে আতিথীয়তা গ্রহণ করে রোমানিয়ার শহর ইয়াসিতে সফর করছিলেন, তখনই তিনি এই কবিতাটির প্রথম সংস্করণ রচনা করেন। মূলত পূর্বপুরুষদের ফেলে আসা ইসরায়েলের ভূমিতে ফিরে যাওয়ার ২০০০ বছরের সুপ্ত বাসনা এবং সার্বভৌম জাতিরূপে ইহুদিদের মাতৃভূমি পুনরুদ্ধারই হলো এই কবিতা তথা জাতীয় সঙ্গীতটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
Remove ads
ইতিহাস
সারাংশ
প্রসঙ্গ
"কবিদের শহর"[১] খ্যাত তৎকালীন অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যাধীন জোলোখিভ (বর্তমান ইউক্রেনে) শহরের কবি নাফতালি হার্জ ইমবার ১৮৭৮ সালে এই কবিতাটি রচনা করেন। কিন্তু ১৮৮২ সালে কবি নাফতালি ইমবার ইউরোপ ছেড়ে অভিবাসী হয়ে উসমানীয়-শাসিত ফিলিস্তিনে বাস করতে শুরু করেন এবং রিশোন লিৎজিয়োন, রিহোভোৎ, গেদেরা এবং ইয়েশুদ হামা'আলার মতো গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইহুদি উপনিবেশগুলোর শহরের কর্ণধারদের কাছে তিনি তার এই কবিতা প্রচার করতে থাকেন।[২]
ধারণা করা হয় যে, ইমবারের হাতিকভাহ্ কবিতার নবম-স্তাবক তিকভাতেনু (যার অর্থ "আমাদের আশা") অংশের পঙক্তিগুলো আধুনিক ইসরায়েলের মধ্যবর্তী শহর পেতাহ তিকভাহ্ প্রতিষ্ঠায় প্রেরণা জুগিয়েছিল। পরবর্তীতে ১৮৮৬ সালে কবি ইমবারের প্রথম বই বারকাই-তে (যার অর্থ "প্রভাতের জ্যোতির্ময় নক্ষত্র")" কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর রাশিয়ার হোভেভেয় জায়ন নামক ইহুদীয় সংগঠন তাদের দলের দলীয় সঙ্গীত হিসেবে হাতিকভাহ্কে নির্ধারণ করে এবং পরে ১৮৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম জায়নবাদী কংগ্রেস নেতৃবৃন্দও হাতিকভাহ্কে তাদের দলীয় সঙ্গীতরূপে স্বীকৃতি দেয়।[৩]
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বে
১৯১৯ সালে আরবে জায়নবাদ-বিরোধী আন্দোলন শুরু হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎকালীন ব্রিটিশ মেন্ডেটরি প্রশাসন জনসম্মুখে সঙ্গীতটির প্রচার নিষিদ্ধ করে।[৪]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপে ইহুদি গণহত্যার সময়, জোন্ডেরকোমান্ডোসের (কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের কয়েদী-ইহুদীদের একটি ইউনিট, যাদের বলপূর্বক গ্যাস চেম্বারে মৃত শবদেহগুলো পোড়ানোর কাজ করানো হতো) একজন প্রাক্তন কয়েদী-কর্মচারী উল্লেখ করেন যে, চেক-ইহুদীরা মৃত্যুর পূর্বে আউশউইৎজ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের গ্যাস চেম্বারে ঢুকার আগে সমস্বরে হাতিকভাহ্ গানটি গাইতো এবং ওয়াফেন এসএস শাখার নাৎসি সৈন্যরা এই গান শুনে ক্রুদ্ধ হয়ে তাদের পেটাতে শুরু করতো।[৫]
জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, "হাতিকভাহ্" অনানুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিলো। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে স্বীকৃতি পায়, যখন নেসেট (ইসরায়েলের পার্লামেন্ট) গানটির সংক্ষিপ্ত এবং গানটির সম্পাদনা ও সংস্করণ সহকারে অনুমোদন প্রদান করে।
Remove ads
চরণ

Remove ads
উদ্ধৃতি
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads