শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
হামা
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
হামা (আরবি: حماة Ḥamāh, [ħaˈmaː]; সিরীয়: ܚܡܬ) হচ্ছে সিরিয়ার একটি শহর যা দেশটির পশ্চিমে অবস্থিত এবং অরন্তস নদীর তীরে অবস্থিত। দামেস্ক থেকে ২১৩ কিমি উত্তরে এবং হোমস থেকে ৪৬ কিমি উত্তরে এর অবস্থান। শহরটি হামা প্রদেশের রাজধানী। ২০০৯ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী ৮,৫৪,০০০ মানুষ এখানে বসবাস করে। দামেস্ক, আলেপ্পো এবং হিমসের পর হামা সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর।[২][৩]
হামা নরিয়াস অব হামার জন্য বিখ্যাত। নরিয়াস অব হামা হল কিছু হুইল যা দিয়ে নদী থেকে পানি তোলা হতো। স্থানীয়রা দাবি করে এই হুইলসমূহ প্রায় ১১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছে। যদিও এই হুইলসমূহ সেচ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো, বর্তমানে এগুলো সম্পূর্ণই ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষিত আছে।
Remove ads
ইতিহাস
প্রাচীন যুগ

ধারণা করা হয় হামায় লোহার যুগ থেকে বসতি স্থাপন শুরু হয়।
আমরীতি পর্যায় এবং মিত্তান্নি
উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে জোহান লুডউইগ বার্কহার্ডই প্রথম হামা থেকে হিত্তিতে বা লুওয়ান হায়ারোগ্লিফিক বর্ণ আবিষ্কার করেন।[৪] এছাড়া হামাতে আসসিরিয়ান এবং আরামীয় বসতির প্রমাণও পাওয়া যায়। [৫]
মুসলিম শাসন
সপ্তম শতকের মুসলিম বিজয়ের সময়ে, আবু উবাইদাহ বিন আল-জাররাহ হামা দখল করে নেয়। ফলে এটি জুন্দ হিমসদের দখলে চলে যায় এবং উমাইয়া বংশ শাসনে না আসা পর্যন্ত নবম শতক পর্যন্ত তারা সিরিয়া শাসন করে।[৬]
Remove ads
জনতত্ত্ব
জসিয়া রাসেলের মতে, ১২শ শতকের সময় হামাতে প্রায় ৬৭৫০ জন মানুষ বসবাস করত।[৭] জেমস রেইলি বিভিন্ন সময়ের জরিপ একত্র করে হামার জনসংখ্যা পেয়েছেন: ১৮১২ সালে ৩০০০০ (বার্কহার্ড), ১৮৩০ সালে ২০০০০ (রবিনসন), ১৮৩৯ সালে ৩০০০০-৪০০০০ (বাওরিং), ১৮৫০ সালে ৩০০০০ (পর্টার), ১৮৬২ সালে ১০০০০-১২০০০ (গাইস), ১৮৮০ সালে ২৭৬৫৬ (সংসদীয় কাগজপত্র), ১৯০১ সালে ৬০০০০ (সংসদীয় কাগজপত্র), ১৯০২-১৯০৭ সালে ৮০০০০ (বাণিজ্যিক রিপোর্ট), ১৯০৬ সালে ৪০০০০ (আল-সাবুনি), ১৯০৯ সালে ৬০০০০ (বাণিজ্যিক রিপোর্ট)[৮]
Remove ads
দর্শনীয় স্থান
হামার সবচেয়ে বিখ্যাত স্থান হলো হামার ১৭টি নরিয়া (আরবি: نواعير حماة), এগুলো বাইজান্টাইন সময়ে তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এগুলো অরন্তস নদীর পাশেই অবস্থিত এবং সর্বোচ্চ ব্যাস প্রায় ২০ মিটারের মতো। সবচেয়ে বড় নরিয়াটি হলো আল মামুনাই (১৪৫৩) এবং আল-মুহাম্মেদিয় (চতুর্দশ শতাব্দী)। এই সকল নরিয়া বা হুইলসমূহ দিয়ে পানি তোলার পর তা নালায় প্রেরিত হতো এবং নালা থেকে শহরে সরবরাহ করা হতো এবং বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে সরবরাহ করা হতো।
এছাড়া হামাতে প্রাচীন মসজিদ এবং জাদুঘরসহ আরো কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে:
- আজেম প্রাসাদ, বর্তমানে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তিত করা হয়েছে।
- নূর আল দীন মসজিদ, ১১৬৩ সালে নূর আল দীন মসজিদটি তৈরি করেন।
- মসজিদ এবং আবু আল ফিদার মাজার, যিনি একজন আয়ুবী ইতিহাসবেত্তা ছিলেন এবং শহরটির রাজ্যপাল ছিলেন।
- হামার গ্রেট মসজিদ, ১৯৮২ সালে ধ্বংস হবার পর পুনরায় এটিকে সংস্কার করা হয়।
আরও দেখুন
- সিরিয়ার রূপরেখা
- পূর্ব দিকের প্রাচীন শহরসমূহ
- হামা গণহত্যা
- ক্ষুদ্র কালক্রমের তালিকা
তথ্যসূত্র
গ্রন্থপঞ্জি
আরো পড়ুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads