শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক

তথ্য বিনিময়ের আধুনিক প্রযুক্তি উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক
Remove ads

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক (ইংরেজি: Computer network) হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যাতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার একসাথে যুক্ত থাকে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা ফাইল, প্রিন্টার ও অন্যান্য সম্পদ ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারেন, একে অপরের কাছে বার্তা পাঠাতে পারেন এবং এক কম্পিউটারে বসে অন্য কম্পিউটারে প্রোগ্রাম চালাতে পারেন।[]

Thumb

নেটওয়ার্ক এর বাংলা অর্থ বিস্তীর্ণ জালিকা ।

ইতিহাস

শুরুর দিকে একাধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদানের কাজ মানুষই করত। ১৯৪০ সালের সেপ্টেম্বরে জর্জ স্তিবলিৎজ প্রথম একটি দূরসঞ্চার যন্ত্র ব্যবহার করেন নিউ হ্যাম্পস্যার এর ডর্টমাউথ কলেজ থেকে নিউইয়র্কে তাঁর জটিল সংখ্যা গননার যন্ত্রের মধ্যে সংযোগস্থাপনের জন্যে। ১৯৬৪ সালে ডর্টমাউথ এক বিশাল কম্পিউটার ব্যবস্থার বিতরণ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সময় বিভক্তিকরন ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে। ওই একই সালে জেনারেল ইলেক্ট্রিক ও বেল ল্যাবরেটরির সাহায্যপ্রাপ্ত কিছু গবেষক একটি পিডিপি-৮ কম্পিউটারকে ব্যবহার করেন টেলিফোন সংযোগকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন করার জন্য। ১৯৬৯ সালে লস এঞ্জেলস এর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ডের এস আর আই, সান্তা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও উতা বিশ্ববিদ্যালয় আরপানেট এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ৫০ কেবিপিএস (কিলোবিট প্রতি সেকেন্ডে) গতিতে সংযোগ স্থাপন করে।[]

Remove ads

উপাদান

সারাংশ
প্রসঙ্গ

একটি নেটওয়ার্কে মূলত তিনটি উপাদান থাকে: অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার।

  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার হচ্ছে কতগুলি ইন্টারফেস প্রোগ্রামের সমষ্টি যার মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে নেটওয়ার্কে বিদ্যমান বিভিন্ন সম্পদ ভাগাভাগি করতে পারেন। এগুলি ক্লায়েন্ট-সার্ভার কিংবা পিয়ার-টু-পিয়ার প্রকৃতির হতে পারে।
  • নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার হচ্ছে কতগুলি প্রোগ্রামের সমষ্টি যা নেটওয়ার্ক ব্যবহারের নিয়ম বা প্রোটোকল স্থাপন করে, যার ভিত্তিতে একটি কম্পিউটার আরেকটি কম্পিউটারের সাথে তথ্য আদান প্রদান করে বা "কথা বলে"। ফরম্যাটকৃত নির্দেশাবলি তথা প্যাকেটসমূহ আদান-প্রদান করে এই প্রোটোকলগুলি রক্ষা করা হয়। প্রোটোকলগুলি দুই কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে যৌক্তিক সংযোগ সৃষ্টি করে, ভৌত নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে প্যাকেট পরিচালন করে এবং একই সময়ে পাঠানো প্যাকেটের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা যথাসম্ভব কমানোর চেষ্টা করে।
  • যেসমস্ত ভৌত যন্ত্রাংশ বা উপাদান একাধিক কম্পিউটারকে সংযুক্ত করে, তাদেরকে একত্রে নেটওয়ার্ক হার্ডওয়্যার বলা হয়। এদের মধ্যে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কম্পিউটারের সিগনাল বহনকারী ট্রান্সমিশন মাধ্যম এবং নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার। ট্রান্সমিশন মাধ্যম সাধারণত তার বা আপটিকাল ফাইবারে তৈরি। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টারের কাজ ট্রান্সমিশন মাধ্যম ও নেটওয়ার্ক সফটওয়্যারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করা

নেটওয়ার্কে ট্রান্সমিট করা তথ্য বাইনারি ডিজিট বা বিট আকারের হয়, যাতে কম্পিউটারের ইলেকট্রনিক বর্তনী সহজেই তা প্রক্রিয়া করতে পারে।

Remove ads

প্রকারভেদ

সারাংশ
প্রসঙ্গ

কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সাধারণত ৪ ভাগে ভাগ করা যায় যথা-

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক

LAN (Local Area Network), একে সংক্ষেপে ল্যান (LAN) বলা হয় । একই বিল্ডিং এর মাঝে কয়েকটি কম্পিউটার নিয়ে গঠিত নেটওয়ার্ককে বলা হয় লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network) এই ধরনের নেটওয়ার্কের গঠন খুব সহজ , এর্ং এর জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস সমুহের দাম খুব কম । এই ধরনের নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত ডিভাইস সমুহ হলো হাব, সুইচ , রিপিটার । আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা LAN ই ব্যবহার করে থাকি। ছোট-মাঝারি অফিস-আদালত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে এ নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য থাকে ডিভাইসসমূহের পরস্পরের মধ্যে তথ্য এবং রিসোর্স শেয়ার করা। ছোট-মাঝারি অফিসে LAN তৈরি করে প্রিন্টার, মডেম, স্ক্যানার, ইত্যাদি ডিভাইসের জন্য সাশ্রয় করা যেতে পারে।

মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক

MAN (Metropolitan Area Network) : মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropolitan Area Network), একে সংক্ষেপে ম্যান (MAN) বলা হয় । একই শহরের মধ্যে অবস্থিত কয়েকটি ল্যানের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারফেসকে বলা হয় মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)। এ ধরনের নেটওয়ার্ক ৫০-৭৫ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এই নেটওয়ার্কের ডাটা ট্রান্সফার স্পিড গিগাবিট পার সেকেন্ড। এ ধরনের নেটওয়ার্ক এ ব্যবহৃত ডিভাইস গুলো হলো রাউটার, সুইজ, মাইক্রোওয়েভ এন্টেনা ইত্যাদি।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক

WAN (Wide Area Network) :ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network), একে সংক্ষেপে ওয়্যান (WAN) বলা হয় । দূরবর্তী ল্যানসমূকে নিয়ে গড়ে উঠা নেটওয়ার্ককে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। (WAN)। সাধারণত ‍ দুটি ভিন্ন ভিন্ন দেশের মধ্যে এই ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে । এ ধরনের নেটওয়ার্ক এর ডাটা ট্রান্সফার স্পীড ৫৬ কেবিপিএস থেকে ১.৫৪৪ এমবিপিএস। এ ধরনের নেটওয়ার্কের গঠন বেশ জটিল এবং সাধারণত বিশাল ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। এ ধরনের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো হলো রাউটার, মডেম, ওয়্যান সুইজ ইত্যাদি।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads