শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
জিওফ কুক
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
জিওফ্রে কুক (ইংরেজি: Geoff Cook; জন্ম: ৯ অক্টোবর, ১৯৫১) ইয়র্কশায়ারের মিডলসবোরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী কোচ ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম ও নর্দাম্পটনশায়ার এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন জিওফ কুক।
Remove ads
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
মিডলসবোরা হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জিওফ কুকের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের পক্ষে খেলতেন। রবিন বয়েড-মসের সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩৪৪ রান তুলেন। অদ্যাবধি তাদের এ সংগ্রহটি নর্দাম্পটনশায়ারের রেকর্ড হিসেবে চিত্রিত হয়ে আছে।
পরবর্তীতে নর্দাম্পটনশায়ার ছেড়ে ডারহামের পক্ষে খেলেন। এ সময়ে দলটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়। কাউন্টি দলটির প্রথম অধিনায়ক ছিলেন তিনি।
ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, সতীর্থ পেশাদার খেলোয়াড়দের কাছে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের উদাহরণ ছিলেন। ১৯৮২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো বিদ্রোহী দলের গমনের ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার সেরা সুযোগ পান। কিন্তু, কাউন্টি ক্রিকেটে নিয়মিত সাফল্য পেলেও টেস্টে এ ধারা বহমান রাখতে পারেননি।[১]
Remove ads
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র টেস্ট ও ছয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জিওফ কুক। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ জানুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তেরোটি টেস্ট ইনিংস খেললেও মাত্র দুইবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন।
Remove ads
অবসর
কাউন্টি ক্রিকেটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললেও ইংরেজ ক্রিকেটে প্রশাসক ও কোচ হিসেবেই অধিক দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। কাউন্টিতে যুব একাডেমি পরিচালনা করার পর মার্চ, ২০০৭ সালে মার্টিন মক্সনের পদত্যাগের পর প্রথম একাদশের কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। কুকের পরিচালনায় ডারহাম দল ২০০৭ সালে লর্ডসে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের শিরোপা বিজয় করে। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী হয়। কেন্টের বিপক্ষে এ জয়ে উৎফুল্ল জিওফ কুক মন্তব্য করেন যে, আমি মনে করি যে, সম্ভবতঃ এটিই আমার সর্বাধিক গৌরবময় দিক। ২০০৯ সালেও একই ধারা অব্যাহত থাকে।
জুন, ২০১৩ সালে জিওফ কুক হৃদযন্ত্র ক্রীয়ায় আক্রান্ত হন।[২] ঐ মৌসুমে কোচের দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলেন। ২০১৩ সালে ডারহাম দল তৃতীয়বার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা পায়।[৩] জন লুইসকে প্রথম একাদশের পূর্ণাঙ্গকালীন কোচ হিসেবে নিযুক্তির ফলে তিনি যুব উন্নয়ন পদে চলে যান।[৪]
প্রফেশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) সভাপতি ও সচিবের যৌথ দায়িত্ব পালন করছেন।[১] ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। অ্যানা নাম্নী এক কন্যা ও অ্যান্ড্রু নামীয় এক পুত্র রয়েছে।
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads